• ঢাকা রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
আকাশে নয় পানিতেও চলে চীনের এই প্লেন
আফগানিস্তানে ফের বিপর্যয়
ভারী বৃষ্টিপাত মধ্য আফগানিস্তানে ফের বিপর্যয় ডেকে এনেছে৷ গত সপ্তাহের বন্যার ক্ষতি এখনো তারা সামলে উঠতে পারেনি৷ তারমধ্যেই আবারও আকস্মিক বন্যা হলো আফগানিস্তানে৷ স্থানীয় পুলিশ বলছে, হাজারো ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং কৃষি জমির বিশাল অংশ প্লাবিত হয়েছে৷ সেন্ট্রাল আফগানিস্তানে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে হওয়া নতুন ফ্লাশ ফ্লাড বা আকস্মিক বন্যায় কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়েছেন৷ শনিবার একজন কর্মকর্তা এ কথা জানান৷ ঘোর এলাকার পুলিশের মুখপাত্র আবদুল রহমান বদ্রি এক বিবৃতিতে বলেছেন, শুক্রবার বন্যায় ঘোর প্রদেশের ৫০ জন বাসিন্দা প্রাণ হারান এবং আরো কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন৷ সেন্ট্রাল ঘোর প্রদেশের তথ্য বিভাগের প্রধান মাওলাভি আবদুল হাই জাইম বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, শুক্রবারের দুর্যোগে কতজন আহত হয়েছেন তার কোনো তথ্য নেই৷ জাইমের মতে, প্রদেশের রাজধানী ফিরোজ-কোহ-তে কমপক্ষে দুই হাজার বাড়ি ধ্বংস হয়েছে, চার হাজার বাড়ি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কমপক্ষে দুই হাজার দোকান পানির নিচে তলিয়ে গেছে এবং শত শত হেক্টর কৃষি জমি ধ্বংস হয়েছে। বন্যার কারণে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরুদ্ধ রয়েছে৷ এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় বিপর্যয় গত সপ্তাহে দেশের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ বাঘলান আকস্মিক বন্যার ফলে ব্যাপক ক্ষতি হয়৷ গত রোববার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, বাঘলানের বন্যায় কমপক্ষে ৩১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ এক হাজার ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হন৷ বিশ্ব খাদ্য সংস্থা বলেছে, জীবিতদের কোনো বাড়ি নেই, জমি নেই এবং জীবিকার কোনো উৎস নেই৷ ঘোর প্রদেশের নদীতে ভেসে যাওয়াগুলো মৃতদেহ উদ্ধারের চেষ্টার সময় প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে গত বুধবার আফগান বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ে৷ দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় অন্তত একজন নিহত হন ও ১২ জন আহত হয়৷ জাতিসংঘের মতে, আফগানিস্তান জলবায়ু-জনিত বিপর্যয়ের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলির মধ্যে একটি৷ ২০২১ সালে দেশ থেকে বিদেশি বাহিনী বিতরণের পর তালেবানরা ক্ষমতায় আসে৷ তারপর থেকে সাহায্য তহবিলের ঘাটতির মুখে পড়েছে আফগানিস্তান৷
হামাসের পাল্টা হামলায় নাস্তানাবুদ ইসরায়েলি সেনারা
দুবাইয়ে ৩৯৪ বাংলাদেশির গোপন সম্পদের মূল্য ২ হাজার ৬৩৬ কোটি
হজ ফ্লাইটে আগুন, জরুরি অবতরণ
দুবাইয়ে ধনকুবেরদের গোপন সম্পদ, তালিকায় ৩৯৪ বাংলাদেশি
রাফায় ইসরায়েলি হামলা আরও জোরদার, বাস্তুচ্যুত ৬ লাখ মানুষ
সাত মাস ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলায় ফিলিস্তিনের গাজার বেশির ভাগ এলাকাই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এখন অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটির রাফা শহরে অভিযান চালাচ্ছে তারা। গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় এই শহরে ইসরায়েলি হামলা আরও জোরদার করা হয়েছে। এমন অবস্থায় শহরটি থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৬ লাখ মানুষ। গত ৬ মে থেকে শহরটি ছেড়ে পালিয়েছেন তারা। অন্যদিকে রাফা শহরের পাশাপাশি উত্তর গাজার জাবালিয়াতেও হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা ও বিবিসি। আল জাজিরা বলেছে, গত ৬ মে থেকে রাফার প্রায় ৬ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র ফারহান হক এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই পরিসংখ্যান সামনে এনেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ইসরায়েলি অভিযানে গত ৬ মে থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ৬ লাখ মানুষ বা গাজার মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ রাফাহ থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। উপরন্তু জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয়ের কার্যালয় দক্ষিণ গাজার এই শহর থেকে ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত হওয়ার বিষয়েও সর্বশেষ তথ্য দিয়েছে। গত ১৪ এবং ১৫ মে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী উত্তর গাজার ১৯টি এলাকার বাসিন্দাদের সমস্ত বা আংশিক স্থানান্তরে দুটি নতুন আদেশ জারি করেছে। এতে করে রাফা এবং উত্তর গাজায় গত ৬ মে থেকে জারি করা আদেশের সংখ্যা পাঁচে পৌঁছাল।’ জাতিসংঘের পরিসংখ্যান বলছে, গত ৬ মে থেকে বাস্তুচ্যুত হওয়া প্রায় ৬ লাখ মানুষের মধ্যে প্রায় এক লাখ ৫০ হাজার মানুষ গত ৪৮ ঘণ্টায় রাফা থেকে পালিয়ে গেছেন। মূলত যুক্তরাষ্ট্র এবং তার ঘনিষ্ঠ মিত্রদের সতর্কতা সত্ত্বেও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী রাফাতে স্থল সৈন্য পাঠানোর কাজ অব্যাহত রেখেছে। গাজায় সাত মাস যুদ্ধের পর ইসরায়েল জোর দিয়ে বলছে, রাফা দখল এবং হামাসের শেষ অবশিষ্ট ব্যাটালিয়নগুলোকে নির্মূল করা ছাড়া ‘বিজয় অর্জন’ অসম্ভব। কিন্তু জাতিসংঘ এবং পশ্চিমা শক্তিধর দেশগুলো সতর্ক করে বলেছে, রাফাতে সর্বাত্মক হামলা হলে ব্যাপক বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে এবং মানবিক বিপর্যয় প্রকট আকার নিতে পারে। উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এই আক্রমণের ফলে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং আরও প্রায় ৮০ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।
মানুষের চামড়ার জাদুঘর!
শখের তোলা নাকি আশি টাকা। তাই হয়তো মানুষ তার এক জীবনে হাজারো রকমের শখ পূরণের চেষ্টা করে থাকে। সেই শখের বসে অদ্ভুত সব কাণ্ড করতেও পিছপা হয় না মানুষ। শখ পূরণে কেউ করেন হারিয়ে যাওয়া পুরনো তৈজসপত্র সংগ্রহ, আবার কেউ করেন পুরনো মুদ্রা, ডাকটিকিট সংগ্রহ। সে রকমই এক অদ্ভুতুরে ব্যক্তির দেখা মিলেছিল জাপানের টোকিওতে। মানুষের চামড়া সংগ্রহ করা ছিল যার প্রধান শখ।  সূর্যোয়ের এই দেশটির রাজধানী টোকিওতে অবস্থিত জিকেই ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিন। এই ইউনিভার্সিটিতে গবেষকরা নানান বিষয় নিয়ে গবেষণা করে থাকেন।  টোকিওর এই ইউনিভার্সিটিতে দেখা যায় অদ্ভুত এক জাদুঘর। সেই জাদুঘরে সারি সারি সাজানো রয়েছে মানুষের চামড়া। কোন চামড়ায় আঁকা ট্যাটু আবার কোন চামড়ায় রয়েছে বাহারি উল্কি।   এখন প্রশ্ন হলো জাদুঘরে এসব চামড়া এলো কীভাবে?  এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে যে মানুষটির নাম পাওয়া যায়, তিনি টোকিওর ইম্পেরিয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. ফুকুশি মাসাইচি।  ডা. মাসাইচি ১৮৭৮ সালের ৩০ জানুয়ারি জাপানের ইয়ামগাছিতে জন্মগ্রহণ করেন। ইউনিভার্সিটি অব টোকিও থেকে মেডিসিনে পড়ালেখা শেষ করে উচ্চ ডিগ্রি নিতে জার্মানিতে পাড়ি জমান এরপর দেশে ফিরে তিনি জাপানি প্যাথলজিক্যাল সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন। ডাক্তারি পেশার পাশাপাশি তাকে বেশ আকৃষ্ট করতো রোগীর শরীরে আকা উল্কি বা ট্যাটু। সেই আকৃষ্টতা থেকেই তিনি চাইলেন সেসব সংগ্রহ করতে। যেই কথা সেই কাজ।  নেমে পড়লেন উল্কি বা ট্যাটু আঁকা চামড়া সংগ্রহ করতে। হাসপাতালে কোনো মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য এলেও সেই মৃতদেহের উল্কি আঁকা অংশটুকু সংগ্রহ করতেন তিনি। তার এই চামড়া সংগ্রহের খবর শুনে অনেকেই মরণোত্তর চামড়া দান করে যেতেন সংরক্ষণের জন্য। গবেষণার জন্য অনেকের কাছে টাকা দিয়েও চামড়া বুকিং দিতেন মাসাইচি।  এক দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রায় দুই হাজার মানুষের চামড়া সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। তবে দুঃখের বিষয় বেশির ভাগ চামড়াই হারিয়ে ফেলেন মাসাইচি। ১৯৪৫ সালের বিমান হামলায় লাগেজ ভর্তি চামড়া নিয়ে শিকাগোতে যাওয়ার সময় অনেক চামড়া হারিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত ১০৫ জন মানুষের ভিন্ন ভিন্ন চামড়া সংগ্রহে আছে টোকিওর সেই ইউনিভার্সিটিতে। ডা. মাসাইচির চিকিৎসক হিসেবে যতটা না পরিচিতি ছিল তার চেয়ে বেশি ছিল এসব চামড়া সংগ্রহের জন্য। তাই যেকোনো ধরনের ট্যাটু প্রতিযোগিতায় তিনি সবার আগে আমন্ত্রণ পেতেন। তার সংগ্রহ করা চামড়াগুলো এখনো সংগ্রহে আছে সেই জাদুঘরে, তবে তা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত নয়।   
আফগানিস্তানে বন্যায় নিহতের সংখ্যা ৩৩০ ছাড়িয়েছে
আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩০ ছাড়িয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকার গ্রাম, সড়ক ও কৃষিজমি কাদাপানিতে ধুয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দুই হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি। শনিবার (১১ মে) বিশ্ব খাদ্য সংস্থার (ডব্লিউএফপি) বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা জিনহুয়া।  প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (১০ মে) আফগানিস্তানের বাঘলান, তাখার ও বাদাকাশানের পাশাপাশি পশ্চিমাঞ্চলীয় ঘোর ও হেরাত প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে নদ-নদীর পানি বেড়ে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে প্রদেশগুলোতে। গ্রামের পর গ্রাম, সড়ক ও কৃষিজমি কাদায় ঢেকে গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে, বহু মানুষ বাঘলানের হাসপাতালে জড়ো হয়েছেন। তারা সবাই তাদের স্বজনকে খুঁজছেন। এ সময় একজন কর্মকর্তা বলেন, তাদের কবর খনন শুরু করা উচিত। তাদের কর্মীরা দাফনের জন্য মরদেহগুলোকে প্রস্তুত করছেন। তালেবান সরকারের প্রধান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) লেখেন, বন্যায় শত শত মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। সরকার বন্যাকবলিতদের উদ্ধার, আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া এবং মৃতদের দাফনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বন্যা কবলিত অঞ্চলগুলোতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। বন্যাকবলিত এলাকার বাসিন্দাদেরকে খাদ্য, ওষুধ ও প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাওয়া হচ্ছে।  গত মাসের মাঝামাঝিতেও দেশটির ১০টি প্রদেশ বন্যার কবলে পড়ে, যেখানে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।  
আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যায় নিহত ৬০, বহু নিখোঁজ
আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলের বাঘলান প্রদেশে ভারী বৃষ্টির ফলে আকস্মিক বন্যায় অন্তত ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে শতাধিক মানুষ। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছে বহু মানুষ।  মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর বিবিসি, রয়টার্সের। আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল মতিন কানি শুক্রবার এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে বলেছেন, যারা মারা গেছেন তারা দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় বাঘলান প্রদেশের বোরকা জেলার বাসিন্দা। এছাড়াও সেখানে দুই শতাধিক মানুষ তাদের বাড়ির ভেতরে আটকা পড়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। আবদুল মতিন বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে বাঘলান প্রদেশের পাঁচটির বেশি জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। অনেক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তাদের জরুরি সহায়তা দরকার। তিনি জানান, দুর্গত এলাকায় সহায়তাকারী দল ও হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে। তবে রাতের বেলায় উদ্ধার কাজের উপযোগী আলোর ব্যবস্থা না থাকায় কাজ করা যাচ্ছে না। মূলত গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আফগানিস্তানে অস্বাভাবিকভাবে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে বন্যায় দেশটিতে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। এদিকে, স্থানীয় কর্মকর্তা হেদায়তুল্লাহ হামদর্দ বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, সেনাবাহিনীসহ জরুরি কর্মীরা ‘কাদা ও ধ্বংসস্তূপের নিচে সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্তদের সন্ধান করছেন’। এই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, ঘরবাড়ি হারিয়েছে এমন কিছু পরিবারকে তাঁবু, কম্বল এবং খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। বন্যার জেরে কাবুলের সাথে উত্তর আফগানিস্তানের সংযোগকারী প্রধান সড়কটিও বন্ধ রয়েছে।
রাশিয়ায় দুই মার্কিন নাগরিক গ্রেপ্তার
দুটি ভিন্ন ফৌজদারি মামলায় এক সেনা সদস্যসহ দুই মার্কিন নাগরিককে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে রাশিয়ার কর্তৃপক্ষ৷ সোমবার (৬ মে) মার্কিন সেনা সদস্যকে রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর ভ্লাদিভোস্টকের একটি আদালত চুরির অভিযোগে কারাদণ্ড দেয়৷ মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আঞ্চলিক কার্যালয় এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে৷ রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই মামলায় কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ও গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ নেই৷ দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাস পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভ্লাদিভোস্টক শাখার উল্লেখ করে বলেছে, আমরা যতদূর জানি, এটি একটি সম্পূর্ণ দৈনন্দিন অপরাধ৷ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মার্কিন নাগরিকদের বিরুদ্ধে রাশিয়ায় ফৌজদারি মামলাগুলো ভিন্ন কূটনৈতিক মাত্রা পেয়েছে৷ তালিকায় রয়েছে মাদক মামলায় আটক বাস্কেটবল তারকা বৃটনি গ্রিনারকে বন্দি বিনিময়ে মুক্তি দেয়া ও ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সাংবাদিক ইভান গারশকোভিচের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির মামলা৷  আরআইএ সংবাদ সংস্থার তথ্য অনুসারে, গ্রেপ্তার হওয়া মার্কিন সেনা সদস্যের নাম গর্ডন ব্ল্যাক৷ আরআইএ জানিয়েছে, তাকে কমপক্ষে ২ জুলাই পর্যন্ত আটক রাখা হবে৷ সোমবার (৬ মে) যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীও আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে৷ তবে তারা গ্রেপ্তার হওয়া সেনা সদস্যের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি৷  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তার হওয়া সেনা সদস্য দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মরত ছিলেন৷ রাশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভ্লাদিভোস্টকের শাখা জানিয়েছে, ৩২ বছর বয়সী এক রুশ নারী ৩৪ বছর বয়সী সন্দেহভাজন মার্কিন নাগরিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন৷ তাদের দুজনের দক্ষিণ কোরিয়ায় দেখা হয়েছিল৷ পরবর্তীতে মার্কিন নাগরিক তার সাথে দেখা করতে ভ্লাদিভোস্টকে যান৷ দুজনের মধ্যে এক পর্যায়ে তর্ক হয় ও পরে সেই নারী পুলিশে অর্থ চুরির অভিযোগ করেন৷ বাড়ি ফেরার জন্য বিমানের টিকিট কিনে স্থানীয় একটি হোটেলে অবস্থানকালে মার্কিন ওই নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়৷ ভিন্ন এক ঘটনায় মঙ্গলবার মস্কোর আদালত জানায়, উইলিয়াম রাসেল নাইকাম নামে এক অ্যামেরিকান নাগরিককে নৈরাজ্যের অভিযোগে ১০ দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে৷
ইন্দোনেশিয়ার মধ্যাঞ্চলে বন্যায় ১৫ জনের মৃত্যু
ইন্দোনেশিয়ার মধ্যাঞ্চলে বন্যা এবং ভূমিধসে কমপক্ষে ১৫ জন মারা গেছেন। এছাড়া বহু বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, রাস্তাঘাট ভেসে গেছে, শতাধিক বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।  শনিবার (৪ মে) ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ বিষয়ক সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এএফপির। এছাড়া বর্ষাকালে ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসের প্রবণতা বেড়ে যায়। কিছু এলাকায় বন উজাড়ের কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। দীর্ঘ সময় মুষলধারে বৃষ্টির কারণে কিছু এলাকায় আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার (বিএনপিবি) মুখপাত্র আবদুল মুহারি এক বিবৃতিতে বলেন, শুক্রবার স্থানীয় সময় মধ্যরাত ১টার কিছু সময় পরে দক্ষিণ সুলাওয়েসির লুউউ এলাকায় ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, লুউউ এলাকায় ভূমিধস এবং বন্যায় প্রায় ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরবর্তী সময়ে আরও একজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। সংস্থাটি জানিয়েছে, বন্যায় ৪২টি বাড়ি ভেসে গেছে, চারটি রাস্তা এবং একটি সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার কারণে শতাধিক মানুষকে মসজিদ বা অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া ১ হাজার ৩শর বেশি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তাদের সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। শুক্রবার দক্ষিণ সুলাওয়েশি প্রদেশের অপর একটি এলাকায় কমপক্ষে একজন নিহত এবং দুজন আহত হয়েছে। এর আগে গত মার্চে সুমাত্রা দ্বীপে বন্যা এবং ভূমিধসে কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হন। খোঁজ হন আরও বেশ কয়েকজন।  
ভারী বর্ষণে মহাসড়কে ধস, চীনে ২৪ প্রাণহানি
ভারী বর্ষণের কবলে পড়ে চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ গুয়াংডংয়ে একটি মহাসড়ক ধসে পড়েছে। এতে অন্তত ২৪ জনের প্রাণহানি হয়েছে। সেইসঙ্গে আহত হয়েছেন আরও ৩০ জনের বেশি মানুষ।  বুধবার (১ মে) সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট, বিবিসি, সিএনএনসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।   প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, টানা কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে গুয়াংডংয়ের মেইঝো শহর এবং ডাবু কাউন্টির মধ্যকার ওই মহাসড়কের ১৭ দশমিক ৯ মিটার (৫৮.৭ ফুট) অংশ ধসে পড়েছে। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রাথমিকভাবে ১৯ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পরে জানায় ২৪ জন নিহত হয়েছেন। প্রতিবেদনগুলো থেকে আরও জানা যায়, মহাসড়কের ধসে পড়া অংশে ২০টি গাড়ি আটকে পড়ে। সেখান থেকে ৩০ জনেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তাদের অবস্থা গুরতর নয় বলে জানানো হয়েছে গণমাধ্যমের খবরে। সংবাদমাধ্যমে আসা ছবিতে দেখা গেছে, বিধ্বস্ত মহাসড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়া যানবাহনগুলো একটি গভীর গর্তে পড়ে আছে। দুর্ঘটনার শিকার গাড়িগুলো উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসন মহাসড়কটি বন্ধ করে দিয়েছে। গত মাসেও গুয়াংডং প্রদেশে প্রবল বর্ষণের কারণে বন্যা হয়েছিল। লক্ষাধিক বাসিন্দাকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল সে সময়।