মেয়েটির বয়স মাত্র ৮ বছর। যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় গৃহহীনদের শিবিরে তাকে ঘুরে বেড়াতে দেখলে মনে হতেই পারে যে, যুদ্ধের কারণেই পা দুটি খুইয়েছে শিশুটি। খবর এবেলার।
কিন্তু আসলে তা নয়। আট বছরের ছোট্ট মেয়েটি জন্মেছিল পা-হীন। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলা হয় ‘কনজেনিটাল অ্যাম্পিউটেশন’। যুদ্ধের জন্য গৃহহারা মানুষদের, সরকারের তরফ থেকেই নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানী শহরের নানা রিফিউজি ক্যাম্পে। সিরিয়ার আলেপ্পো শহরের বাসিন্দা মায়া মেহরিকে হঠাৎ একদিন তার পরিবারের সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় ইস্তাম্বুলে।
---------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : মার্কিন পণ্যে পাল্টা শুল্ক কানাডার
---------------------------------------------------------
মায়ার বাবাও একই শারীরিক অক্ষমতার শিকার। তিনিই এতদিন মায়ার জন্য তৈরি করে দিতেন ‘প্রসথেটিক’ পা, টিনের সঙ্গে দুই পায়ে স্পঞ্জের মতো নরম বস্তু জড়িয়ে। তার নিচে তিনি বসিয়ে দিতেন টিনের কৌটা। এর ফলে, পায়ের সঙ্গে মাটির ঘর্ষণ হতো না। মায়াও নিজের মতো ঘুরে বেড়াতে পারতো।
কিন্তু এবার দেশের সরকারই বাবা ও মেয়ের ভার কাঁধে তুলে নিয়েছে। তুরস্কের এক চিকিৎসক কালকু সংবাদসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, মায়ার ছবি দেখেই তিনি ঠিক করেছেন, মেয়েটির চিকিৎসার সব ভার তিনিই নেবেন। টিনের কৌটা নয় মায়ার জন্য ব্যবস্থা করবেন আসল ‘প্রসথেটিক’পায়ের।
আরও পড়ুন :
ট্রাম্পের ‘মন্তব্যে’ এস্তোনিয়ায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের পদত্যাগ!
মালয়েশিয়ায় অবৈধ শ্রমিকদের বৈধকরণের শেষ সুযোগ আজই
এ/পি