বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক পরীক্ষিত: বিদায়ী হাইকমিশনার
দুই দেশের সম্পর্ক অবনতি করার জন্য কেউ কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালায়।দুই দেশের সম্পর্ক পরীক্ষিত।বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এতো হালকা নয়। বললেন বিদায়ী ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট)মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের পর তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সাথে সাক্ষাৎ করেন রীভা গাঙ্গুলি দাশ। এ সময় বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সরকার এবং জনগণের সহায়তার কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। স্বাধীনতার ৫০ বছরপূর্তিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতীয় মিত্র বাহিনীর শহীদ সদস্যদের অবদান স্মরণে বাংলাদেশ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করছে বলে মন্ত্রী গাঙ্গুলীকে জানান।
ভারতীয় হাই কমিশনার বলেন, গত কয়েক বছরে দুদেশের মধ্যে অনেক কাজ হয়েছে। ছিটমহল সমস্যা, সমুদ্র সীমানা বিরোধ সমাধান হয়েছে। দুই দেশ উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।
ভারতীয় হাইকমিশনার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ণ উন্নয়ন এবং নারীর ক্ষমতায়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের উপর লিখিত বইয়ের হিন্দিতে অনুবাদ করার জন্য অনুরোধ করেন। এছাড়া ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশের জনগণের আনন্দের অংশীদার হতে ভারত ইচ্ছুক বলেও জানান ভারতীয় বিদায়ী হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ।
এমকে
মন্তব্য করুন