হিসেবের মারপ্যাঁচে হয়তো কিছুই বদলাত না। তবু বিজেপির কাছে তাদের বিরুদ্ধে লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব ওঠাটাই হয়তো কিছুটা অস্বস্তির। অস্বস্তির সেই কাঁটা সরানোর জন্য আরও অন্তত একটা দিন সময় পেল বিজেপি। খবর আনন্দবাজারের।
চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) এনডিএ ছেড়ে সরকারের বিরুদ্ধে সোমবার অনাস্থা প্রস্তাব আনলেও, মঙ্গলবার পর্যন্ত লোকসভা মুলতবি হয়ে যাওয়ায় তা নিয়ে আর আলোচনা বা ভোটাভুটি হয়নি। একা টিডিপি নয়, মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছে ওয়াইএসআর কংগ্রেসও।
বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই লোকসভায় রয়েছে। সঙ্গে রয়েছে তাদের জোটশরিকরাও। তর্কের খাতিরে যদি ধরে নেয়া যায়, এনডিএ ছেড়ে সকল শরিকই বেরিয়ে গেলো, তাতেও বিজেপির সরকার চালাতে কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু প্রশ্নটা অসম্মানের, অসৌজন্যের এবং অস্বস্তির। আর সেই পরিস্থিতিটা চাইছে না বিজেপি। অন্যদিকে লোক জনশক্তি পার্টির রামবিলাস পাসোয়ানের ভাবভঙ্গিও খুব একটা ভালো ঠেকছে না তাদের।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: ট্র্যাফিক পুলিশকে সিম্পসনের লাইসেন্স দিলো চালক!
--------------------------------------------------------
শিবসেনার মতো জোটশরিককে নিয়ে বিজেপির আরও সমস্যা। কারণ টিডিপির অনাস্থা প্রস্তাবের প্রসঙ্গ উঠতেই তারা জানিয়ে দিয়েছিল, কোনো পক্ষই নেবে না শিবসেনা। তারা নিরব থাকবে। এই ‘নিরব কাঁটা’ও বিজেপিকে ভাবাচ্ছে। তাই এদিন লোকসভা এক দিনের জন্য মুলতবি হতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ জানিয়ে দিয়েছেন, আমরা আলোচনার জন্য তৈরি আছি।
এদিকে দিনের শুরুতেই বিরোধীদের তুমুল হট্টগোলের জন্য বেলা ১২টা পর্যন্ত লোকসভা এবং বিকেল সাড়ে তিনটে পর্যন্ত রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতবি হয়ে যায়। পরে বেলা ১২টা নাগাদ ফের প্রশ্নোত্তর পর্ব দিয়ে লোকসভা শুরু হয়। কিন্তু হট্টগোল না থামায় পুরো দিনের জন্যই অধিবেশন মুলতবি করে দেন লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন।
আরও পড়ুন:
এ/পি
