যোগ্য নারী প্রার্থীকেই প্রাধান্য দেবে আ.লীগ হাইকমান্ড
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারী প্রার্থী বাড়াবে আওয়ামী লীগ। যেসব আসনে যোগ্য নারী প্রার্থী আছে সেখানে তাদের প্রাধান্য দেয়া হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে এরই মধ্যে সম্ভাব্য নারী প্রার্থীরা তাদের প্রস্তুতিও শুরু করেছেন। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা এমনটাই জানিয়েছেন।
জানা গেছে, নারীর ক্ষমতায়নে আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগ প্রশংসিত হয়েছে বিশ্বব্যাপী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দলে এবং সরকারে এগিয়ে আছেন নারীরা।
তবে জাতীয় সংসদে সরাসরি নির্বাচিত নারী সদস্যের সংখ্যা এখনও হতাশাজনক। দশম জাতীয় সংসদে এ সংখ্যা ১৮ জন। সরাসরি জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করতে পারলে দেশের অগ্রগতিতে নারীরা জোরালো ভূমিকা রাখতে পারবে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের নারী নেত্রীরা।
আওয়ামী লীগের সাংসদ শাহেদা তারেক দীপ্তি জানান, সরাসরি নির্বাচিত হয়ে আসতে পারলে কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকে। জনগণের কাছাকাছি যাওয়া যায়। সংরক্ষিত আসনে থেকে এটা সম্ভব হয় না।
ভোট যুদ্ধ ও জনপ্রিয়তায় নারীরা কোনোভাবেই পুরুষের চেয়ে পিছিয়ে নেই বলে দাবি আওয়ামী লীগের আরেক সাংসদ অপু উকিলের। তিনি বলেন, সংরক্ষিত আসনের দিকে তাকিয়ে না থেকে জনগণের মধ্যে ঢুকে যাওয়া উচিত সবাইকে। জনগণের কাছাকাছি যেতে পারলেই নারী সাংসদ সম্পর্কে মানুষের যে ধারণা, তার অনেকটা কেটে যাবে বলে মনে করেন তিনি।
স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে যোগ্য নারী নেতৃত্ব তৈরিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান তুলে ধরে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক আরটিভিকে বলেন, প্রার্থী যোগ্য হলে সমান সুযোগ পাবেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। দলের সভাপতি নারীর ক্ষমতায়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নারী সরাসরি ভোটের নির্বাচনে অংশ নেবেন। অহিংস ও গঠনমূলক রাজনীতির জন্য নারীদের অংশগ্রহণে সদিচ্ছা মুখ্য ভূমিকা রাখবে বলেও মনে করেন আওয়ামী লীগের এ নেতা।
আরও পড়ুন :
এসজে/ এসএস
মন্তব্য করুন