পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে অনুতপ্ত ভারত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আগাম ঘোষণা না দিয়ে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করায় ভারত অনুতপ্ত হলেও গত দুইদিনে দেশে ঢোকেনি আগের এলসির একটি ট্রাকও। বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পূর্বের খোলা এলসির বিপরীতে দেশের অন্যতম স্থলবন্দর যশোরের বেনাপোলে শতাধিক, সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে ৫শ', দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে প্রায় ২শ' ট্রাক পেঁয়াজ বোঝাই করে সীমান্তের ওপারে ভারতের অভ্যন্তরে আটকে রয়েছে।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর হঠাৎ করেই ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। ওই দিন রাতে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগের মহাপরিচালক অমিত যাদব স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ১৯৯২ সালের ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য আইনের তিন ধারা অনুযায়ী পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব ধরনের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ থাকবে। তবে, পেঁয়াজের কুচি, পাউডার ও অন্যকোনো অবস্থায় পেঁয়াজ রপ্তানি অব্যাহত থাকবে। ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন জারির পর বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়।
এরপর ১৫ সেপ্টেম্বর ভারত সরকার স্থলবন্দরে আটকে থাকা পেঁয়াজের ট্রাক বাংলাদেশে ঢোকার শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিলেও এখনও পর্যন্ত একটি ট্রাকও বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি।
এদিকে, চট্টগ্রামে ২৫টি প্রতিষ্ঠানকে বিশ্বের ৬টি দেশ থেকে সাড়ে ৫৭ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।
বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আনা শুরু হলে দেশের বাজারে দাম কমে যাবে বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।
আরও পড়ুন
এমকে
মন্তব্য করুন