স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা দিতে চায় না বেশিরভাগ শিক্ষার্থী। ‘করোনার মধ্যে এইচএসসি নয়’ এই শিরোনামে নামে ফেসবুক গ্রুপ খুলে অনলাইনে ক্যাম্পেইন করছে শিক্ষার্থীরা। এই পেজের সদস্য ১ লাখ ৯০ হাজার ছাড়িয়েছে। শিক্ষাবিদরা বলছেন, ১৩ লাখ পরীক্ষার্থীদের নিয়ে তড়িঘড়ি করে ঝুঁকিপূর্ণ কোনও সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ও শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক হওয়ার পর এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া হবে।
এইচএসসি পরীক্ষা গেল ১ এপ্রিল শুরু হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাসের কারণে তা স্থগিত করা হয়। এখনও দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রী ইঙ্গিত দেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর ১৫ দিনের মধ্যে পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হবে।
এরপর থেকেই পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা এর বিরোধিতা করছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে করোনার মধ্যে পরীক্ষা নয়- এই স্লোগানে খোলা গ্রুপটিতে তিন দিনেই সদস্য সংখ্যা ১ লাখ ৮০ হাজার ছাড়ি যায়। মহামারি পরিস্থিতিতে পরীক্ষা হলে সংক্রমণ ছড়াবে বলে আশঙ্কা তাদের।
শিক্ষার্থীদের বক্তব্য, পরীক্ষার হলে প্রবেশের সময় এবং পরীক্ষার শেষ করে বাইরে বের হওয়ার সময় যে জটলাটা হবে। সেখানে কোনওভাবেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয়। যদি কোনও শিক্ষার্থী প্রথম একটি বা দুইটি পরীক্ষা দেওয়ার পরে করোনায় আক্রান্ত হয় এবং পরের পরীক্ষাগুলো দিতে না পারে। তখন কী হবে? আর পরীক্ষার হলে যাওয়ার জন্য গণপরিবহন ব্যবহার করতে হবে। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে।
পরীক্ষা নেয়ার কমপক্ষে এক মাস আগে তারিখ ঘোষণারও দাবি তাদের। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, এরইমধ্যে আমরা অনেক পড়াই ভুলে গেছি।
শিক্ষাবিদ সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিকে গুরুত্ব দিতে হবে। করোনাভাইরাস ও বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনা করে তারিখ নির্ধারণ করা উচিত। বন্যায় অনেক বাড়িঘর তলিয়ে গিয়েছে। অনেকের বইপত্র হারিয়ে বা নষ্ট হয়ে হয়ে গেছে। এছাড়া অনেক স্কুল, কলেজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে খুব বেশী দেরিও করা হবে না।
এইচএসসি পরীক্ষা সংক্রান্ত গুজবে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কান না দেয়ার আহ্বান জানিয়ে উপমন্ত্রী আরও বলেন, গুজব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এসএ/জিএ