গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রথমে নিজের শরীরে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করবেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নাজনীন সুলতানা। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, শেষ ধাপ পার হলেই জানা যাবে কতটা গ্রহণযোগ্য হবে দেশে উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন।
অপরদিকে নিজের দেশে নিজেদের প্রতিষ্ঠানে উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলকভাবে নিজের শরীরে প্রয়োগ করবেন গ্লোব বায়েটেকের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নাজনীন সুলতানা।
নাজনীন সুলতানার ছোট ভাই কোভিড-নাইন্টিনে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তাই ভাইরাসটির টিকা আবিষ্কার প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নাজনীন সুলতানা আরো জানান, আমার ছোট ভাই চট্টগ্রাম মেডিকেলের ডাক্তার ছিলেন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। আমরা নিজের প্রডাক্ট ও দেশে নিজেদের প্রতিষ্ঠানে উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলকভাবে নিজের শরীরে প্রথম প্রয়োগ করতে চাই।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, করোনা ভ্যাকসিন তৈরিতে সারাবিশ্বই চেষ্টা করছে। কিন্তু এখনো কেউ আলোর মুখ দেখেনি। শেষটা ধাপটা পার হলেই জানা যাবে কতটা কার্যকর হবে দেশের এ ভ্যাকসিনটি।
অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ আরো বলেন, গ্লোব বায়োটেক যে কাজটা করছে, সেটি খুবই ভালো কাজ। গ্লোব বায়োটেক কিছু সাধারণ মানুষ ও কয়েক হাজার ভলান্টিয়ারের ওপর এই টিকা প্রয়োগ করবে। এটার ফলাফল দেখে বোঝা যাবে এই টিকা কতটা কার্যকরী হবে।
দেশে কোভিড-নাইন্টিন প্রতিরোধী টিকা উদ্ভাবনকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন তিনি।
এনএম/পি