স্থানীয় জনপ্রিয়তাকেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতার প্রধান মানদণ্ড হিসেবে দেখছে আওয়ামী লীগ। নবীন ও প্রবীণ সমন্বয়ে জনবান্ধব ব্যক্তিদেরই নৌকার টিকিট দেয়া হবে। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এমনটাই জানিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যোগ্যতার মাপকাঠি অর্জনে এরই মধ্যে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন অনেকেই। প্রবীণ প্রার্থীর বয়সের প্রতিবন্ধকতা আর ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা পুঁজি করে প্রথমবারের মতো নৌকার টিকিট পেতে তৎপর শতাধিক নবীন প্রার্থী।
জানা গেছে, তারুণ্য নির্ভর রাজনীতি গড়ে তুলতে সবসময়ই সোচ্চার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। যার প্রমাণ ২০১৪ সালের মন্ত্রিসভা ও ২০তম জাতীয় কাউন্সিলে কমিটিতে তরুণদের প্রাধান্য। সেই বিষয়টিকে খেয়াল রেখে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে একঝাক নবীন প্রার্থী শুরু করেছেন জনসংযোগ।
জনপ্রিয়তাকেই প্রধান যোগ্যতা বিবেচনায় একালাবাসীর মন জয় করতে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছেন মনোনয়ন প্রত্যাশী শতাধিক তরুণ প্রার্থী। সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরার পাশাপাশি তারা দিচ্ছেন, নানা প্রতিশ্রুতিও।
প্রার্থিতার বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী থাকলেও দলের সভাপতি যাকেই নৌকা প্রতীক তুলে দেবেন, তার পক্ষেই কাজ করার অঙ্গিকার এসব মনোনয়ন প্রত্যাশীদের।
শতবছরের যে উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে হাঁটছে আওয়ামী লীগ, তা বাস্তবায়নে তরুণ ও নবীন প্রার্থীরাই সভানেত্রী শেখ হাসিনার প্রথম পছন্দ এমন, আশা এসব মনোনয়ন প্রত্যাশীদের।
মনোনয়ন প্রত্যাশী ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ। তিনি বলছেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে যে মাপকাঠিগুলো বেছে নিয়েছে। সেটা আমি পূরণ করেছি। সব মিলিয়ে আমি মনে করছি আমাকেই মনোনয়ন দেবে।
তিনি বলেন, তবে দলের সভাপতি যাকেই নৌকা প্রতীক তুলে দেবেন, তার পক্ষেই কাজ করবো।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক আরটিভিকে বললেন, প্রধানমন্ত্রী চাইছেন, তরুণদের প্রাধান্য দিতে। সেভাবেই ভাবা হচ্ছে। আগামী নির্বাচনে তরুণদের প্রাধান্য দেয়া হবে। এজন্য যোগ্য প্রার্থী খুঁজে বের করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, তরুণদের প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে মানে এমন নয় যে প্রবীণদের অগ্রাহ্য করা হবে। এটা করা হচ্ছে জনগণের কাছের জবাবদিহিতা, গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতেই।
আরও পড়ুন :
- বাতির জায়গায় বাতি জ্বলে, গাড়ি চলে ইশারায় (ভিডিও)
- রঙচটা, জরাজীর্ণ ও লক্কর-ঝক্কর বাস ৩০ সেপ্টেম্বরের পর আর নয়: বিআরটিএ
এসজে/ এসএস