এই প্রথম বানরের ক্লোনিং এর মাধ্যমে দুটি বানরের জন্ম দিয়েছেন চীনা বিজ্ঞানীরা। সূত্র ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
চীনের একটি গবেষণাগারে কয়েক সপ্তাহ আগে লম্বা লেজ বিশিষ্ট মাঝারি ধরনের দুই বানর ঝোং ঝোং এবং হুয়া হুয়ার জন্ম হয়েছে। বানরগুলো দেখতে হুবহু একই রকম।
গবেষকরা জানিয়েছেন, বানর দুটি বোতলজাত খাবার খাচ্ছে এবং স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় বেড়ে ওঠছে। তারা আগামী কয়েক মাসের মাধ্যমে এরকম আরও প্রাণী ক্লোনিং করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন।
চাইনিজ একাডেমি অব সায়েন্স ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সের গবেষক কুয়াং সান বলেন, বানরের ক্লোন করার এ সাফল্য মানুষের অনেক অসুখ যেমন ক্যান্সার, দেহের ভেতরে-বাইরের নানা ডিসঅর্ডার নিয়ে গবেষণায় সহায়ক হবে।
যদিও পৃথিবীতে বানরই প্রথম মানব প্রজাতির সবচেয়ে কাছাকাছি কোনো প্রজাতির ক্লোন নয়, কিন্তু এই প্রথম সিংগল সেল নিউক্লিয়ার ট্রান্সফার নামক টেকনিক অবলম্বন করে কোনো ক্লোন বানানো হলো। যার মাধ্যমে একটি ডিম্বানুতে সেল নিউক্লিয়াস ডিএনএ ট্রান্সফার করার মাধ্যমে একটি এমব্রায়ো ডেভেলপ করা হয়। ঠিক এই প্রক্রিয়ার কাছাকাছি একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পৃথিবীর প্রথম ক্লোনিংটি করা হয়েছিল। ১৯৯৬ সালে প্রথম স্তন্যপায়ী প্রাণী হিসেবে ডলি নামক একটি ভেড়াকে ক্লোন করা হয়েছিল। সে সময় ক্লোন করা এ ভেড়া তোলপাড় সৃষ্টি করেছিল বিজ্ঞান গবেষণায়। ২০০৩ সালে ফুসফুসজনিত রোগে ডলি মারা যায়।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে এই টেকনিকটির মাধ্যমে গবেষকরা কিছুদিনের মধ্যেই জিনগতভাবে হুবহু একই রকম বানরে গবেষনাগার ভরে ফেলতে পারবে। এর ফলে মানুষের রোগব্যাধি নিয়ে বৈজ্ঞানিক ও মেডিকেল রিসার্চ করার অনেকগুলো সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যাবে।
বিশ্লেষকদের মতে, গুরুত্বপূর্ণ এ উদ্ভাবনের ফলে মানব ক্লোন করাটা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। তবে এ নিয়ে সর্বমহলে নৈতিক ও আইনগত বাধ্যবাধকতার ব্যাপারগুলো নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে।
আরও পড়ুন
কেএইচ/জেএইচ