ঢাকামঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২

শেষ হয়েও কী রয়ে যায় রেশ!

লাইফস্টাইল ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

রোববার, ১২ মার্চ ২০১৭ , ১১:৫২ এএম


loading/img

এ যেনো সিনেমার কাহিনীকেও হার মানায়। বলিউড হার্টথ্রব হিরো ঋতিক রোশন ও সুজান খানের বিবাহ-বিচ্ছেদের কথা এখন সবারই জানা। এরপরও এ তো মাত্র ক’মাস আগে ঋতিক-সুজান তাদের সন্তানদের নিয়ে দুবাইয়ে গিয়েছিলেন পারিবারিকভাবে কিছু সময় কাটাতে।

বিজ্ঞাপন

সেখানে সমুদ্র সৈকতে বসেই সুজান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে তোলা ছবি পোস্ট করেন।

এরপর চারদিকে গুঞ্জন ওঠে, তাহলে কি ঋতিকের সঙ্গে ফের ঘর বাঁধছেন সুজান? ফের জোড়া লাগছে তাদের ভেঙে যাওয়া সংসার? ফের কী শুরু হলো তাদের সম্পর্ক।

বিজ্ঞাপন

তবে আপাতত সবাইকে অপেক্ষা করতেই হচ্ছে, সময়ই বলে দেবে সুজান ও ঋতিকের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় শুরু হবে কি না?  শুধু বলিউড তারকার জীবনেই নয়, এমন ঘটনা ঘটতে পারে যে কারো জীবনে। মানুষ ভাবে এক আর হয় আরেক।

একরাশ স্বপ্ন নিয়ে ভালোবেসে দুটি মানুষ বিয়ে করে সারাজীবন সুখে দুঃখে একে অপরের পাশে থাকবে বলে। কিন্তু আর্থিক বা পারিপার্শ্বিক নানা কারণে অনেককেই থাকতে হয় আলাদা।

তবে দীর্ঘদিন পর নিজের ভুল বুঝতে পেরে আবার এক হতে চান তারা, জোড়া লাগাতে চান ভাঙা সম্পর্ক, গড়ে তুলতে চান সুখের নীড়, সোনায় মুড়িয়ে সাজাতে চান  সংসার, সময় কাটাতে চান নিজেদের বানানো সুখের স্বর্গে।

বিজ্ঞাপন

আসলে সম্পর্ক এমন একটা বিষয় যা কিছুটা স্বাধীনতার মতো। এটা অর্জন করার চেয়ে রক্ষা করা অনেক বেশি কঠিন। সম্পর্কের ব্যাপারে যত্নশীল না হলে ধীরে ধীরে তা নিস্তেজ হয়ে যায় এবং অনেক সময় ভেঙেও যেতে পারে। তাই প্রথম থেকেই এ ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।

মানুষের জীবনে অনেক চাওয়া থাকে যেমন বাড়ি-গাড়ি, প্রভাব-প্রতিপত্তি। এসব চাওয়ার মধ্যে কোনো অন্যায় নেই, আমরা সবাই চাইতেই পারি। আর এগুলো পাবার জন্য আমরা অন্তহীন পথে হাঁটতে থাকি; যেখানে নিজের যত্ন নিতেও যেমন ভুলে যাই, তেমনি ছোট ছোট আবেগ অনুভূতিকে গুরুত্ব দিই না। সফল ক্যারিয়ার দরকার কিন্তু তার জন্য কতো দূর এগোবেন সেটা আপনাকেই নির্ধারণ করতে হবে। এ ব্যাপারে দু’জনকেই কিছু ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে।

সুখী সুন্দর জীবনের জন্য টাকাটা যেমন দরকার, তেমনি দরকার পারস্পরিক বোঝাপড়া। যদি সবসময় অর্থ-সম্পদ, মান-সম্মান, প্রভাব-প্রতিপত্তি এসবের পেছনে ছুটতে থাকেন তাহলে একসময় সংসার থেকে সুখ-শান্তি হারিয়ে যেতে থাকবে। তাই যতোটা সম্ভব পরিবারকে সময় দিতে হবে।

অনেক সময় ছোট বিষয় নিয়ে সংসারে অশান্তি হয়। যেমন- জন্মদিন মনে না রাখা, বিশেষ দিনে গিফট না দেয়া, মাঝেমধ্যে বাইরে বেড়াতে না যাওয়া। কাজ থাকবে, উন্নতিও করতে হবে; তার মাঝেই সংসারের এসব ছোট-খাটো বিষয়ের দিকেও নজর রাখতে হবে।

সময়ের সঙ্গে নিজেকে বদলাতে হবে। অনেক সময় মানুষের ভেতরে অহঙ্কারবোধ কাজ করে যে, সবকিছু তার নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং সবাই তার কথামতো চলবে। কিন্তু এ ধারণা বদলাতে হবে, মনে রাখতে হবে ছাত্রজীবন আর সংসারজীবন এক না। আর স্বামীকে কখনো কোনোভাবেই ইর্ষার চোখে দেখবেন না। আপনার স্বামীর যশ-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পেলে আপনারও তো ভলো লাগবে, এটা ভেবেই আনন্দে থাকবেন।

সবশেষে সংসার করার সময় একটা বিষয় মনে রাখলে ভালো হয় যে, জীবনটা সুখ, স্বাচ্ছন্দ কিংবা আহ্লাদে ভরা নয়। ভালো মন্দ মিশ্রিত জীবন নিয়েই আমাদের চলতে হবে। এখানে সবকিছু সবসময় আপনার মনের মতো নাও হতে পারে। আপনি যদি সবসময় আশা করে বসে থাকেন যে, আপনার জীবনসঙ্গী ঠিক প্রথম দিনের মতোই আপনাকে ভালোবাসবে এবং প্রতিটা দিন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মনে রাখবে; তাহলে আপনার চাওয়াটা একটু বেশি হয়ে যাবে। জীবন পরিবর্তনশীল। সময়ের সঙ্গে সম্পর্কেরও কিছুটা পরিবর্তন হয়, এটা মেনে নিয়েই আপনাকে সুখী হবার চেষ্টা করতে হবে।

আরকে/ডিএইচ

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |