রংপুরে মাজারের খাদেম হত্যায় ৭ জঙ্গির ফাঁসি
রংপুরের কাউনিয়ায় মাজারের খাদেম ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা রহমত আলী হত্যা মামলায় সাত জঙ্গির ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ছয় জনকে খালাস দিয়েছেন।
রোববার সকালে রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকারের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে এ মামলায় ৪৬ সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য দিয়েছেন আদালতে। ৪ মার্চ মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে।
গেলো বছরের ৩ জুলাই মাজারের খাদেম রহমত আলী হত্যা মামলায় ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। এদের মধ্যে জঙ্গি বাইক হাসান ও সাদ্দাম হোসেন পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: বজ্রপাতে গ্যাস রাইজারে আগুন, নিহত ৫
--------------------------------------------------------
বাকি ১১ জনের মধ্যে ৯ জঙ্গি গ্রেপ্তারের পর থেকে কারাগারে আছেন। তারা হলেন- মাসুদ রানা, এছাহাক আলী, লিটন মিয়া, আবু সাঈদ, সাখাওয়াত হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজিব, সাদাত ওরফে রতন সরোয়ার, হোসেন ওরফে সাবু ও তৌফিকুল ইসলাম। এদিকে আসামিদের মধ্যে তিনজন পলাতক রয়েছেন। তারা হলেন- জঙ্গি সদস্য রংপুরের পীরগাছার চান্দু মিয়া (২০), বগুড়ার শাহজাহানপুর এলাকার রাজীবুল ইসলাম মোল্লা ওরফে বাদল ওরফে বাঁধন (২৫) ও দিনাজপুরের বিরামপুর এলাকার বাবুল আখতার ওরফে বাবুল মাস্টার (৩৫)।
২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর রাতে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের চৈতার মোড়ের মাজার শরিফের খাদেম রহমত আলীকে (৬০) গলা কেটে হত্যা করে জেএমবি সদস্যরা। তিনি টেপামধুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এবং চৈতার বাজারে ওষুধের দোকান করতেন। রাত ১১টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাওয়ার পথে চৈতার মোড়ে জেএমবি সদস্যরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করে।
নিহত রহমত আলী তরিকাপন্থি সুরেশ্বরী পীরের অনুসারী ও মাজারের খাদেম ছিলেন। তার বাড়িতে দরবার শরিফ ছিল। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে কাউনিয়া থানায় একটি মামলা করেন।
আরও পড়ুন:
এমসি/পি
মন্তব্য করুন