ভিয়েনায় সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বক্ষণিক ঘূর্ণিঝড় নিয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছেন। শেখ হাসিনা ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রশাসনকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সম্মেলনে যোগ দিতে অস্ট্রিয়ায় দু’দিনের সরকারি সফরে সোমবার ভিয়েনায় পৌঁছান। শেখ হাসিনা ৩১ মে সকালে দেশে ফিরবেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমের বরাতে বাসস জানায়, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এবং সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ আরো শক্তিশালী হয়ে ধেয়ে আসছে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায়। ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজারে থেকে ২৮০ কিলোমিটার, চট্টগ্রাম থেকে ৩৬০ কিলোমিটার ও মংলা বন্দর থেকে ৪৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।
সোমবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজার উপকূলীয় এলাকায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। একই সঙ্গে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়াও উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং এগুলোর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোও ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
আর উপকূলীয় জেলা বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, পিরোজপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এগুলোর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর থাকবে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায়।
আবহাওয়া অফিস বলছে ঘূর্ণিঝড় মোরাকে অবহেলার সুযোগ নেই। এতে স্বাভিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৬ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
এদিকে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ মোকাবিলায় সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
এছাড়া চট্টগ্রামের শাহ্ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও কক্সবাজার বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা বন্ধ করেছে সিভিল এভিয়েশন অথরিটি। পাশাপাশি সমুদ্র ও নদী বন্দরে সকল নৌকা ও জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
আজ (সোমবার) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব গোলাম মোস্তফা।
তিনি জানান, ইতোমধ্যে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির মিটিং করে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহনের জন্য জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনকে সকল আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার অনুরোধ করা হয়েছে।
গোলাম মোস্তফা জানান, মন্ত্রণালয়ের সাথে জেলা-উপজেলার সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রক্ষার জন্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় জেলা প্রশাসনকে উদ্ধার তৎপরতা চালানোর জন্য পর্যাপ্ত নৌযান প্রস্তত রাখতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, অবস্থার অবনতি হলে সন্ধ্যার মধ্যে উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসার জন্য বলা হয়েছে।
এমসি/ওয়াই