• ঢাকা রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
চাকা ছাড়াই অবতরণ করল বিমান!
সংসদে ধর্ষণের অভিযোগ  / মান বাঁচাতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন রাজনৈতিক কর্মী
সংসদ ভবনে নিজের সহকর্মীর হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অস্ট্রেলিয়ার একটি টিভি চ্যানেলে অভিযোগ তুলেছিলেন ব্রিটানি হিগিন্স নামে এক রাজনৈতিক কর্মী। তিন বছর আগে ঘটনাটি যখন সামনে আসে, হতবাক হয়ে গিয়েছিল পুরো বিশ্ব। এবার চাঞ্চল্যকর এ অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে সিডনির একটি দেওয়ানি আদালত।  সোমবার (১৫ এপ্রিল) রয়টার্স, বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ানসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম তথ্যটি নিশ্চিত করে প্রতিবেদন করেছে।  গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার নেটওয়ার্ক টেন টেলিভিশনে ২০২১ সালে ব্রিটানি হিগিন্স নামে পার্লামেন্ট হাউসের ওই রাজনৈতিক কর্মী ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছিলেন নিজের সহকর্মী ব্রুস লেহরম্যানের বিরুদ্ধে। তবে ওই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছিলেন  ব্রুস। শুধু তা-ই নয়, ব্রিটানির ধর্ষিত হওয়ার অভিযোগটি প্রচারের কারণে সেদিনের উপস্থাপিকা লিসা উইলকিনসনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলাও করেছিলেন তিনি। এবার ওই মানহানির মামলার লড়াইয়েই হেরে গেলেন ব্রুস লেহরম্যান। সহকর্মী ব্রিটানিকে ধর্ষণের যে অভিযোগ, তার সত্যতা পেয়েছেন আদালত।  সোমবার (১৫ এপ্রিল) ধর্ষণের বিষয়টি সত্যিই ঘটেছিল বলে রায় দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল আদালতের বিচারক মাইকেল লি। রায়ে হিগিন্সকে ধর্ষণের পর ব্রুস লেহরম্যান ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা বলেছেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। নেটওয়ার্ক টেন টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অশ্রুসিক্ত হিগিন্স বলেছিলেন—২০১৯ সালে কীভাবে এক মন্ত্রীর অফিসের সোফায় তার চেতনা ফিরেছিল এবং চেতনা ফেরার পর শরীরের ওপর তিনি ব্রুসকে দেখেছিলেন। তবে ব্রুস লেহরম্যান দাবি করেন, সেদিন রাতে তারা দুজন ক্যানবেরায় মদ্যপানের পর নিজ নিজ পথে যাওয়ার আগে একটি উবার শেয়ার করে প্রথমে অফিসে এসেছিলেন। সোমবার ব্রুস লেহরম্যানের মানহানির মামলাটি বাতিল করে দিয়ে নিজের রায়ে বিচারপতি মাইকেল লি বলেন, ব্রুস লেহরম্যান ২৮ বছর বয়সী হিগিন্সের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের জন্য নারকীয় উপায় গ্রহণ করেছিলেন এবং এ বিষয়ে হিগিন্সের সম্মতি আছে কি না সেই বিষয়ে উদাসীন ছিলেন। তবে অফিসে ফেরার সময় হিগিন্স মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপ ছিলেন বলেও মন্তব্য করেছেন বিচারক। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, অস্ট্রেলিয়ার আদালতে সোমবার এমন একটি মামলার আইনি রায় হলো, যা বছরের পর বছর ধরে জাতিকে আতঙ্কিত করে রেখেছে। এ ঘটনার সুবিচারের জন্য হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বলা হচ্ছে, নিজের করা মানহানির মামলার জের ধরেই অতীত অপরাধে ফেঁসে যাচ্ছেন ব্রুস লেহরম্যান। মানহানির বিচার শুরু করার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে বিচারপতি লি বলেছেন, সিংহের ডেরা থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর মিস্টার লেহরম্যান তার টুপির জন্য ফিরে এসে ভুল করেছেন। পাঁচ সপ্তাহ ধরে চলা এই বিচারে এক ডজনেরও বেশি সাক্ষীর কাছ থেকে সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এদের মধ্যে যুক্তরাজ্য থেকে ভাড়া করা একজন ‘ঠোঁট পাঠকের’ বিশ্লেষণ, হিগিন্সের মা-বাবা এবং পার্লামেন্টে ব্রুস ও হিগিন্সের সহকর্মীদের কাছ থেকে সাক্ষ্য নেন আদালত। রায়ের পর আদালতের বাইরে কথা বলার সময় নেটওয়ার্ক টেন আউটলেটের উপস্থাপিকা মিসেস উইলকিনসন বলেছেন, ‘আমি আজ অস্ট্রেলিয়ার নারীদের জন্য আনন্দিত বোধ করছি।’ এ বিষয়ে নেটওয়ার্ক টেনও একটি বিবৃতিও প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, সত্যের বিজয় হয়েছে।
সিডনিতে শপিং মলে হামলা : প্রত্যক্ষদর্শীদের ভয়াবহ বর্ণনা
সিডনিতে শপিংমলে হামলা, নিহত ৭
অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম রোজার দিন ঘোষণা
অস্ট্রেলিয়ায় যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য দুঃসংবাদ
অবশেষে বিয়ে করলেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা
বাগদানের পাঁচ বছর পর অবশেষে বিয়ে করলেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন। তার দীর্ঘদিনের সঙ্গী ক্লার্ক গেফোর্ডকেই বিয়ে করলেন তিনি। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) পারিবারিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিয়েটি সম্পন্ন হয়। নেভ নামে তাদের পাচ বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে। জেসিন্ডার মুখপাত্র জানান, শনিবার নিউজিল্যান্ডের নর্থ আইল্যান্ডের একটি উপকূলীয় এলাকায় জেসিন্ডা ও গেফোর্ডের বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। তাদের বিয়েতে ৭৫ জনের মতো অতিথি ছিলেন। ২০১৯ সালের মে মাসে তাদের বাগদান হয়। আর ২০২২ সালের প্রথম দিকে বিয়ের কথা ছিল। কিন্তু করোনা মহামারি তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। জেসিন্ডা নিজেই করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে দেশটিতে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেন। বাধ্য হয়ে বাতিল করেছিলেন নিজের বিয়ের আয়োজনও। জেসিন্ডার বয়স এখন ৪৩ আর ক্লার্কের বসয় ৪৭ বছর। ২০১৭ সাল থেকে গত বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। পরে স্বেচ্ছায় প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যান জেসিন্ডা। এমনকি পরিবারকে সময় দিতে সক্রিয় রাজনীতিকেও বিদায় জানিয়েছেন। ২০১৮ সালের জুনে জেসিন্ডা সন্তানের জন্ম দেন। বিশ্বের ইতিহাসে প্রধানমন্ত্রীর মতো পদে থেকে মা হওয়ার দ্বিতীয় ঘটনা এটি। পরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সম্মেলনে তিনি শিশুসহ যোগ দেন। বিয়ের আনুষ্ঠানিক ছবিতে দেখা যায়, জেসিন্ডা সাদা পোশাকে আর ক্লার্কের পরনে সাদা শার্টের ওপর কালো স্যুট।  প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যাওয়ার পর গত ছয় মাসে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩টি ফেলোশিপ করছেন জেসিন্ডা। জেসিন্ডা প্রিন্স উইলিয়ামস আর্থশট প্রাইজের ট্রাস্টি এবং ক্রাইস্টচার্চ কলের একজন বিশেষ দূত। ক্রাইস্টচার্চ কল একটি নেটওয়ার্ক, যেটি ‘অনলাইনে সন্ত্রাসী এবং সহিংস চরমপন্থী বিষয়বস্তু নির্মূলে’ কাজ করে। দেশটিতে ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে জুমার নামাজের সময় সন্ত্রাসী হামলা হয়। এতে ৫১ জন নিহত হন। এর পরপরই ক্রাইস্টচার্চ কল নামে একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের পর জেসিন্ডা যে সহানুভূতি দেখিয়েছেন, তাতে তিনি সবার মন জয় করে নিয়েছিলেন। পার্লামেন্টে দেওয়া শেষ ভাষণে জেসিন্ডা টেলিভিশন উপস্থাপক ক্লার্ককে উদ্দেশ করে বলেছিলেন, ‘চলো, শেষমেশ বিয়েটা করেই ফেলি।’