ভেবেছিলাম বেলুন বিস্ফোরণ হয়েছে। কিন্তু তাকিয়ে দেখলাম এরিনায় কোনো বেলুন নেই। মুহূর্তেই সবাই চিৎকার করে ছোটাছুটি করতে লাগলো।
এসময় সবাইকে দেখে মনে হচ্ছিলো কোনো হরর সিনেমা দেখছি।
বলছিলেন, ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারে আমেরিকান পপ তারকা আরিয়না গ্র্যান্ডের কনসার্টে হামলার প্রত্যক্ষদর্শী।
সোমবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে দশটার দিকে (বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৩টা) এ হামলায় ২২ জন নিহত ও ৫৯ জন আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে দেশটির প্রভাবশালী গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানায়, বড় বেলুনটির বিস্ফোরণ হবার পর স্টেজে থাকা আরিয়নাকে সড়িয়ে নেয়া হয়।
জঙ্গিগোষ্ঠি ইসলামিক স্টেট (আইএস) পরিচালিত একটি টুইটার অ্যাকাউন্টে জঙ্গি গোষ্ঠীর আদর্শে অনুপ্রাণিত বহু সমর্থকরা এই ধরনের হামলা পশ্চিমা দেশগুলোতে যাতে আরো বেশি করে হয় সে দাবি তুলেছে।
তারা হ্যাসট্যাগ ম্যানচেস্টার দিয়ে লিখেছেন ব্রিটিশ বায়ুসেনারা যেভাবে মসুল, রাকার ওপর হামলা চালায়, সেখানে যেভাবে আক্রান্ত হয় ছোট ছোট শিশুরা, এবার সেটাই ফিরে এসেছে ম্যানচেস্টারে।
সোমবার রাতে ম্যানচেস্টারে একটি ইনডোর স্টেডিয়ামে মার্কিন সংগীতশিল্পী আরিয়ানা গ্র্যান্ডের কনসার্ট শেষ হওয়ার পরপরই এই বিস্ফোরণ ঘটে। এই বিস্ফোরণকে ‘ভয়ংকর সন্ত্রাসী হামলা’ বলে মনে করছেন দেশটির সরকার।
বিস্ফোরণের পর আতঙ্কিত লোকজন ছুটোছুটি করতে থাকেন। তাদের ব্যাপক চিৎকার-চেঁচামেচিতে পুরো এলাকায় বিশৃঙ্খল ও ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
এদিকে আরিয়না গ্র্যান্ড টুইট বার্তায় লেখেন, ‘আমি গভীরভাবে দুঃখিত। ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।’
কনসার্টে উপস্থিত ছিলেন বহু কিশোর-কিশোরী। এই মুহূর্তে তাদের বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানদের পাগলের মতো খুঁজছেন। কেউ আবার তাদের প্রিয়জনের ছবি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া পেজে শেয়ার করে বলেছেন, কেউ যদি তাদের সন্তানকে কনসার্ট এলাকায় বিস্ফোরণের পর দেখে থাকে তাহলে যেন অবিলম্বে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
- যুক্তরাজ্যে কনসার্টে বোমা হামলায় নিহত ১৯ (ভিডিও)
- ম্যানচেস্টারের ঘটনায় থেরেসা মের সমবেদনা, প্রচারণা স্থগিত
- ম্যানচেস্টারে হামলায় ঢাকার নিন্দা
- ম্যানচেস্টার হামলায় হতাহতদের পাশে ফুটবলাররা
ওয়াই/জেএইচ