বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য কিছু প্রণোদনা থাকবে: অর্থমন্ত্রী
আসন্ন ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য কিছু প্রণোদনা থাকবে। দীর্ঘ মেয়াদী বিনিয়োগের উৎস হিসেবে উন্নয়নশীল পুঁজিবাজার তৈরি করতে এই উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। জানালেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক অনু্ষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
প্রতি জুন মাস আসার আগে দেশের পুঁজিবাজারে আশা নিরাশার এক দোলাচলের সৃষ্টি হয়। নতুন বাজেটে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে কিছু থাকছে নাকি পুরানো কাহিনীগুলোই নতুন করে শোনাবেন অর্থমন্ত্রী- সে রকম প্রশ্নে কৌতূহল থাকেন বিনিয়োগকারীরা। এবারও একই ধরনের প্রশ্নের উত্তর জানার অপেক্ষায় তারা।
অবশ্য ২০১০ সালের ধসের পর পুঁজিবাজারে অনেক সংস্কার হয়েছে। এগুলো বিভিন্ন সময়ে অর্থমন্ত্রী, বিএসইসির চেয়ারম্যানসহ নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা বলে আসছেন।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : খেজুরের উত্তাপ রমজানে
--------------------------------------------------------
সম্প্রতি সবচেয়ে বড় সফলতা চীনের কাছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এর ২৫ শতাংশ কৌশলগত মালিকানা বিক্রি।
বাজার বিশ্লেষকেরা মনে করেন, পুঁজিবাজারের ইতিহাসে এই চুক্তি একটি বিরল ঘটনা। এ সুযোগকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারলে শুধু পুঁজিবাজার নয়, দেশের পুরো অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ হবে। বিশ্ব দরবারে ভাবমূর্তি উজ্জল হবে, বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে আর বাজারে আসবে পরিপক্কতা।
এমএ মুহিত বলছেন, দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগের জন্য পুঁজিবাজারে ভালো সুযোগ রয়েছে, আগামী বাজেটে পুঁজিবাজারকে গুরুত্ব দেয়া হবে এ বিষয়ে কিছু নির্দেশনাও থাকবে।
তিনি আরও বলেন, অর্থনেতিক উন্নয়নসহ দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য দীর্ঘকালীন বিনিয়োগ জরুরি। এ লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
দেশের পুঁজিবাজার উন্নয়নের জন্য যখন কথা বলছেন অর্থমন্ত্রী, ঠিক সেইসময়ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে দরপতনের ধারা অব্যাহত। সপ্তাহের শেষ দিনেও দেখা যায়- বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ডিএসইর লেনদেনে অংশ নিয়ে প্রায় ৩০০ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে এদিন ২৫৪ কোম্পানিরই পতন হতে দেখা যায়।
দুই পুঁজিবাজারে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমার পাশাপাশি কমেছে সূচকও।
অনুষ্ঠানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোশররফ হোসেন ভুঁইয়া বলেন, দেশি বিদেশি দীর্ঘ বিনিয়োগের জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার ও কর প্রণোদনা প্রয়োজন।
আলোচনায় বক্তারা বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণ ও পুঁজিবাজারের দিকে নজর দেয়ার তাগিদ দেন।
আরও পড়ুন :
এসআর
মন্তব্য করুন