• ঢাকা রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
হামাসের টানেল থেকে ৩ জিম্মির মরদেহ উদ্ধার
যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫১ কোটি টাকার ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি হুথিদের
যুক্তরাষ্ট্রের একট অত্যাধুনিক এমকিউ-৯ ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। শুক্রবার (১৭ মে) এই তথ্য জানিয়েছে তারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি এমকিউ-৯ ড্রোনের ধ্বংসাবশেষের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার কয়েক ঘণ্টা পর হুথিরা জানিয়েছে, তারাই মার্কিন এ ড্রোনটি ভূপাতিত করেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি। এর আগেও মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছিল হুথিরা। এমকিউ-৯ মডেলের মার্কিন এই ড্রোনটির মূল্য ৩ কোটি ডলার; যা বাংলাদেশি মুদ্রামানে ৩৫১ কোটি টাকারও বেশি। হুথিদের সামরিক শাখার মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারে জানিয়েছেন, তাদের যোদ্ধারা গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ড্রোনটি ভূপাতিত করে। এটি ভূপাতিতে ব্যবহার করা হয় সারফেস টু এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে। শিগগিরই এই হামলার একটি ভিডিও প্রকাশ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। হুথি মুখপাত্র আরও জানিয়েছেন, ড্রোনটি ইয়েমেনের মারিব প্রদেশে ‘নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড’ চালাচ্ছিল। মারিব প্রদেশটি এখনো ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি সরকারের অধীনে রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতিমধ্যে যে ভিডিওটি প্রকাশ হয়েছে সেটিতে এমকিউ-৯ ড্রোনের যন্ত্রাংশের সাদৃশ্যতা পাওয়া গেছে। বার্তাসংস্থা এএফপি এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা কোনো মন্তব্য করেনি। হুথিরা এর আগেও ড্রোন ভূপাতিতের দাবি করেছিল। কিন্তু সেগুলো ভুল হিসেবে প্রমাণিত হয়েছিল বলে জানিয়েছে এএফপি। ২০১৪ সালে রাজধানী সানাসহ ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা। ওই সময় থেকে এখন পর্যন্ত বিদ্রোহীদের হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত পাঁচটি ড্রোন ধ্বংস হয়েছে। এমকিউ-৯ মডেলের এই ড্রোন মাটি থেকে ৫০ হাজার ফিট উপরে এবং একটানা ২৪ ঘণ্টা উড়তে পারে।
ইরানে ‘শয়তানবাদ’ প্রচারের দায়ে গ্রেপ্তার ২৬১
ইসরায়েলের বিমানঘাঁটিতে হিজবুল্লাহর ড্রোন হামলা
নিজেদের ট্যাংকের গোলায় প্রাণ হারালেন ৫ ইসরায়েলি সেনা, আহত ৭
দুবাইয়ে বিশ্বের ধনকুবেরদের পাহাড়সম সম্পদের নথি ফাঁস, কার কত  
ইসরায়েলের সেনা ঘাঁটিতে ভয়াবহ আগুন
ইসরায়েলের একটি সেনা ঘাঁটিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। দেশটির রাজধানী তেল আবিবে অবস্থিত ‘হাসোমের’ নামে একটি ঘাঁটিতে ঘটনাটি ঘটে। মঙ্গলবার (১৪ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র সংরক্ষণ করা হয় ওই ঘাঁটিতে। আগুন নেভাতে প্রাথমিকভাবে ফায়ার সার্ভিসের ২৮টি দল কাজ করে। তবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত, সে ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কিছু জানা যায়নি। আগুনের এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়েছে বলেও জানা যায়নি। তবে আগুনের কারণে সেখানকার স্বাভাবিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া পূর্ব সতর্কতার অংশ হিসেবে আশপাশের অবকাঠামো থেকে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।    
রাফা ছেড়ে পালিয়েছে সাড়ে ৫ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি
ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার বেশির ভাগই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এখন বাকি রয়েছে অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটির রাফা শহর। অবরুদ্ধ গাজার লাইফলাইন খ্যাত দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় বিমান হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।  জাতিসংঘ জানায়, এখন পর্যন্ত রাফার দক্ষিণাঞ্চল থেকে সাড়ে ৫ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি পালিয়ে গেছে। আর শহরটির উত্তরাঞ্চল থেকে জীবন বাঁচাতে আরও এক লাখ লোক পালিয়েছেন।  ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত বোমা হামলার মুখে রাফায় ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতাল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সসহ সেবাদানকারীরা। এতে স্বাস্থ্যসেবা দিতে গাজার ৮০ শতাংশ হাসপাতাল ব্যর্থ হচ্ছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ।  গত মঙ্গলবারও গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলা চালায় ইসরাইলি সেনাবাহিনী। এতে হতাহত হন বেশ কয়েকজন এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয় বেশ কয়েকটি স্থাপনা। এদিন গাজার উত্তরাঞ্চলে জাবালিয়ায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় নেতানিয়াহু বাহিনী।  এদিকে, অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে খাবার, পানি ও বাসস্থানের মতো জনজীবনের মৌলিক উপাদানের সংকট। নতুন করে দেখা দিয়েছে নগদ অর্থের অভাব। এ অবস্থায় ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে গেলো কেটে রাখা হচ্ছে বাড়তি ট্যাক্স। এতে শোচনীয় অবস্থায় দিন পার করছেন নিরীহ বাসিন্দারা।  তারা জানান, বোমা বর্ষণে কারণে ধুলোয় মিশে গেছে গাজার এটিএম বুথগুলো। হাতে গোনা কয়েকটি রয়েছে দক্ষিণের শহর রাফায়। সেখান থেকে টাকা উত্তোলন করতে গেলেও কেটে রাখা হয় বিশাল একটি অংক।  অন্যদিকে, এখনো অচলাবস্থায় রয়েছে হামাস-ইসরাইলের মধ্যকার যুদ্ধবিরতির আলোচনা। এ বিষয়ে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘ইসরাইল অবাস্তব লক্ষ্য নির্ধারণ করছে এতে সংঘাতের সমাপ্তির কোনো উপায় পাওয়া যাচ্ছে না।’  তবুও মধ্যস্থতাকারী হিসেবে চেষ্টা চালিয়ে যাবে বলে জানায় কাতার। সূত্র: আল জাজিরা
ফিলিস্তিনিদের ত্রাণের ট্রাক লুট করছে ইসরায়েলিরা
ফিলিস্তিনের গাজায় টানা সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি নির্মম আগ্রাসন মানবেতর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দিয়েছে সেখানকার বাসিন্দাদের। অবরুদ্ধ উপত্যকাটি থেকে ফিলিস্তিনিদের নিশ্চিহ্ন করতে শুধু গোলা-বারুদই নয়, তাদের ক্ষুধা-তৃষ্ণাকেও অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে দখলদার রাষ্ট্রটি। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দাতাসংস্থার ত্রাণ তৎপরতাতে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে নেতানিয়াহুর সেনারা।  একদিকে সুপেয় পানির অভাব, অন্যদিকে দিনের পর দিন খেয়ে না খেয়ে বাঁচতে হচ্ছে গাজাবাসীকে। ছড়িয়ে পড়ছে রোগ, মৃতের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিদিনই বাড়ছে আহতের সংখ্যা, অথচ ওষুধ মিলছে না কথাও। এই যখন পরিস্থিতি, দখলদার ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ফিলিস্তিনিদের অসহায়ত্বের ওপর আঘাত হানছে বেসামরিক ইসরায়েলিরাও। নেতানিয়াহু প্রশাসনের কড়াকড়ির মাঝে যে যৎসামান্য ত্রাণ তৎপরতা চলছে, তাতেও পানি ঢেলে দিচ্ছে তারা; আটকে দিচ্ছে ট্রাক, লুট করে নষ্ট করছে ত্রাণ। মঙ্গলবার (১৪ মে) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বিক্ষোভকারীদের বাধায় গাজায় পৌঁছাতে পারেনি ত্রাণবাহী ট্রাক। গতকাল সোমবার অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের সাহায্যের জন্য যেতে থাকা ট্রাক অবরোধ করেছে তারা। ট্রাক থেকে ত্রাণের প্যাকেজগুলো ফেলে দেওয়া হয়েছে রাস্তায় এবং ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে শস্যের প্যাকেট। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাক থেকে ফেলে দেওয়া এ ত্রাণগুলো হেবরনের পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে জর্ডান থেকে এসেছিল। অবরুদ্ধ গাজায় খাদ্য ও ত্রাণ সংকটে থাকা হাজার হাজার মানুষের জন্য পাঠানো হচ্ছিল এগুলো। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীরা লরি থেকে ত্রাণের বাক্স ফেলে দিচ্ছে। এ ছাড়া এগুলো পড়ে যাওয়ার পর তারা তা আবার ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিচ্ছে। এছাড়া কিছু ভিডিওতে সন্ধ্যার দিকে গাড়িতে আগুন দিতে দেখা গেছে। যদিও এগুলো স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি বিবিসি। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, এ বিক্ষোভের জন্য দেশটির ডানপন্থি গোষ্ঠী টিজাভ ৯ দায়ী। বার্তা সংস্থা এএফপিকে এক বিক্ষোভকারী বলেন, তিনি সোমবার চেকপয়েন্টে ছিলেন, কারণ তিনি শুনেছেন যে হামাসের জন্য ত্রাণবাহী ট্রাক আসছে। তাদের হাতে ইসরায়েলি সেনাসহ নাগরিকরা হত্যার শিকার হয়ে আসছে। হানা গিয়েত নামের এক বিক্ষোভকারী বলেন, জিম্মিরা সুস্থ ও জীবিত অবস্থায় ইসরায়েলে না ফেরা পর্যন্ত গাজায় কোনো ধরনের খাবার প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এদিকে ত্রাণের ট্রাক লুটের এ ঘটনাকে ইসরায়েলিদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বলে উল্লেখ করেছে হোয়াইট হাউস। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেন, বিক্ষোভকারীদের এই আচরণ ‘সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য’। হোয়াইট হাউস ইসরায়েল সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে।
ইরাকে আইএসের হামলায় নিহত ৫ সেনা 
ইরাকের রাজধানী বাগদাদে একটি গ্রামে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দেশটির সেনাবাহিনীর পাঁচজন সদস্য নিহত হয়েছেন।  স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাতে মঙ্গলবার (১৪ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। ইরাকি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, সোমবার (১৩ মে) আইএস সদস্যরা মাতেবিজা নামে ইরাকের রাজধানী বাগদাদের একটি গ্রামের সালেহ উদ্দীন পোস্টে হামলা চালায়। এ সময় তাদের প্রতিহত করতে সংঘর্ষে জড়ায় সেনাবাহিনী। লড়াইয়ে এক কর্মকর্তাসহ ইরাকি সেনাবাহিনীর পাঁচজন সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ইরাক এবং সিরিয়ার এক বিশাল অংশ দখল করে ‘খিলাফত’ ঘোষণা করে আইএস। এরপর থেকে ইরাকের বিভিন্ন জায়গায় হামলা শুরু করে গোষ্ঠীটি।  ২০১৭ সালে ইরাকে মার্কিন সামরিক জোটের নেতৃত্বাধীন ইরাক সেনাবাহিনী আইএস গোষ্ঠীকে পরাজিত করতে সক্ষম হয়। তবে ২০১৯ সালে  মার্কিন নেতৃত্বাধীন কুর্দি বাহিনী সিরিয়ায় আইএস গোষ্ঠীকে হারাতে ব্যর্থ হয়। এরপর থেকে দেশটির প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল এবং মেরু অঞ্চলে এ জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্যরা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। জানুয়ারিতে জাতিসংঘ ইরাক এবং সিরিয়ার ওপর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ইরাক এবং সিরিয়ায় আইএসের তিন থেকে পাঁচ হাজার সদস্য আছে বলে উল্লেখ করা হয় এতে।  
গাজায় ইসরাইলের হামলায় নিহত ২০
গাজার জাবালিয়া ক্যাম্পে রাতভর বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এতে উত্তর গাজায় ২০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  তারা জানিয়েছেন, গাজার আটটি শিবিরের মধ্যে সবচেয়ে বড় জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ট্যাংক হামলা চালানো হয়েছে। সেখানকার বাসিন্দারা বলছেন, শিবিরের কেন্দ্রস্থলে ট্যাঙ্কের শেল এসে পড়েছে। বিমান হামলায় অনেক বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। রোববার ইসরাইলি সীমান্ত থেকে উত্তর গাজার আকাশে বিস্ফোরণের কালো ধোঁয়ার ঘন মেঘ উঠতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার ওই এলাকায় রাতভর ভারী বোমা হামলার পর এক লাখেরও বেশি মানুষের অধ্যুষিত জাবালিয়া শিবিরে প্রবেশ করে ইসরাইলি ট্যাংক। ইসরাইলি সেনাবাহিনী বলেছে, তাদের লক্ষ্য হচ্ছে জাবালিয়ায় হামাসের সামরিক সক্ষমতা পুনর্বাসনের প্রচেষ্টা নির্মূল করা। উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৮ হাজার ৭৫৫ জন ফিলিস্তিনি।
ইসরায়েলকে কড়া হুঁশিয়ারি ইরানের
পারমাণবিক ইস্যুতে ইসরায়েলকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। ইসরায়েলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ইরান বলছে, পারমাণবিক বোমা তৈরির কোনো সিদ্ধান্ত আমাদের নেই, কিন্তু ইরানের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়লে আমরা নীতি পরিবর্তন করতে বাধ্য হবো। খবর এনডিটিভির। দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খমেনির উপদেষ্টা কামাল খারাজি বলেছেন, ইসরায়েল আমাদের অস্তিত্বের জন্য হুমকির কারণ হলে পিছপা হওয়ার সুযোগ নেই। এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে ইরান। দীর্ঘদিন ধরে এমন অভিযোগ করে আসছে ইসরায়েল ও তার পশ্চিমা মিত্ররা। তবে বরাবরই তাদের এ অভিযোগ নাকচ করেছে তেহরান। কিন্তু এবার শুধু নাকচ করেই থামেননি তারা। রীতিমতো তেলআবিবকে শাসিয়েছেন কামাল খারাজি। গত মাসে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলায় ইরানের ইসলামিক রিভোলিউশনারি গার্ড কোর বেশ কয়েকজন নেতা নিহত হন। এ ঘটনায় ইসরাইলের ভূখণ্ডে পাল্টা হামলা চালায় ইরান। এরপর থেকে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমে বেড়েই চলছে। চলমান এই উত্তেজনার মধ্যেই ইসরায়েলকে এ হুঁশিয়ারি দিলো ইরান।
ইসরায়েলি ঘাঁটিতে হিজবুল্লাহর সরাসরি রকেট হামলা
ইসরায়েলের রামিয়া সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে শনিবার (১১ মে) রকেট ও কামান হামলা চালিয়েছে লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। এসব রকেট ও কামানের গোলা এই ঘাঁটিতে সরাসরি আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে লেবাননের জাতীয় বার্তাসংস্থা। হামলার ব্যাপারে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। খবর কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আলজাজিরার। শুক্রবার (১০ মে) লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল লক্ষ্য করে ব্যাপক বিমান হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এরপরের দিন শনিবার (১১ মে) ইসরায়েলি ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা। ইসরায়েলি বিমান হামলা একটি মোবাইল ফোন ট্রান্সমিশন সাইটে আঘাত হানে। লেবাননের তায়ার হারফাতে অবস্থিত। ওই হামলায় একজন প্যারামেডিক এবং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কর্মী প্রাণ হারান। ওই হামলার পরই প্রতিশোধ নিতে হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা সামরিক ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের ‘নজরদারি স্থাপনায়’ হামলা চালিয়েছে। তাদের চালানো হামলা সরাসরি আঘাত হেনেছে। প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। এরপর থেকে ইসরায়েলের ওপর হামলা চালানো শুরু করে হিজবুল্লাহও। হিজবুল্লাহ ইসরায়েলি অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালানো অব্যাহত রাখে। কেননা দখলদার ইসরায়েলি সেনারা যেন গাজার পাশাপাশি লেবানন সীমান্তেও ব্যস্ত থাকে।