ঢাকারোববার, ০৪ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২

চট্টগ্রামের ৫ শতাংশ বিদ্যুৎ যায় কোথায় : বিপু

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট, চট্টগ্রাম

শুক্রবার, ২৬ মে ২০১৭ , ১০:১২ পিএম


loading/img

'বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আন্তর্জাতিক জার্নাল পড়েন না। ইন্টারনেট ব্রাউজিং করেন না। দেশ ডিজিটাল হচ্ছে, কিন্তু তারা চলছেন সনাতন পথে। সারা দেশে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ সিস্টেম লস কমলেও চট্টগ্রামে তা কমেনি। চট্টগ্রামের ৫ শতাংশ বিদ্যুৎ যায় কোথায়?' এভাবেই জানতে চাইলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদের বিদ্যুৎ ভবনে ‘প্রি-পেইড’ মিটার চালু ও ভেন্ডিং মেশিনের উদ্বোধন শেষে বক্তব্য দিতে গিয়ে এ প্রশ্ন করেন তিনি।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি কিন্তু সাংঘাতিক জিনিস! জুনে আমি আবার আসব। আগে আমার লোক দিয়ে ছবি তুলিয়ে নেব, যাতে প্রি-প্ল্যানড করে পরিপাটি থাকলেও আপনাদের ত্রুটি ধরা যায়।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের আধুনিক বিভিন্ন প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা নিতে দেশের বাইরে প্রশিক্ষণে পাঠানো হলে তারা সেটার অপব্যবহার করেন।বিশ্বের অনেক স্থানে আধুনিক পদ্ধতিতে সাব-স্টেশন তৈরি করা হচ্ছে। এতে ৬০ শতাংশ জায়গা কম লাগে। এসব জ্ঞান আহরণের জন্য তাদের দেশের বাইরে পাঠানো হয়, কিন্তু তারা সেটা না করে- শপিং করে চলে আসেন।

তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে বলে আসার পরও চট্টগ্রামের সাব-স্টেশন, ক্যাবল ও ট্রান্সফরমার ভূগর্ভস্থ হয়নি। জুনে এ কাজে কনসালটেন্ট নিয়োগ দেবেন। ৩ মাসের মধ্যে ডিজাইন জমা দেবেন। না হলে আমি এখানকার চিফ ইঞ্জিনিয়ারকে দেখে নেব।' 

তিনি আরো বলেন, সারা দেশের আড়াই কোটি গ্রাহকের মধ্যে কমপক্ষে ‍দুই কোটি গ্রাহককে প্রি-পেইড মিটারের আওতায় আনা হবে। এসব মিটার পরিচালনায় প্রতি ৪০ হাজার গ্রাহকের জন্য প্রয়োজন হবে একটি করে ভেন্ডিং মেশিন (প্রি-পেইড মিটারের কার্ডের টাকা রিফিল করার যন্ত্র)। আর প্রতিটি ভেন্ডিং মেশিন পরিচালনায় ১৪ জন করে জনবল নিয়োগ দিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব আহমদ কায়কাউস ও চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ বক্তব্য দেন।

এসজে

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |