সরকার প্রাইমারি স্কুল ও ইউনিয়ন পরিষদে কম্পিউটার দেয় কিন্তু আমরা বিচারকদের একটি কম্পিউটার দিতে পারে না। বললেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।
মঙ্গলবার বিচারপতিদের অপসারণ সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনি বাতিলের আপিল শুনানিতে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা করুণ অবস্থায় আছি। বিচারকদের থাকার জায়গা নেই। এই সুপ্রিম কোর্টের একটি অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ বিল্ডিং নেই। অনেক অফিসারের বসার রুমও নেই। অথচ দেশের ক্ষেত্রে বিচার বিভাগের অবদান কোনো অংশে কম নয়।
সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেন, সুপ্রিম কোর্ট দেশের জনগণের স্বার্থে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সবসময় পদক্ষেপ নিয়েছে। এর হাজারটা উদাহরণ আমি দিতে পারি।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুন মামলা পুরো বিশ্বে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। সারাদেশের মানুষ ন্যায় বিচারের প্রত্যাশা করলো। সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে ওই মামলার জট খুলে গেলো।
আমরা হাজারীবাগের ট্যানারির কথা বলতে পারি। এই সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপেই সেই ট্যানারি স্থানন্তারিত হয়েছে। এই শহর দূষণের হাত থেকে রক্ষা পেলো। গুলশান, বারিধারা লেক আর শীতলক্ষ্মা, বুড়িগঙ্গা সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে রক্ষা পেয়েছে।
মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন ৭ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে অ্যামিক্যাস কিউরির জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি ও এ জে মোহাম্মদ আলী তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।
এর আগে আদালতে অ্যামিক্যাস কিউরি ড. কামাল হোসেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম আই ফারুকী, আব্দুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ এম হাসান আরিফ তাদের বক্তব্যে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর বিপক্ষে মত দেন।
তবে অপর অ্যামিক্যাস কিউরি আজমালুল হোসেন কিউসি সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর পক্ষে মত দেন। এছাড়া অ্যামিক্যাস কিউরিদের মধ্যে ব্যারিস্টার এম. আমিরুল ইসলাম, বিচারপতি টিএইচ খান, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর বিপক্ষে মত দেন।
এইচটি/সি