ভুয়া তথ্যে রিট করার বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার রফরফকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৩ মার্চের মধ্যে জরিমানার টাকা সুপ্রিম কোর্টে জমা দিতে বলা হয়েছে।
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় জানিয়েছেন, গত বুধবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছেন।
২০২০ সালের ৪ এপ্রিল মো. ইব্রাহিম নামে এক ব্যক্তিকে পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ দেয় আইন মন্ত্রণালয়। তার এ নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন একই এলাকার রফরফ নামে আরেক ব্যক্তি। রিটে তিনি নিজেকে ওই এলাকার নিকাহ রেজিস্ট্রার বলে দাবি করেন। ২০২০ সালের ৭ জুলাই আইন মন্ত্রণালয় থেকে তার নামে নিকাহ রেজিস্ট্রারের নিয়োগপত্র ইস্যু করা হয়েছে।
রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ইব্রাহিমের নিয়োগ আদেশ স্থগিত করে রুল জারি করেন। পরে মো. ইব্রাহিম এ রিটে পক্ষভুক্ত হয়ে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, রফরফের নিয়োগপত্র জাল বা ভুয়া। শুনানির এক পর্যায়ে হাইকোর্ট গত বছরের ২৬ জুলাই কার নিয়োগের বৈধতা যাচাইয়ের জন্য ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়কে নির্দেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ১৫ আগস্ট হাইকোর্টে দাখিল করা প্রতিবেদনে বলা হয়, রফরফের নিয়োগপত্রে স্বাক্ষর করা আইন মন্ত্রণালয়ের ওই সময়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আনোয়ারুল হক ও আইন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখার বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র সহকারী সচিব মুরাদ জাহান চৌধুরীর সঙ্গে আলোচনা করে জানা যায়, রফরফের নিয়োগপত্রটি ভুয়া ও বানোয়াট। এ ধরনের কোনো চিঠি অত্র দপ্তর থেকে কখনও ইস্যু করা হয়নি।
রুল শুনানি শেষে গত বুধবার এ আদেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ১৩ মার্চ দিন রেখেছেন।
আদালতে মো. রফরফের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আমিনুল ইসলাম। মো. ইব্রাহিমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. মিজানুর রহমান।