ঝিনাইদহের একটি জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিটের অভিযান চলছে। পুলিশের দাবি এ ঘটনায় দুই জঙ্গি নিহত ও দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি। আহতরা হলেন সিটিটিসির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার নাজমুল হাসান, ঝিনাইদহ জেলা পুলিশের এসআই মহসিন আলী ও কনস্টেবল মুজিবুর রহমান আহত হয়েছেন।
রোববার ভোরে মহেশপুর উপজেলার বজ্রাপুরগ্রামে এই অভিযান শুরু হয়।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ আরটিভি অনলাইনকে জানান, ওই গ্রামের মুদি ব্যবসায়ী জহিরের একতলা বাড়িটিতে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদ্যরা। পরে রোববার ভোরে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদ্যরা সেখানে পৌঁছে অভিযান শুরু করে।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় দুই জঙ্গি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুই পুলিশ সদস্য। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত।
পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি দিদার আহমেদ জানান, ভেতরে দুই জঙ্গি আত্মঘাতী হয়েছে বলে ধারণা তাদের। জঙ্গিদের ঘটানো বিস্ফোরণে সিটিটিসির এক কর্মকর্তাসহ পুলিশের তিন কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। বাড়ির ভেতর থেকে গুলির শব্দ পাওয়া গেছে।
পুলিশ জানায়, এই বাড়ির মালিক জহুরুল ইসলাম, তার ছেলে জসিম ও ভাড়াটিয়া আলমগীর হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
এদিকে জনসাধারণের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করতে বাড়িটির ২০০ গজের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
অপরদিকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার লেবুতলা এলাকায় আরো একটি বাড়ি ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদ্যরা।
গেলো ২২ এপ্রিল ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামের ঠনঠনেপাড়ায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিট। প্রায় ৫ ঘণ্টা অভিযানে ওই জঙ্গি আস্তানা থেকে কোনো জঙ্গি না পেলেও বিস্ফোরক তৈরি রাসায়নিক ভর্তি ২০টি ড্রাম, একটি সেভেন পয়েন্ট সিক্স বোরের পিস্তল, একটা ম্যাগাজিন, সাত রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। পাঁচটি বোমা নিষ্ক্রিয় করা হয়।
এসএস