দাবি-দাওয়া নিয়ে শিগগির মাংস ব্যবসায়ী সমিতির ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
রোববার সচিবালয়ে রমজানে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখা বিষয়ক এক বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন।
ঘোষণার পর পহেলা রমজান থেকে কর্মবিরতি পালনের হুমকি থেকে সরে এসেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতি।
এর আগে রোববার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে মাংস ব্যবসায়ীরা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আলোচনায় না বসলে পহেলা রমজান থেকে কর্মবিরতি পালনের হুমকি দেন।
সংবাদ সম্মেলনে রবিউল আলম বলেন, পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গেছে যে আন্দোলনের বিকল্প নেই। দাম বেশি হওয়ায় গরু ও খাসির মাংস খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন সাধারণ মানুষ। ফলে মাংস বিক্রি কমে গেছে। রাজধানীতে প্রায় ৬০ শতাংশ মাংসের দোকান এরইমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। ঢাকায় প্রায় ৫ হাজার মাংসের দোকান ছিল। এছাড়া সারাদেশে মাংসের দোকানের সংখ্যা প্রায় এক লাখ।
তিনি বলেন, কয়েকটি ইস্যুতে আলোচনা করতে আমরা গত ১৫ এপ্রিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দুই মেয়রকে চিঠি দিয়েছি। আমরা কিছু বিষয়ে সমাধান চাই। যেটা হলে আরো কম দামে মাংস বিক্রি করতে পারবো।
রবিউল আলম বলেন, দাবির মধ্যে আছে- খাজনা কমানো, চাঁদাবাজি বন্ধ করা, চামড়া বিক্রির ব্যবস্থা করা, ডিএসসিসিতে স্থায়ী পশুরহাট তৈরি, মানসম্মত একাধিক কসাইখানা তৈরি ইত্যাদি। বর্তমানে ট্যানারি বন্ধ হওয়ায় চামড়া বিক্রি হচ্ছে না। বিভিন্ন বাজারে নির্দিষ্ট জবাইখানা না থাকায় যত্রতত্র গরু-ছাগল জবাই করা হচ্ছে। ফলে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে।
এর আগে গেলো ১৩ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছয় দিনের কর্মবিরতি পালন করেছিলেন মাংস ব্যবসায়ীরা। এরপর থেকে গরুর মাংসের দাম ৪০০ টাকা থেকে বেড়ে ৪৮০-৫০০ এর মধ্যে এবং খাশির দাম ৬৫০ টাকা বেড়ে ৭২০-৭৫০ টাকায় বিক্রি হয়ে আসছে।
এমসি/সি