রমজানের বাকি আরও দুই মাস। তবে রমজানকে সামনে রেখে এখনি বাড়তে শুরু করেছে চিনির দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে খোলা চিনিতে বেড়েছে তিন টাকা আর প্যাকেট চিনিতে দুই টাকা।
এদিকে প্রতি কেজি গরুর মাংসে বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। তবে বাজারে স্বস্তি মিলবে কেবল সবজি কিনতে গিয়ে। সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকায় কমেছে দাম। সব ধরনের চাল বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দামেই।
খুচরা দোকানিদের অভিযোগ, রমজানের অজুহাতে খোলা ও প্যাকেটজাত চিনিতে ২ থেকে ৩ টাকা বাড়িয়েছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হতে স্বীকৃতি দিল জাতিসংঘ
--------------------------------------------------------
তারা বলছেন, আগে যে চিনি ছিল ৫৭ টাকায়, এখন তা ৫৯ টাকায় কিনতে হচ্ছে। এখন অবশ্য চাহিদাও বেশি। কারণ রোজা সামনে রেখে অনেকেই ৫ কেজির জায়গায় ১০ কেজি কিনে রাখছেন।
নদীতে জাটকা ইলিশ ধরা বন্ধ থাকায় বড় ইলিশের দাম বেড়েছে ২০০ টাকা পর্যন্ত। তবে দাম কিছুটা কমেছে অন্যান্য মাছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, মৌসুম শেষের দিকে হওয়ায় দেশি মাছ বেশি ধরা পড়ছে। এতে সরবরাহ ভালো থাকায় সাধারণত মাছের দাম কমেছে।
ছাগল ও খাসির মাংস আগের দামে বিক্রি হলেও কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে গরুর মাংসের দাম।
রাজধানীর বাজারগুলোতে দেখা যায়, শুক্রবার গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৪৬০ টাকা। যা গেলো সপ্তাহে ছিল ৪৩০ থেকে ৪৪০ টাকা।
কাঁচা বাজরে সবজির সরবরাহ প্রচুর। যার প্রভাব পড়েছে দামে। দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজেও কমেছে পাঁচ টাকা করে।
এদিকে কয়েক সপ্তাহ ধরে স্থিতিশীল চালের বাজার। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, গেল বছরের এই সময়ের চেয়ে চাল বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১২ টাকা বেশি দরে।
বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা।
আরও পড়ুন:
এসআর