জবানবন্দির জন্য আদালতে পাঠানো হবে প্রাবন্ধিক ও রাজনৈতিক ভাষ্যকার ফরহাদ মজহারকে। তার জবানবন্দির ভিত্তিতেই তদন্ত করা হবে। জানালেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম-কমিশনার আব্দুল বাতেন।
মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপির মিডয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
বাতেন বলেন, নিখোঁজ ফরহাদ মজহারকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তার জবানবন্দির পর তদন্ত শুরু হবে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফরহাদ মজহার বলেছেন, সোমবার ভোরে হাটার জন্য বাসা থেকে বের হয়েছিলেন তিনি। পরে ৩ থেকে ৪ জন লোক তাকে ধরে চোখ কাপড় দিয়ে বেঁধে গাড়িতে তুলে নিয়ে যান।
তার কিছুক্ষণ পর তার স্ত্রীকে ফোন করে তিনি জানান, ‘কে বা কারা আমাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে।’ এরপর সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বেশ কয়েক বার ফোন করে ৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
বাতেন আরো বলেন, পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আদাবর থানায় এ সংক্রান্ত একটি অপহরণ মামলা হয়েছে।
মামলার নিয়ম অনুযায়ী ফরহাদ মজহারকে আদালতে প্রেরণ করা হবে জবানবন্দির জন্য। আদালতে জবানবন্দি দেয়া শেষ হলে তাকে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এর আগে রাজধানীর আদাবর থানা থেকে ফরহাদ মজহারকে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়।
মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে তাকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়।
সকাল ৯ টার দিকে ফরহাদ মজহারকে ঢাকায় এনে আদাবর থানায় হস্তান্তর করা হয়। সেখানে ফরহাদ মজহারের স্ত্রী ফরিদা আখতার ও স্বজনেরা ছিলেন।
নিখোঁজের ১৮ ঘণ্টা পর সোমরার রাত সাড়ে ১১টার দিকে যশোরের অভয়নগরে একটি বাস থেকে ফরহাদ মজহারকে উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
পরে খুলনায় সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৬-এর পরিচালক খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশ ও র্যাবের অভিযানের একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকাগামী একটি বাস থেকে ফরহাদ মজহারকে উদ্ধার করা হয়।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ফরহাদ মজহারকে সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায়ই পেয়েছেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি দিদার আহমেদ বলেন, একজন সুস্থ মানুষ যেভাবে জার্নি করে, সেভাবেই তিনি ছিলেন। তার সঙ্গে একটি ব্যাগ ছিল। এমনকি মোবাইল চার্জার ছিল।
সোমবার ভোরে ঢাকার শ্যামলীর রিং রোডের তার বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন ফরহাদ মজহার।
পরে তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অপহরণের অভিযোগ করা হয়।
তার স্ত্রী ফরিদা আখতার জানান, নিখোঁজ অবস্থায় একাধিকবার ফোন করে তিনি নিজের মুক্তিপণের কথা বলেছেন।
এর আগে খুলনা নিউমার্কেটের পাশে গ্রিল হাউস রেস্তোরাঁয়া ফরহাদ মজহার রাতের খাবার খেয়েছেন বলে র্যাব জানতে পারে।
ওই হোটেলটির তত্ত্বাবধায়ক আবদুল মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, রাত সাড়ে আটটার দিকে ফরহাদ মজহার এসে সাদা ভাত, ডাল ও সবজি খেয়ে চলে যান। পরে খবরের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন ফরহাদ মজহার নিখোঁজ। বিষয়টি তিনি র্যাবকে জানান।
- ফরহাদ মজহারকে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে (লাইভ)
- নিখোঁজের ১৮ ঘণ্টা পর ফরহাদ মজহার উদ্ধার
- ফরহাদ মজহারকে পেতে খুলনায় অভিযান
আর/জেএইচ