ঢাকারোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২

নিষ্পাপ আনন্দ ও বৈধ বিনোদন সুন্নত

আরটিভি অনলাইন ডেস্ক

শুক্রবার, ৩০ মার্চ ২০১৮ , ০১:০৭ পিএম


loading/img

ইসলাম পরির্পূণ জীবন বিধান। ইসলামের উদ্দেশ্য হলো দুনিয়াতে শান্তি ও পরকালে মুক্তি। তাই ইসলামের  বিধান জীবনব্যাপী। সুখ-দুঃখ জীবনেরই অংশ। সুখী জীবনের জন্য চাই আনন্দ ও বিনোদন। বিনোদনের উপকরণগুলোর প্রায় সব কটিই  নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরাম প্রয়োগ ও উপভোগ করেছেন। যেমন-গল্প, কৌতুক, হাস্যরস, খেলাধুলা, কবিতা আবৃত্তি কবিতা লিখা, গদ্যপাঠ, সাহিত্য রচনা, সঙ্গীত ইত্যাদি।  হাস্যরসবোধ মানুষের জন্মগত বিষয়। হাস্যরসের অন্যতম উপায় হলো কৌতুক। নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাজারো দুঃখ-কষ্টেও হাস্যরস ও কৌতুক করেছেন।

বিজ্ঞাপন

একবার নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কয়েকজন সাহাবিসহ খেজুর খাচ্ছিলেন। প্রত্যেকে খেজুরের বিচি যাঁর যাঁর সামনে রাখছিলেন । নবীজী (সা.) তাঁর খেজুরের বিচি হজরত আলী(রা.) এর সামনে (তাঁর খেজুরের বিচির সঙ্গে) রাখতে লাগলেন। খেজুর খাওয়া শেষ হলে দেখা গেল, সবার সামনে প্রায় একই পরিমাণ খেজুরের বিচি, কিন্তু হজরত আলী (রা.) এর সামনে দ্বিগুণ খেজুরের বিচি এবং নবীজীর সামনে কোনো বিচিই নেই। এবার নবীজী বললেন,  আলী তুমি তো দ্বিগুণ খেজুর খেয়েছ। তখন হজরত আলী (রা.) বললেন, আমি  হয়তো খেজুর বেশি খেয়েছি কিন্তু খেজুরের বিচি খাইনি। আপনি তো খেজুরের বিচিসহই খেয়ে ফেলেছেন।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: এ বছর হজ ফ্লাইট শুরু ১৪ জুলাই
--------------------------------------------------------

বিজ্ঞাপন

সব সময় হাসি খুশি থাকা ও হাসিমুখে কথা বলা সুন্নত। নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সদা হাসি মুখে থাকতেন। নবীজী বলেছন, কোনো মুসলমানের সঙ্গে দেখা হলে হাসিমুখে কথা বলা সদকা করার সমান সওয়াব। অর্থাৎ দানে যেমন পুণ্য হয় ও  আত্মা পবিত্র হয়, মন পরিষ্কার হয় ও শান্তি লাভ হয়। অনুরূপ হাসি দ্বারা পূর্ণ অর্জন হয়, মন পরিষ্কার হয় ও শান্তি লাভ হয়।

(শামায়েলে তিরমিজি শরীফ)

আনন্দ-বিনোদনের অন্যতম অনুষঙ্গ হলো সঙ্গীত। নবীজী (সা.) যখন প্রিয় মাতৃভূমি মক্কা শরীফ থেকে হিজরত করে মাদিনায় গেলেন। তখন মাদিনার ছোট্ট ছেলে-মেয়েরা  সঙ্গীত গেয়ে নবীজীকে স্বাগত জানায়।

বিজ্ঞাপন

(ইসলামি বিশ্ব কোষ)

নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাব্য পছন্দ করতেন। হজরত হাসসানা ইবনে সাবিত (রা.) ভাল কবিতা রচনা করতেন। নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জন্য মাদিনা শরিফে মসজিদে নববীতে আরেকটি মিম্বর বানিয়ে দিলেন। যেখান থেকে তিনি তাঁর কাব্য উপস্থাপন করতেন। একবার নবীজী (সা.) তাঁর কবিতায় মুগ্ধ হয়ে নিজের গায়েব উত্তরীয় তাকে উপহার দিয়েছিলেন।

(আল বিদায়া ওযান নিহায়া)

নবী পত্নীগণসহ বহু নারী সাহাবিও কবিতা ও সাহিত্য রচনা করেছেন। হজরত আয়েশা (রা.) ছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম। তিনি অনেক কবিতা লিখেছেন। যেমন, লানা শাসছুন ওয়া লিন আফাকি শামছুন, ওয়া শামছি আফদালুশ শামছি ছামায়ি।

আরও পড়ুন:

এমকে

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |