• ঢাকা রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
ব্রাজিলে বন্যায় নিহত ১০০ ছাড়িয়েছে, নিখোঁজ ১২৬ 
ব্রাজিলে ভয়াবহ বন্যা: নিহত বেড়ে ৯০, নিখোঁজ শতাধিক
টানা কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় তলিয়ে গেছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ রিও গ্র্যান্ডে ডো সুল। প্রদেশটিতে শহরের পর শহর তলিয়ে গেছে পানিতে। ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে এখন পর্যন্ত ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে সেখানে। এছাড়া আরও ১৩০ জনেরও বেশি মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।  বুধবার (৮ মে) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা ও বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ রিও গ্র্যান্ডে ডো সুলে ভয়াবহ বন্যার কারণে বিস্তীর্ণ এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বন্যায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৯০ জন মারা গেছেন এবং প্রায় দেড় লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। বিবিসি বলছে, বন্যায় তলিয়ে যাওয়া কিছু শহর অন্যান্য অঞ্চল থেকে এখনও বিচ্ছিন্ন রয়ে গেছে এবং নিখোঁজ থাকা ১৩০ জনেরও বেশি লোককে খুঁজে পাওয়ার আশা ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। এদিকে চলতি সপ্তাহে আরও ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে এবং তেমনটি হলে এই অঞ্চলের বিপর্যয়কর পরিস্থিতি আরও খারাপ আকার ধারণ করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অনেক বাসিন্দাকে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে হয়েছে। এছাড়া বন্যায় সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ করেছে উদ্ধার কর্মীরা। আল জাজিরা বলছে, প্রদেশের রাজধানী পোর্টো আলেগ্রে বন্যায় কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সেখানকার বিমানবন্দর ও বাস স্টেশন বন্ধ হয়ে গেছে এবং প্রধান সড়কগুলোও এখন অবরুদ্ধ। এরই মধ্যে সেখানে বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। বন্যা কবলিত প্রদেশটির সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি বলেছে, বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯০ জনে পৌঁছেছে এবং আরও চারজনের মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা চলছে। সবশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আরও ১৩১ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন এবং এক লাখ ৫৫ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে খোলা আকাশের নিচে দিনযাপন করছেন।  
ব্রাজিলে প্রবল বর্ষণে নিহত ৩৯, নিখোঁজ ৭০
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের
কলম্বিয়ায় হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ৯ সেনার প্রাণহানি
পেরুতে ৬৫০ ফুট গভীর খাদে যাত্রীবাহী বাস, নিহত ২৫
মিস ইউনিভার্সের বিশ্বমঞ্চে ওঠার অপেক্ষায় ৬০ বছরের ‘তরুণী’!
আলেজান্দ্রা মারিসা রদ্রিগেজ। বয়স কেবলই যে একটি সংখ্যা, তার সবচেয়ে বড় দৃষ্টান্তই হয়তো স্থাপন করে ফেললেন ৬০ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন এ ‘তরুণী’। হ্যাঁ, ঠিকই দেখছেন, তরুণীই বটে! নয়তো যে বয়সে পা দিয়ে বেশিরভাগ মানুষই জীবনীশক্তি হারাতে থাকেন, সোজা হয়ে চলাফেরার শক্তিটাও যে বয়সে হারিয়ে ফেলেন অনেকে, সে বয়সেই কিনা মারিসা মাথায় পড়লেন সুন্দরী প্রতিযোগিতায় সেরার মুকুট।  বুধবার (২৪ এপ্রিল) আর্জেটিনার বুয়েনস এইরেস প্রদেশের মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় সেরা সুন্দরীর মুকুট জিতেছেন তিনি। আলেজান্দ্রা মারিসা রদ্রিগেজই বিশ্বের প্রথম নারী, যিনি ৬০ বছর বয়সে কোনো সুন্দরী প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হলেন।  পেশায় সাংবাদিক ও আইনজীবী মারিসা এখন প্রহর গুনছেন মিস ইউনিভার্স আর্জেন্টিনার ফাইনালে জেতার। আর এমনটা হলেই মিস ইউনিভার্সের বিশ্বমঞ্চ সাক্ষী হবে রোমাঞ্চকর এক অভিজ্ঞতার। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সেরা সুন্দরীদের সঙ্গে এক মঞ্চে উঠতে দেখা যাবে ৬০ বছর বয়সী ব্যতিক্রমী এক তরুণীকে।    প্রাদেশিক সেরা সুন্দরীর মুকুট জয়ের পর উচ্ছ্বাস ঝরে পড়ছে মারিসার কণ্ঠেও। আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা এপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মারিসা বলেন, সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় নতুন এই দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পেরে আমি রোমাঞ্চিত। আমরা একটি নতুন অধ্যায় উন্মোচন করেছি, যেখানে কেবল নারীদের শারীরিক সৌন্দর্য নয়, মূল্যবোধ দিয়ে বিচার করা হয়।  আগামী মাসের শেষভাগে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া মিস ইউনিভার্স আর্জেন্টিনা জেতার ব্যাপারেও অনেকটা আত্মবিশ্বাসী বলে এ সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন তিনি। গত বছরের সেপ্টেম্বরে মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশন ঘোষণা করেছিল, এখন থেকে প্রতিযোগীদের জন্য আর বয়সের সীমা থাকবে না। এবার থেকে ১৮ বছরের বেশি বয়সী যে কোনো নারী সুন্দরী প্রতিযোগিতার জন্য যোগ্য বলে বিবেচ্য হবেন। এর আগে শুধুমাত্র ১৮-২৮ বছর বয়সী নারীরাই অংশ নিতে পারতেন মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায়। মিস ইউনিভার্স ২০২৪ এর মূল প্রতিযোগিতা এবার অনুষ্ঠিত হবে মেক্সিকোতে। এর আগে ১৯৭৮, ১৯৮৯, ১৯৯৩ ও ২০০৭ সালে মোট চারবার এই প্রতিযোগিতার আয়োজক হওয়ার সম্মান অর্জন করেছে উত্তর আমেরিকার এ দেশটি।   
মোজাম্বিক উপকূলে নৌকাডুবি, ৯০ জনেরও বেশি নিহত
মোজাম্বিকের উত্তর উপকূলে একটি নৌকা ডুবে ৯০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। রোববার (৭ এপ্রিল) নামপুলা প্রদেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নৌকাটিতে ১৩০ জন ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর মধ্যে পাঁচজনকে উদ্ধার করা গেছে। মাছ ধরার নৌকায় করে তারা নামপুলা প্রদেশের একটি দ্বীপে পৌঁছানোর চেষ্টা করার সময় এ ঘটনা ঘটে। নামপুলার একজন মন্ত্রী জানিয়েছেন যে, অতিরিক্ত যাত্রী তোলার কারণে নৌকাটি ডুবে যায়। এতে ৯১ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। নিহতদের মধ্যে অনেক শিশু রয়েছে। উদ্ধারকারীরা পাঁচজনকে জীবিত উদ্ধার করেছে। আরও সন্ধান চলছে, কিন্তু সমুদ্রের অবস্থার কারণে উদ্ধার কাজ কঠিন হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, দেশটিতে দেখা দেওয়া কলেরার প্রাদুর্ভাব থেকে বাঁচতে মূল ভূখণ্ড থেকে নিহতরা অন্য কোথাও পালিয়ে যাচ্ছিলেন। একটি তদন্তকারী দল নৌকাডুবির কারণ খুঁজে বের করার জন্য কাজ করছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে মোজাম্বিকে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ কলেরায় আক্রান্ত হয়েছে। এরমধ্যে ৩২ জন মারা গেছেন। গত বছরের জানুয়ারি থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে কলেরার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এরমধ্যে নামপুলা প্রদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।  সূত্র : এনডিটিভি
মারা গেলেন পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি
বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি জুয়ান ভিসেনটি পেরেজ মোরা শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। ১১৪ বছর বয়সী মোরা গত মঙ্গলবার মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন মোরার পরিবারের সদস্যরা। খবর- এএফপি দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার নাগরিক মোরার মৃত্যু সংবাদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছেন অনেকেই; ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোও রয়েছেন তাদের মধ্যে। মঙ্গলবার নিজের এক্স অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা এক বার্তায় মাদুরো বলেন, ‘১১৪ বছর বয়সী জুয়ান ভিসেনটি পেরেজ মোরা আজ আমাদের ছেড়ে অনন্তলোকে যাত্রা করেছেন।’ ২০২২ সালে পেরেজকে বিশ্বের সবচেয়ে বৃদ্ধ ব্যক্তি বলে স্বীকৃতি দেয় গিনেজ। সে সময়ে তার বয়স ছিল ১১২ বছর।  পেরেজের ১১ সন্তান এবং ৪১ জন নাতি-নাতনি রয়েছে। এই ৪১ জনের আবার ১৮ সন্তান আছে, আর এই ১৮ জনেরও আছে ১২ সন্তান।  পেরেজ, যার ডাকনাম ছিল টিও ভিনসেন্ট, এল কোবরে শহরে ১৯০৯ সালের ২৭ মে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পেশায় আখ ও কফি কৃষক ছিলেন। জীবনের এক পর্যায়ে তিনি ওই শহরের শেরিফের দায়িত্ব নেন এবং স্থানীয় জমি ও পারিবারিক বিবাদ মেটানোর কাজ করেন। 
রোলেক্স পরে বিপাকে পেরুর প্রেসিডেন্ট, বাসভবনে পুলিশের হানা
রাষ্ট্রের অধিপতি হিসেবে ভাতা পান সাড়ে চার হাজার ডলারের কম; অথচ হাতে পড়েন ৫ লাখ ডলারের ঘড়ি। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রোলেক্স ব্র্যান্ডের বিলাসবহুল ঘড়িটি শোভা পায় পেরুর প্রেসিডেন্ট দিনা বোলুয়ার্তের হাতে। এবার এ ঘড়ির কারণেই অস্বস্তিকর এক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন ৬১ বছর বয়সী এ সরকার প্রধান।   প্রেসিডেন্ট হিসেবে বোলুয়ার্তের বেতন-ভাতা আর হাতে পরা ঘড়িটির দামের মধ্যে আকাশ-পাতাল ব্যবধানে দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছে পেরুর বিচার বিভাগ। ফলে প্রেসিডেন্টের বাসভবনে অভিযান চালানোর অনুমতি দিয়েছে বিভাগ। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিলাসবহুল ঘড়িটির খোঁজে সেখানে যৌথ অভিযান চালিয়েছে পুলিশ এবং প্রসিকিউটর অফিস।   অভিযান পরিচালনাকালে রাজধানী লিমার সুরকিলো জেলায় প্রেসিডেন্টের বাসভবন ঘেরাও করার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন সরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা। এ সময় প্রেসিডেন্টকে অবশ্য তার বাসভবনে দেখা যায়নি। শনিবার (৩০ মার্চ) ভোরে পরিচালিত অভিযানটি সম্প্রচারিত হয়েছে স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল লাতিনায়। বার্তা সংস্থা দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ছবিতে তদন্তকারী দলের এজেন্টদের প্রেসিডেন্টের বাসভবনে একটি স্লেজহ্যামার নিয়ে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। পুলিশের নথির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,  বিলাসবহুল রোলেক্স ঘড়িটির সন্ধানে প্রেসিডেন্টের বাসভবনে অভিযান চালায় অন্তত ৪০ জন কর্মকর্তা। নিজের সম্পদ বিবরণীতে এ ঘড়িটির কথা উল্লেখ করেননি প্রেসিডেন্ট বোলুয়ার্তে। অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসের অনুরোধে বিচার বিভাগ কর্তৃক অনুমোদিত এই অভিযান সম্পর্কে পুলিশ জানায়, ‘তল্লাশি ও জব্দ করার উদ্দেশ্যেই অভিযান চালানো হয়েছে।’ এদিকে এ বিষয়ে এক্স প্ল্যাটফর্মে প্রেসিডেন্ট বোলুয়ার্তে বলেন, ‘অভিযানে বাসভবনের কর্মীরা কর্মকর্তাদের সহযোগিতা করেছেন। এটি স্বাভাবিক, কোনো ঘটনা ছাড়াই অভিযানটি শেষ হয়েছে।’ প্রেসিডেন্টের বাসভবনে এ ধরনের অভিযানকে ভালো চোখে দেখছেন না পেরুর প্রধানমন্ত্রী গুস্তাভো আদ্রিয়ানজেন। এক্স হ্যান্ডলে তিনি বলেছেন, ‘যে রাজনৈতিক গোলমাল তৈরি করা হচ্ছে, এটি গুরুতর ব্যাপার। এতে বিনিয়োগ এবং সমগ্র দেশ প্রভাবিত হচ্ছে। গত কয়েক ঘণ্টায় যা কিছু ঘটেছে তা বাড়াবাড়ি এবং অসাংবিধানিক।’  এছাড়া অভিযানকালে প্রেসিডেন্ট বোলুয়ার্তেকে দেখতে পাওয়া না গেলেও তিনি ওইসময় তার বাসভবনেই ছিলেন বলে দাবি প্রধানমন্ত্রী আদ্রিয়ানজেনের। বোলুয়ার্তের পক্ষে নিজের শক্ত অবস্থান জাহির করে তিনি বলেন, তলব করা হলে প্রেসিডেন্ট প্রসিকিউটরের অফিসে গিয়ে বিবৃতি দেবেন। মন্ত্রিপরিষদ বা প্রেসিডেন্ট বোলুয়ার্তের পদত্যাগের কোনো প্রশ্নই নেই! জানা যায়, পেরুর স্থানীয় নিউজ আউটলেট লা এনসাররোনাতে প্রেসিডেন্ট বোলুয়ার্তের ঘড়ি আর আয় নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর চলতি মাসে  তার সম্পদের বিষয়ে তদন্ত শুরু করে কর্তৃপক্ষ।  সরকারি বেতনে কীভাবে এত ব্যয়বহুল ঘড়ি পরতে পারেন সে প্রশ্নের জবাবে প্রেসিডেন্ট বোলুয়ার্তে সংবাদমাধ্যমটিকে বলেছিলেন, ১৮ বছর বয়স থেকে কঠোর পরিশ্রমের ফল এটি। এ সময় তার ব্যক্তিগত বিষয়গুলো ঘাঁটাঘাঁটি না করার জন্য সংবাদমাধ্যমটিকে অনুরোধও করেছিলেন তিনি। আল জাজিরার সাংবাদিক মারিয়ানা সানচেজ জানান, বিশেষজ্ঞদের অনুমান অনুযায়ী, বোলুয়ার্তের ওই ঘড়ির দাম প্রায় ৫ লাখ মার্কিন ডলার। প্রেসিডেন্ট বা ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান ছিলেন তিনি। সেখানে তার মাসিক বেতন ছিল ১ হাজার ডলার। আর এখন প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রতি মাসে প্রায় ৪ হাজার ৩০০ ডলার ভাতা পান। ফলে অনেকে বলছেন, এই ঘড়ি কেনার সামর্থ্য রাখেন না পেরুর প্রেসিডেন্ট। এদিকে তদন্তে সহযোগিতা এবং ঘড়ি কেনার প্রমাণপত্র সরবরাহ করার জন্য বোলুয়ার্তেকে নির্দেশ দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল হুয়ান ভিলেনা। পেরুর সরকারি নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে, কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না, খতিয়ে দেখতে বোলুয়ার্তের গত দুই বছরের সম্পদ বিবরণী পর্যালোচনা করবেন তারা। বোলুয়ার্তে অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ‘আমি পরিষ্কার হাতে সরকারি প্রাসাদে প্রবেশ করেছি এবং আমি পরিষ্কার হাতে এখান থেকে বের হবো।’ উল্লেখ্য, ২০২১ সালের জুলাইয়ে পেরুর ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং সামাজিক অন্তর্ভুক্তি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান দিনা বোলুয়ার্তে। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্তিলো কংগ্রেস ভেঙে দিয়ে ডিক্রি জারি করার চেষ্টা করলে ক্ষমতাচ্যুত এবং গ্রেপ্তার হন। এরপর ২০২২ সালের ডিসেম্বরে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেন বোলুয়ার্তে। ওই ঘটনার পরে বিক্ষোভ সংঘটিত হলে অন্তত ৪৯ জন নিহত হন তাতে। সমালোচকদের মতে, ক্রমেই কর্তৃত্ববাদী হয়ে উঠছে বোলুয়ার্তের সরকার। কারণ আগাম নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন কঠোর হস্তে দমন করেছে এ সরকার। শুধু তাই নয়, পেরুর বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করে, এমন আইন পাসেরও চেষ্টা করছে বোলুয়ার্তে সরকার।
ভেনেজুয়েলায় স্বর্ণের খনিতে ধস, ২৩ জনের মৃত্যু
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলায় একটি স্বর্ণের খনিতে ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। দুর্ঘটনার সময় সেখানে ২০০ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ভেনেজুয়েলার মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ বলিভারের শহর লা প্যারাগুয়ার একটি উন্মুক্ত সোনার খনিতে এ ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় আরও অন্তত ১১ জন গুরুতর আহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন শহরটির মেয়র ইয়োর্গি আরসিনিয়েগা। খবর আল জাজিরার।    মেয়রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেআইনিভাবে পরিচালিত ওই স্বর্ণের খনিটিতে মাটির দেওয়াল ধসে পড়ার ঘটনায় ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এদিকে ভেনেজুয়েলার বেসামরিক নিরাপত্তা উপমন্ত্রী কার্লোস পেরেজ অ্যাম্পুয়েদা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এই দুর্ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন এবং ধসের ঘটনায় নিহতের সংখ্যাকে ‘বিশাল’ বলে উল্লেখ করেছেন। যদিও তিনি নিহতের কোনও সংখ্যা উল্লেখ করেননি। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, একটি উন্মুক্ত খনির অগভীর পানিতে কর্মরত লোকদের ওপর ধীরে ধীরে মাটির একটি প্রাচীর ভেঙে পড়ছে। অনেকেই ঘটনার সময় সেখান থেকে পালাতে সক্ষম হলেও বেশ কয়েকজন তার নিচে চাপা পড়ে যান। বলিভার প্রদেশের নাগরিক নিরাপত্তা বিষয়ক সেক্রেটারি এডগার কোলিনা রেয়েস বলেছেন, আহতদের আঞ্চলিক রাজধানী সিউদাদ বলিভারের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সামরিক বাহিনী, দমকল বাহিনী এবং অন্যান্য সংস্থাগুলো আকাশপথে ওই এলাকায় যাচ্ছে। তিনি বলেন, অনুসন্ধানে সহায়তার জন্য রাজধানী কারাকাস থেকেও উদ্ধারকারী দল পাঠানো হচ্ছে। প্রসঙ্গত, স্বর্ণ, হীরা, লোহা, বক্সাইট, কোয়ার্টজ এবং কোল্টান সমৃদ্ধ অঞ্চল বলিভার। রাষ্ট্রীয় খনি ছাড়াও এ অঞ্চলে বেশ কয়েকটি উন্মুক্ত খনিতে অবৈধভাবে এসব মূল্যবান ধাতু উত্তোলন চলে। এর আগে, গত বছরের ডিসেম্বরে একই অঞ্চলের ইকাবারুর আদিবাসী সম্প্রদায়ের একটি খনি ধসে কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছিলেন।
হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে চিলির সাবেক প্রেসিডেন্ট নিহত
হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে চিলির সাবেক প্রেসিডেন্ট সেবাস্তিয়ান পিনেরা মারা গেছেন। তিনি দুই মেয়াদে দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ৭৪ বছর বয়সী পিনেরা তার নিজের হেলিকপ্টারটি উড়িয়েছিলেন। তার সঙ্গে আরও তিনজন আরোহী ছিলেন। চিলির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর লাগো র‍্যাঙ্কোর কাছে একটি হ্রদে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। এতে পিনেরা মারা গেলেও বাকি তিন আরোহী বেঁচে গেছেন। দুর্ঘটনার সময় হেলিকপ্টারটি কে চালাচ্ছিলেন তা জানা যায়নি। এদিকে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে চিলির সাবেক প্রেসিডেন্ট সেবাস্তিয়ান পিনেরার মৃত্যুতে দেশটিতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক। উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালে সামরিক শাসনের অবসানের পর ২০১০ সালে সেবাস্তিয়ান পিনেরা চিলির প্রথম রক্ষণশীল প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। প্রথম মেয়াদে ২০১৪ সাল পর্যন্ত চিলির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এরপর দ্বিতীয় মেয়াদে ২০১৮ সাল থেকে গত বছর পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
চিলিতে দাবানলে নিহত বেড়ে ৯৯, জরুরি অবস্থা জারি
চিলিতে ভয়াবহ দাবানলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া এখনও শত শত মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) পৃথক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স ও বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়, চিলির ভালপারাইসো অঞ্চলে দাবানলে অন্তত ৯৯ জন নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বলেছেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা করবেন তিনি। এদিকে চিলির আবাসন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দাবানলে ৩ হাজার থেকে ৬ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া দাবানল ছড়িয়ে পড়ার পর গত শনিবার ভিনা ডেল মার, লিমাচে, কুইলপু এবং ভিলা আলেমনায় কারফিউও জারি করা হয়। এল অলিভারের ৬১ বছর বয়সী বাসিন্দা  রদ্রিগো পুলগার এই দাবানলকে ‘নরক’ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমি আমার প্রতিবেশীকে সাহায্য করার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু পরে বুঝতে পারি, দাবানলে আমার নিজের বাড়িটিও জ্বলতে শুরু করেছে। আমাদের ওপর ছাই বৃষ্টি হচ্ছিল। আমার প্রতিবেশী এই আগুনে মারা গেছে কারণ আমরা তাকে বের করতে পারিনি। চিলির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছেন, ভয়াবহ এই দাবানলে দেশটির ৪৩ হাজার হেক্টরেরও বেশি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা এবং প্রবল বাতাসের কারণে এই দাবানল আরও তীব্র রূপ ধারণ করেছে। তাপমাত্রা ইতোমধ্যে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। ভালপারাইসো অঞ্চলের অনেক অংশে আকাশ দাবানলের কারণে কালো ধোঁয়া ছেয়ে গেছে। চিলিতে প্রায় ১০ লাখ মানুষ বাস করে। দাবানল ছড়িয়ে পড়ার পর অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা হেলিকপ্টার এবং ট্রাক ব্যবহার করে আগুন নেভানোর জন্য লড়াই করছেন।