নিজের প্রশংসা করলেন স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজি
স্বাস্থ্যখাতে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও, নিজেকে সৎ, পরিশ্রমী ও যোগ্য দাবি করলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তলবে ৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের লিখিত বক্তব্যে নিজেকে তিনি সফল দাবি করেন।
তিনি বলেন, কেউ অপরাধ করলে তার কঠোর শাস্তি হোক এটা আমি চাই। এ ব্যাপারে তদন্ত কাজে প্রয়োজনীয় সকল প্রকার সহযোগিতা করবো। দুদকে তার আসার কারণ উল্লেখ করে বলেন, রিজেন্ট হাসপাতালের প্রতারণার অভিযোগ নিয়ে দুদক তদন্ত করছে। সাবেক মহাপরিচালক হিসেবে এ বিষয়ে শোনার জন্য তদন্ত কর্মকর্তারা আমাকে আসতে অনুরোধ করেছিলেন। আমি যা জানি, তাদের বলেছি। বিষয়টি তদন্তাধীন। তাই এ বিষয়ে বেশি কিছু বলা সমীচীন নয়। এরপর দীর্ঘ বক্তব্যে আগের দিনের মতো নিজেকে দক্ষ ও মেধাবী দাবি করে আবুল কালাম আজাদ ইউরোপ ও আমেরিকায় কোভিড–১৯ সংক্রমণ ও মৃত্যুসংখ্যা উল্লেখ করে বাংলাদেশে এটি নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করেন।
আজাদ আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ। তিনি সরকারের সব অঙ্গকে সমন্বয় ও সক্রিয় করেছেন। তার সময়োগযোগী বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দেশের করোনা পরিস্থিতিকে সহনশীল পর্যায়ে রেখেছে। তিনি দাবি করেন, এখন দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রায় স্বাভাবিক অবস্থায় চলছে। কেউ অপরাধ করলে তার কঠোর শাস্তি হোক, এটা আমি চাই। এ বিষয়ে তদন্তে আমি প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা প্রদান করব।
গত ৬ আগস্ট দুদকের পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদফতর ও সিএমএসডির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে করোনা চিকিৎসার জন্য নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জামাদি ক্রয়সহ বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহের নামে অন্যদের যোগসাজশে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগটি সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তার বক্তব্য নেয়ার জন্য তলব করা হয়।
দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা স্বাক্ষরিত অপর এক পত্রে অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদকে তলব করা হয়। এই পত্রে বলা হয়, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যানের প্রতারণার বিষয়ে দুদকে চলমান অনুসন্ধানের স্বার্থে তাকে তলব করা হয়েছে।
এসএ/ এমকে
মন্তব্য করুন