সিলেটে আরো তিন থেকে চারদিন বৃষ্টি হবার শঙ্কা রয়েছে। বৃষ্টি ও অব্যাহত পাহাড়ি ঢলের কারণে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হবার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রোববারও সিলেটে নদনদীগুলোর পানি বেড়েছে। ফলে নতুন করে তলিয়ে গেছে আরো কয়েকটি নিম্নাঞ্চল। এরই মধ্যে কুশিয়ারা অববাহিকায় ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, ওসমানীনগর উপজেলার বন্যার পানি কিছুটা বেড়েছে। গোয়াইনঘাট উপজেলায় অপরিবর্তিত থাকলেও নতুন করে প্লাবিত হয়েছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা সাইদ আহম্মেদ চৌধুরী জানিয়েছেন, ৩ থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত সিলেটে প্রবল বৃষ্টিপাত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে টিলা ধসেরও শঙ্কা রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, বর্তমানে সিলেটের কুশিয়ারা ও সুরমা নদীর পানি সবকটি পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কয়েকটি নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। নদীর পানি তীর উপচে প্রবেশ করছে লোকলয়ে।
এদিকে বন্যার পানিতে ঘরবাড়ি, দোকানপাট ডুবে গেছে। তলিয়ে গেছে প্রায় তিন হাজার হেক্টর আউশ জমির ফসল।
সিলেট জেলা প্রশাসক রাহাত আনোয়ার জানান, বাড়ি-ঘর ডুবে যাওয়ায় অনেকে আশ্রয় কেন্দ্রে উঠছেন। জেলায় নয়টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৮৯টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, আমাদের মানুষের পাশে কেউ নেই। এখন পর্যন্ত কোনো ত্রাণ বা সাহায্য পাইনি। পানি ঢুকে বাড়ি-ঘর ধসে পড়েছে। কোনো আশ্রয় না থাকায় বাচ্চাদের নিয়ে এ স্কুলে আশ্রয় নিয়েছি। ঘরে খাবার নেই।
তবে জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, দুর্গত এলাকায় এ পর্যন্ত ১৩৭ মেট্রিকটন চাল ও প্রায় তিন লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ রয়েছে। দুর্গত মানুষদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেয়া হবে।
এসএস