মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমিনকে ধর্ষণ ও খুনের দায়ে অভিযুক্ত ইফতেখার ফারদিন দিহানের বাসার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে রমনা জোনের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ওই বাসার সিসি ক্যামেরার ফুটেজেসহ অনেক কিছুই জব্দ করা হয়েছে তদন্তের স্বার্থে।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সেদিন বাসাটিতে প্রায় দেড় ঘণ্টা অবস্থান করছিল আনুশকা। এ সময় রহস্যজনক গতিবিধির উপস্থিতি পাওয়া গেছে তিন ব্যক্তির। পুলিশের ধারণা, সর্বগ্রাসী মাদকের পরিণতিতেই এমন ঘটনা ঘটতে পারে।
পুলিশ জানায়, ঘটনার দিন দুপুর ১২টা ১২ মিনিটে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার ওই শিক্ষার্থী প্রবেশ করে। বাসার সিঁড়ি ঘরের দিকে সে যায়। দুপুর ১টার দিকে বাসার সামনে তিন ব্যক্তির রহস্যজনক গতিবিধি লক্ষ্য করা যায়। ১টা ৩৬ মিনিটে গাড়িতে করে দিহান বাসা থেকে বের হন। ওই তিন ব্যক্তি বাসার সামনে নজরদারি করেন।
- আমার সাড়ে ১৮ বছরের ছেলে কিভাবে এমন কাজ করলো: দিহানের বাবা
- বাবার টাকা আর প্রশ্রয়েই অপরাধের সীমা ছাড়িয়েছে দিহান ও তার ভাই: গ্রামবাসী
-
দুইমাস আগে থেকেই আনুশকা-দিহানের সম্পর্ক
- বাসা ফাঁকা থাকলেই বান্ধবীদের এনে উল্লাস করতো দিহান
- ধর্ষণের পর হত্যার শিকার সেই স্কুলছাত্রীর বয়স নিয়ে জটিলতা
পুলিশ আরও জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই তিনজনের দেয়া তথ্য ও আটক দিহানের বাসার দারোয়ান দুলালের দেয়া তথ্যের মিল রয়েছে। তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনে তাদের আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
উল্লেখ্য, গেল ৭ জানুয়ারি দুপুরে ধানমন্ডিতে আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতাল থেকে ওই শিক্ষার্থীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক) মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়। ময়নাতদন্ত শেষে চিকিৎসকরা জানান, ধর্ষণ ও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মেয়েটি মারা যায়। পরে নিহত ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় মামলা করেন। ঘটনার পর পরই গ্রেপ্তার করা হয় দিহানকে। তিনি আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
এসএস