• ঢাকা রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
আট মাসের বেতনের সমান বোনাস দিচ্ছে বিশ্বের সেরা এয়ারলাইনস
গুলিবিদ্ধ স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী শঙ্কামুক্ত
বন্দুকধারীর গুলিতে আহত স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো এখন শঙ্কামুক্ত বলে দাবি করেছেন দেশটির এক মন্ত্রী। বুধবার (১৫ মে) স্লোভাকিয়ার মধ্যাঞ্চলের হ্যান্ডলোভাতে একটি সরকারি বৈঠক শেষে বের হয়ে আসার পর সেখানে উপস্থিত জনতার মধ্য থেকে প্রধানমন্ত্রী ফিকোকে লক্ষ্য করে পাঁচটি গুলি ছোড়েন এক বন্দুকধারী। গুলি লাগার পর মাটিতে পড়ে যান স্লোভাক প্রধানমন্ত্রী এবং তাকে একটি গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর হেলিকপ্টারে করে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এর কিছুক্ষণ বাদেই ফিকোর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে একাধিক গুলি ছোড়া হয়েছে এবং তার জীবন হুমকির মধ্যে রয়েছে। এই মুহূর্তে তাকে হেলিকপ্টারে করে বাঙ্কসা বায়াসত্রিকাতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কারণ, ব্রাতিসলাভাতে পৌঁছাতে বেশি সময় প্রয়োজন হবে। পরবর্তী কয়েক ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে বিবিসির সবশেষ আপডেট অনুযায়ী, সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে ফিকোর অস্ত্রোপচার। স্লোভাকিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী ও পরিবেশমন্ত্রী টমাস তারাবা ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছেন, ‘সৌভাগ্যবশত আমি যতদূর জেনেছি, অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং আমার ধারণা শেষ পর্যন্ত তিনি (ফিকো) বেঁচে যাবেন…এ মুহূর্তে জীবনঝুঁকি নেই তার।’ এদিকে হামলার পরপরই এক ব্যক্তিকে আটক করেছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। স্লোভাকিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, হ্যান্ডলোভার হাউজ অব কালচারের বাইরে ফিকোর পেটে কয়েকটি গুলি করা হইয়েছে। পুলিশ ওই স্থানটি ঘিরে ফেলেছে এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে।  
স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে গুলি, অবস্থা আশঙ্কাজনক
ইটালিতে ১০৯ মাফিয়া সদস্য গ্রেপ্তার
রাশিয়া-চীন থেকে জার্মানিতে সাইবার হামলা বেড়েছে
বিশ্বের কুখ্যাত মানবপাচারকারী বারজান মাজিদ গ্রেপ্তার  
রাশিয়ায় সেতু থেকে নদীতে বাস পড়ে নিহত ৭
রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে সেতু থেকে যাত্রীবাহী একটি বাস নদীতে পড়ে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন। এতে আরও ছয়জন আহত হয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, স্থানীয় সময় শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে পিটার্সবার্গের একটি সেতু পার হওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস রেলিং ভেঙে মইকা নদীতে পড়ে যায়। এতে বাসটি পুরোপুরি ডুবে যায়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে হতাহতদের উদ্ধারে কাজ শুরু করে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।  রুশ তদন্তকারী কমিটি জানিয়েছে, বাস দুর্ঘটনায় সাতজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছে ছয়জন। ওই বাসে ২০ জনের মতো যাত্রী ছিল।  কর্তৃপক্ষের প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বাসটি আচমকা দিক পরিবর্তন করে এবং সেতুর রেলিং দিয়ে বিধ্বস্ত হয়ে পানিতে প্রায় সম্পূর্ণ ডুবে যায়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, পথচারীরা পানিতে ঝাঁপ দিয়ে যাত্রীদের উদ্ধারের চেষ্টা করছে। রুশ জরুরি সেবা মন্ত্রণালয় বলেছে, দুর্ঘটনার পর উদ্ধার অভিযান শেষ হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ জানা না গেলেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাসের চালককে আটক করেছে পুলিশ।
রাশিয়ার অর্থের লভ্যাংশ ইউক্রেনকে দিতে একমত ইইউ রাষ্ট্রদূতেরা
ইউরোপে জব্দ থাকা রাশিয়ার সম্পদ থেকে প্রাপ্ত সুদের অর্থ ইউক্রেনকে দিতে ইইউ রাষ্ট্রদূতেরা একমত হয়েছেন বলে বুধবার জানিয়েছে বেলজিয়াম৷ ইউক্রেনে হামলা করায় রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্থ জব্দ করেছিল জি-৭ দেশগুলো৷ ইউরোপে রাশিয়ার প্রায় ৩০০ বিলিয়ন ডলার জব্দ আছে৷ এই অর্থ থেকে সুদ বাবদ ২০২৭ সাল নাগাদ ১৫ থেকে ২০ বিলিয়ন ইউরো (৩৭.৬ বিলিয়ন ডলার) আয় হতে পারে বলে মনে করছে ইইউ৷ এবছরই তিন বিলিয়ন ইউরো (৩.২ বিলিয়ন ডলার) পাওয়া যেতে পারে৷ সেখান থেকে ইউক্রেনকে জুলাই মাসে এক বিলিয়ন ডলার দেওয়া হতে পারে বলে আগে জানিয়েছিলেন ইইউ কমিশনের প্রধান উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন৷ ২০২২ সালে রাশিয়ার অর্থ জব্দ করার পর এটি দিয়ে কী করা হবে তা নিয়ে এতদিন আলোচনা হয়েছে৷ অবশেষে, জমা থাকা এই অর্থ থেকে পাওয়া সুদ ইউক্রেনকে দিতে সম্মত হয়েছেন ইইউর রাষ্ট্রদূতেরা৷ এখন ইইউ মন্ত্রীরা এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করলে এই অর্থের ৯০ শতাংশ ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা হিসেবে দেওয়া হবে৷ বাকি ১০ শতাংশ দিয়ে কিয়েভকে অন্যভাবে সহায়তা করা হবে৷ গতমাসে রাশিয়ার কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছিলেন, পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়ার অর্থে হাত দিলে কঠোর প্রতিক্রিয়া ও অসংখ্য আইনি মামলা দায়ের করা হবে৷
প্রতিযোগিতায় ইসরায়েলি গায়িকা, সুইডেনে প্রবল প্রতিবাদ
পুলিশ জানিয়েছে, ইসরায়েলের প্রতিযোগীকে গানের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেয়ায় সুইডেনের মালমোতে ১০ হাজারের বেশি মানুষ এই প্রতিবাদ জানান। ইভেন্টের নাম ইউরোভিশন সং কনটেস্ট। এই গানের প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় সেমিফাইনালের আগে হাজার হাজার মানুষ সুইডেনের মালমোতে পথে নামেন। তার মধ্যে পরিবেশ নিয়ে আন্দোলনকারী গ্রেটা টুনব্যার্গও ছিলেন। এই প্রতিবাদের কয়েক ঘণ্টা পরেই ইসরায়েলের প্রতিযোগী এডেন গোলান তার গান হ্যারিকেন গেয়ে মানুষের ভোটেই প্রতিযোগিতার ফাইনালে পৌঁছান। মালমোতে ব্যারিকেড সুইডেনের মালমোতে এই প্রতিযোগিতা হচ্ছে। সেখানে প্রতিযোগিতার জায়গার চারপাশে কংক্রিটের ব্লক বসানো হয়েছে। প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রতিবাদকারীদের মিছিল শান্তিপূর্ণ ছিল। বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিনের পতাকার রংয়ের স্মোক ফ্লেম জ্বালান। তারা ইসরায়েল-বিরোধী স্লোগান দেন। এই মিছিলের উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, তারা শনিবার ফাইনালের আগে আবার মিছিল করবেন। ইসরায়েল সরকার তাদের দেশের নাগরিকদের সাবধান করে দিয়ে বলেছে, তাদের আক্রমণ করা হতে পারে। তারা যেন সতর্ক থাকেন। এডেন গোলান যখন ড্রেস রিহার্সাল দিচ্ছিলেন, তখনই বিদ্রুপধ্বনি শোনা যাচ্ছিল। গানের এই প্রতিযোগিতার উদ্যোক্তা হলো ইউরোপীয় ব্রডকাস্টিং ইউনিয়ন (ইবিইউ)। তারা জানিয়েছে, ইসরায়েল-হামাস লড়াইয়ের পর ইসরায়েলের প্রতিযোগীকে নেয়া নিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। গোলানকে তার গানের নামও বদল করতে হয়েছে। প্রথমে তার গানের নাম ছিল অক্টোবর রেইন। ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলের ভিতরে ঢুকে আক্রমণ করে। তার সঙ্গে মিল থাকায় গোলানকে তার গানের নাম বদল করতে বলা হয়। ইবিইউ জানিয়েছে, ইউরোভিশন হলো অরাজনৈতিক সংগঠন। কিন্তু সমালোচকরা বলেছেন, ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধের পর রাশিয়া ও বেলারুশের প্রতিযোগীদের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেয়া হয়নি। এই বছরের প্রতিযোগিতায় ফিলিস্তিনি পতাকাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ইউক্রেনের বন্দিরা যোগ দিতে পারবেন সেনাবাহিনীতে, সংসদে বিল পাস
ইউক্রেনের কারাগারে থাকা কিছু বন্দি এখন থেকে সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ দিতে পারবেন। নামতে পারবেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়েও। দেশটির পার্লামেন্ট এমন একটি বিল পাস করা হয়েছ। বুধবার (৮ মে) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। দুই বছর পেরিয়ে ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেই গড়িয়েছে তৃতীয় বছরে। দীর্ঘ এই সময়ের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মিত্রদের সহায়তা পেলেও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পশ্চিমা দেশগুলোর সহায়তায় টান পড়ায় ইউক্রেন এখন অনেকটাই চাপে। মূলত সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী ব্যাপকভাবে সৈন্য সংকটের মুখোমুখি হয়েছে এবং বিপরীতদিকে রাশিয়ান বাহিনী যুদ্ধক্ষেত্রে ক্রমেই অগ্রসর হচ্ছে। ইউক্রেনের পার্লামেন্টে নেওয়া বুধবারের এই পদক্ষেপটিকে কিয়েভের দীর্ঘদিনের নীতির ইউ-টার্ন হিসেবে মনে করা হচ্ছে। কারণ ইউক্রেন দীর্ঘদিন ধরে এই ধরনের কোনো ব্যবস্থার বিরোধিতা করে আসছিল এবং সেনা ঘাটতি পূরণের জন্য রুশ বন্দিদের লড়াইয়ের ময়দানে পাঠানোর বিষয়ে মস্কোর সমালোচনাও করে আসছিল কিয়েভ। অবশ্য পার্লামেন্টে পাসের পর বিলটিকে আইনে পরিণত করার আগে পার্লামেন্টের চেয়ারপারসন ভারখোভনা রাদা এবং প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে স্বাক্ষর করতে হবে। এদিকে জেলেনস্কির পার্টির প্রধান এমপি ওলেনা শুলিয়াক এক ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, ‘(বিলের পক্ষে) পার্লামেন্ট হ্যাঁ ভোট দিয়েছে। খসড়া আইনটি কিছু শ্রেণির বন্দিদের জন্য সেই সম্ভাবনা উন্মুক্ত করবে যারা প্রতিরক্ষা বাহিনীতে যোগদানের মাধ্যমে তাদের দেশকে রক্ষা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।’ তবে এই বন্দিদের সামরিক বাহিনীতে যোগদান হবে স্বেচ্ছায় এবং এই সুযোগ শুধুমাত্র কিছু শ্রেণির বন্দিদের জন্যই উন্মুক্ত।  
পারমাণবিক অস্ত্র মহড়ার নির্দেশ পুতিনের
ইউক্রেনের আশপাশে পারমাণবিক অস্ত্রের মহড়া চালানোর জন্য নিজ দেশের সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।  সোমবার (৬ মে) রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমাগত হুমকির মুখে রুশ সামরিক বাহিনীকে এই মহড়ার নির্দেশ দিয়েছেন পুতিন।  রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নন-স্ট্র্যাটেজিক পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রস্তুতি ও সেনা মোতায়েনসহ সামরিক মহড়া চালাবে মস্কো। রুশ বিমানবাহিনী এবং নৌবাহিনীর পাশাপাশি রাশিয়ার দক্ষিণ সামরিক জেলার সৈন্যরাও এ মহড়ায় অংশ নেবেন।  মন্ত্রণালয় বলছে, রাশিয়ান ফেডারেশনের বিরুদ্ধে কিছু পশ্চিমা কর্মকর্তার উস্কানিমূলক বিবৃতি ও হুমকির প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করাই এই মহড়ার লক্ষ্য। প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে বারবার কথা বলছেন পুতিন। গত ফেব্রুয়ারিতে জাতির উদ্দেশে ভাষণেও রুশ প্রেসিডেন্ট সতর্ক করে বলেছিলেন, পারমাণবিক যুদ্ধের ‘প্রকৃত’ ঝুঁকি রয়েছে।  এখন পর্যন্ত রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র। বিশ্বের মোট ১২ হাজার ১০০টি পারমাণবিক ওয়ারহেডের মধ্যে ১০ হাজার ৬০০টিরও বেশি এই দুই দেশের অস্ত্র ভাণ্ডারে রয়েছে। পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রের তালিকায় এরপরের অবস্থানটিই চীনের। তালিকায় চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে আছে ফ্রান্স ও ব্রিটেন। ফেডারেশন অব আমেরিকান সায়েন্টিস্টের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে রাশিয়ার কাছে প্রায় এক হাজার ৫৫৮টি নন-স্ট্র্যাটেজিক পারমাণবিক ওয়ারহেড আছে। তবে স্বচ্ছতার অভাবে রাশিয়ার এই ধরনের অস্ত্রের সঠিক পরিসংখ্যান সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায় না। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র,  জাপানের হিরোশিমা এবং নাগাসাকি শহরে প্রথম পারমাণবিক বোমা হামলা চালানোর পর থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের আর কোনো যুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার হয়নি।  
ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্তদের দিয়ে চলে যে ক্যাফে
পোল্যান্ডে প্রতিবন্ধীদের চাকরির সুযোগ সীমিত৷ সে কারণে তাদের জন্য স্বাবলম্বী হওয়া কঠিন৷ তবে বছরখানেক আগে ক্রাকাউ শহরে একটি ক্যাফে চালু হয়েছে যেখানে ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্তদের নিয়োগ দেওয়া হয়৷ তাদের একজন শিমন জেখ৷ ক্যাফের নাম স্পোয়েচনা ক্যাফে৷ স্পোয়েচনা ক্যাফে মানে হচ্ছে সোশ্যাল ক্যাফে৷ বর্তমানে এই ক্যাফে প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছে৷ ইতিমধ্যে পোল্যান্ডে ছোট্ট সেনসেশন হয়ে উঠেছে এটি৷ সামাজিক মাধ্যমে এই ক্যাফের অনুসারী সংখ্যা প্রায় নয় হাজার৷ সেখানে ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত পাঁচজন প্রাপ্তবয়স্ককে চাকরি দেওয়া হয়েছে৷ স্পোয়েচনা ক্যাফের ম্যানেজার গ্রায়না বানাচ-কোচোলেক জানান, আমরা দেখানোর চেষ্টা করছি যে, আমাদের সন্তানেরা, কর্মীরা চাকরিতে থাকার গুরুত্ব নিয়ে কথা বলতে পারে৷ অনেক অভিভাবক মনে করেন না যে, তাদের সন্তানেরা এসব করতে পারে, এমন কাজ করতে পারে৷ পোলিশ সমাজে সাধারণত প্রতিবন্ধীদের কোনো কাজে দেখা যায় না৷ স্কুল শেষ করার পর তারা মা-বাবার সঙ্গে থাকে৷ ঘরের বাইরে খুব কম কাজ করে৷ তাই শিমনের গল্পটা বিরল৷  শিমন বলেন, কাজ করতে আমার ভালো লাগে৷ ১০টায় খোলার পর ক্যাফেতে মানুষ আসতে দেখে মনে আনন্দ হয়৷ বছরখানেক আগে ক্যাফে চালু হওয়ার সময় থেকেই শিমন সেখানে কাজ করছেন৷ করোনার আগে একটি হোটেলে কাজ করতেন৷ টিভি শোতেও অংশ নিয়েছেন৷ এখন এই ক্যাফেই তার পৃথিবী৷  শিমনের মা বেয়াটা বলেন, আগে মনে করতাম ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্তরা মা-বাবা ছাড়া চলতেই পারবে না৷ কিন্তু আমার ছেলে স্বাধীন৷ সে একাই পুরো শহরে ঘুরে বেড়ায়৷ অন্য শহরেও যায়৷ ট্রেনে করে পুরো পোল্যান্ড ঘুরে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করে৷ তার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বোধ অনেক বেশি৷ সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ স্পোয়েচনা এই ক্যাফে চালু করেছে৷ গরমের সময় তারা ফুড ট্রাকে করে বেলজিয়ান ফ্রাইসও বিক্রি করে৷ তাদের সব কাজই প্রতিবন্ধীদের সহায়তা করে৷ ক্যাফের পুরো আয় কর্মীদের সামাজিক পুনর্বাসনে ব্যয় করা হয়৷ কর্মীরা সব ধরনের কাজ করেন৷ কেক বানান, কফি তৈরি করেন, ক্রেতাদের সার্ভ করেন৷ এখানে কাজ করে কর্মীরা বড় স্বপ্নও দেখছেন৷ যেমন শিমনের স্বপ্ন আমেরিকায় গিয়ে গিটার বাদক হওয়া৷
রাশিয়ার বিরুদ্ধে সাইবার হামলার অভিযোগ
জার্মানির ক্ষমতাসীন এসপিডি দলের ওপর সাইবার হামলার জন্য রুশ গোয়েন্দা সংস্থাকে দায়ী করলেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷ সামরিক জোট ন্যাটোও রাশিয়ার বিরুদ্ধে বেড়ে চলা বৈরি কার্যকলাপের অভিযোগ তুলছে৷ রাশিয়া শুধু ইউক্রেন দখল করেই ক্ষান্ত না হয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তথা ন্যাটোভুক্ত দেশগুলির ওপরেও আধিপত্য বিস্তার করতে চায় বলে বিভিন্ন মহল মনে করছে৷ সেই বৈরি মনোভাবের অংশ হিসেবে মস্কোর বিরুদ্ধে ইউরোপে ব্যাপক গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ উঠছে৷ গুপ্তচর সন্দেহে একাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে৷ এবার জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক রাশিয়ার বিরুদ্ধে জার্মানিতে সাইবার হামলার অভিযোগ আনলেন৷ অস্ট্রেলিয়া সফরকালে বেয়ারবক বলেন, রাশিয়ার সামরিক গুপ্তচর সংস্থা জিআরইউ-এর এপিটি২৮ নামের একটি ইউনিট ২০২৩ সালের জুন মাসে জার্মানির সরকারি জোটের প্রধান শরিক দল এসপিডি-র সদর দপ্তরে সাইবার হামলা চালিয়েছিল৷ তার মতে, রাশিয়ার সরকারি হ্যাকাররা জার্মানির সাইবারস্পেসে যে হামলা চালিয়েছে, তা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয় এবং এর পরিণতি ভালো হবে না৷  উল্লেখ্য, সেই বছরের শুরুর দিকেই নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের ই-মেলে আড়ি পাতার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে এসপিডি অভিযোগ করেছিল৷ মাইক্রোসফট কোম্পানির সফটওয়্যারে সে সময়ে অজানা নিরাপত্তাজনিত দুর্বলতার কারণেই সেটা সম্ভব হয়েছিল৷ রাশিয়া এভাবে ঠিক কত গোপন তথ্য সংগ্রহ করতে পেরেছে, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়৷ জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে তদন্তের ফল প্রকাশ করে বেয়ারবক রাশিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন৷ সংবাদ সংস্থা ডিপিএ-র সূত্র অনুযায়ী জার্মানির অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা ও সামরিক প্রতিরোধমূলক গোয়েন্দা সংস্থাও সেই তদন্তে অংশ নিয়েছিল৷  তদন্তকারীদের ধারণা, ইউরোপজুড়ে এক সার্বিক সাইবার গুপ্তচরবৃত্তির আওতায় জার্মানির এসপিডি দলকেও লক্ষ্যবস্তু করেছে রাশিয়া৷ জ্বালানি সরবরাহ, তথ্য প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা ও এয়ানোস্পেস কোম্পানিগুলি সম্পর্কেও গোপন তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে মস্কো৷ রাশিয়ার এপিটি২৮ ইউনিটের বিরুদ্ধে অতীতেও এমন অভিযোগ উঠেছে৷ ২০১৫ সালে জার্মানির সংসদের নিম্নকক্ষ বুন্ডেসটাগের উপরেও সেই গোষ্ঠী সাইবার হামলা চালিয়েছিল বলে সন্দেহ করা হয়৷ ২০০৪ সাল থেকে সক্রিয় এই ইউনিট গোটা বিশ্বে সাইবারস্পেসে গুপ্তচরবৃত্তি চালিয়ে আসছে বলে বিভিন্ন দেশের কর্তৃপক্ষ মনে করে৷ ফ্যান্সি বেয়ার নামেও পরিচিত এপিটি২৮ ইউনিট ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে অ্যামেরিকার ডেমোক্র্যাটিক দলের উপরেও সাইবার হামলা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে৷ এমন পরিস্থিতিতে বার্লিনে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ জানানো হতে পারে৷ অতীতে এমন ঘটনার জের ধরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে৷ ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা বা সম্পত্তির ওপর নিয়ন্ত্রণ কেড়ে নেওয়ার মতো পদক্ষেপের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না৷ সামরিক জোট ন্যাটোও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বেড়ে চলা রুশ সাইবার হামলা সম্পর্কে গভীর দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছে৷ তবে সে বিষয়ে খুঁটিনাটি তথ্য প্রকাশ করা হয়নি৷ জার্মানি, এস্টোনিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়েনিয়া, পোল্যান্ড, চেক প্রজাতন্ত্র ও ব্রিটেনে বৈরি তৎপরতার উল্লেখ করেছে ন্যাটো৷ অন্তর্ঘাত, হিংসা, সাইবার ও ইলেকট্রনিক ক্ষেত্রে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো ঘটনা বেড়ে চলেছে৷ রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভুয়া তথ্য প্রচারের মতো হাইব্রিড অপারেশন-এরও অভিযোগ করেছে ন্যাটো৷