ঢাকাবৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সংস্কার প্রস্তাবের যৌক্তিকতা যাচাইয়ে গবেষণা গ্রন্থ প্রকাশ

আরটিভি নিউজ

বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ০৫:১৮ পিএম


loading/img

সংবিধান ও নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারের লক্ষ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন ও নির্বাচন সংস্কার কমিশনদ্বয় যেসব প্রস্তাবাদি পেশ করেছে, সেগুলো দেশের জন্য কতটা উপযোগী, তা বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে বিশ্লেষণ করে একটি গ্রন্থ প্রকাশ করা হয়েছে। 

বিজ্ঞাপন

‘সংবিধানের পোস্টমর্টেম : পর্যালোচনা, বিশ্লেষণী ও সংস্কারের রূপরেখা’ নামক এই গ্রন্থটিতে, কমিশনগুলো সুপারিশগুলোর পক্ষে এবং বিপক্ষের সমস্ত যুক্তি, তথ্য ও তত্ত্বগুলো একত্রে উপস্থাপন করে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। অনুরূপভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞগণ কর্তৃক প্রকাশিক সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাবগুলোর উপযোগিতা।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে গ্রন্থটির অন্যতম সম্পাদক অধ্যাপক ড. আনিসুল হক বলেন, বইটায় সংবিধানের মত জটিল এবং স্পর্শকাতর একটা বিষয়কে জুলাই বিপ্লব প্রজন্ম তাদের নিজস্ব চিন্তা এবং পদ্ধতিতে প্রকাশ করেছে। বইয়ের লেখক-গবেষকরা সবাই তরুণ। তারা যে সার্ভে করেছে, সেখানকার তথ্যদাতারাও অধিকাংশই তরুণ। 

তিনি বলেন, বইটার একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো : এর গবেষণা পদ্ধতি। সংবিধানের বিভিন্ন পরস্পরবিরোধী জটিল যেসব প্রস্তাব রয়েছে, প্রত্যেকটির যৌক্তিকতা যাচাইয়ের জন্য ‘ক্রস এলিমিন্যাটিং লজিক্যাল অ্যানালাইসিস’ নামের একটা বিজ্ঞান ভিত্তিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। এটা একটা যুক্তিনির্ভর, বস্তুনিষ্ঠ, নিরপেক্ষ পদ্ধতি। এই পদ্ধতি দিয়ে সামাজিক বিজ্ঞানের বিভিন্ন সমস্যার নিরপেক্ষ বিশ্লেষণ সম্ভব। 

আনিসুল হক বলেন, বইটা পড়তে গিয়ে পাঠকের মনে অনেক প্রশ্নের উদয় হবে, যার উত্তর এই বইতে নাই। পাঠক চাইলে বইতে ব্যবহৃত পদ্ধতি ব্যবহার করে নিজে নিজেই সেই প্রশ্নটির উত্তর বের করতে পারে।

বিজ্ঞাপন

গ্রন্থটির মুখ্য গবেষক ও রচয়িতা মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমাদের গবেষণা গ্রন্থের বিশ্লেষণ পদ্ধতি একরৈখিক না। আমরা বিভিন্ন অংশীদারদের প্রস্তাবগুলোর পক্ষের এবং বিপক্ষের উভয় যুক্তিগুলোই একত্র করেছি। এরপর বিপক্ষের যুক্তি অর্থাৎ, প্রস্তাবটির অসুবিধাগুলো কীভাবে দূর করা যায়, তার কৌশল বের করার চেষ্টা করেছি।

বিজ্ঞাপন

মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে গ্রন্থটির গবেষণা সহযোগী মো. আশিফ করিম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুল মোমেন, গ্রন্থটির প্রকাশক আবু বকর সিদ্দিক, গ্রন্থটির অন্যতম সম্পাদক এনামূল হক পলাশ ও মুহাম্মাদ সাদ্দাম হোসেন, গ্রন্থটির গবেষণা সহযোগী মো. আশিফ করিম, শেখ সাদী ইমু, আবদুর রহিম আয়মান, এ.কে. এম. আরাফাত, মোহাম্মাদ জিহাদ, মো. জাহিদ হাসান দেওয়ান, কবি ও সাংবাদিক পলিয়ার ওয়াহিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরটিভি/আরএ

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |