রাজধানীতে অভিনব কায়দায় নারী বাইক রাইডারের স্কুটি ছিনতাই
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ পরিচিত অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং নারী চালক শাহনাজ আক্তার পুতুল। তিনি আজ (মঙ্গলবার) প্রতারকচক্রের খপ্পড়ে তার স্কুটিটি হারিয়ে এখন অঝোড়ে শুধু কেঁদেই চলছেন।
এ ব্যাপারে জনি নামে এক ব্যক্তিকে আসামি করে শেরেবাংলা নগর থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। জিডি নম্বর-৯১১।
জিডি সূত্রে জানা যায়, শাহনাজ আক্তার নীল রঙের একটি মাহিন্দ্র স্কুটি চালাতেন। যার নম্বর ঢাকা মেট্রো-হ-৫৫-২৯৪৭। দাম ৫৮ হাজার টাকা। তিনি স্কুটিটি ধার করে কিনেছিলেন। এখনও সেই ঋণের এক লাখ টাকা বাকি আছে। পরিবার চালানোর একমাত্র মাধ্যমও ছিল তার স্কুটিটি।
প্রায় ২ মাস ধরে স্মার্টফোনের অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মোটরবাইক চালাচ্ছেন শাহনাজ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে তিনি এরইমধ্যে পরিচিত হয়ে উঠেছেন। বাইক চালিয়ে নিজের দুই মেয়ের লেখাপড়া ও সংসারের খরচ বহন করছেন এই নারী।
শাহনাজ বলেন, উবার চালানোর সূত্রে পাঁচদিন আগে জনি নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে শ্যামলী বাসস্ট্যান্ডে আমার পরিচয় হয়। তিনিও আমার মতো উবার চালাতেন। সম্প্রতি ওই ব্যক্তি আমাকে নির্দিষ্ট এক নারী রাইডারকে ঠিক করে দেয়ার আশ্বাস দেন। ওই নারী রাইডারের সঙ্গে দেখা করতে তিনি আমাকে আজ (মঙ্গলবার) খামারবাড়ি আসতে বলেন। খামারবাড়ি এসে ওই নারীকে না পেয়ে তিনি আমাকে নিয়ে বিমানবন্দর যান। সেখান থেকে আবার আগারগাঁওয়ের তালতলা আসি। এরপর তাকে নিয়ে আমি আসাদগেট এলাকায় আসি। এ সময় তিনি মেয়েদের স্কুটি কিভাবে চালায়- বলে আমার বাইকে উঠে বসেন। আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই তিনি আমার বাইক নিয়ে চলে যান।
জানা গেছে, শাহনাজ আক্তার সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। রাজধানীর মিরপুরেই তার জন্ম। বাবা নেই, মা আর বোনেরা আছেন। স্বামী থাকলেও তিনি আলাদা থাকেন। তার সঙ্গে তার দুই মেয়েও থাকে। বড় মেয়ে নবম ও ছোট মেয়ে প্রথম শ্রেণিতে পড়ে।
শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিজি বিশ্বাস বলেন, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে ওই নারীর একটি স্কুটি চুরি হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে।
পি
মন্তব্য করুন