ব্যাংকগুলোর আগ্রাসী ঋণে লাগাম টানার সময়সীমা আরও শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোর ঋণ আমানত সীমা সমন্বয় সময় ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে; যা আগে ছিল ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
সোমবার এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক; যা দেশের সব তফসিলী ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এই নিয়ে দুই দফায় সময়সীমা বাড়ালো বাংলাদেশ ব্যাংক।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে কর দিতে হবে: অর্থমন্ত্রী
--------------------------------------------------------
ব্যাংকগুলোর আগ্রাসীভাবে ঋণ বিতরণ ঠেকাতে এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংকগুলোর এডিআর কমানোর ঘোষণা দেয়। ওই সময় ঋণসীমা ৩০ জুনের মধ্যে সমন্বয় করতে বলা হয়েছিল।
এই নির্দেশনার কারণে বেশকিছু ব্যাংকে অর্থের টানাটানি পড়ে যায়। ফলে সুদের হার বাড়িয়ে আমানত সংগ্রহে নেমে পড়ে ব্যাংকগুলো। বেড়ে যায় ঋণের সুদহারও।
অবশেষে কড়াকড়ি আরোপের ২১ দিনের মাথায় পিছু হঠে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন করে সমন্বয়সীমার সময় বাড়িয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু এই সময়সীমা আরও বাড়ানোর জন্য চাপ সৃষ্টি করে ব্যাংক মালিকরা। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও ব্যাংক মালিকদের সংগঠন ব্যাংকার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (বিএবি)-র যৌথ বৈঠকে নগদ জমার হার হ্রাসের পাশাপাশি এডিআর সমন্বয়ে সময়সীমা বাড়ানোর দাবি জানানো হয়।
এর প্রেক্ষিতে দ্বিতীয় দফায় এডিআর সমন্বয়ে আরও সময় দিয়ে সোমবার সার্কুলার জারি করল বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন সার্কুলারে বলা হয়, ব্যাংকগুলোকে তাদের এডিআর নির্দেশিত মাত্রায় নামিয়ে আনার কার্যক্রম ২০১৯ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।
প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলো আগে ১০০ টাকা আমানত সংগ্রহ করলে ৮৫ টাকা ঋণ দিতে পারতো। ৩০ জানুয়ারির প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, এখন সেখানে ৮৩ দশমিক ৫০ পয়সা দিতে পারবে। ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলো আগে ১০০ টাকা বিপরীতে ৯০ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিতে পারতো, এখন সেখানে ৮৯ টাকা দিতে পারবে।
আরও পড়ুন :
এসআর/সি