কোকা-কোলার বোতলে বিকৃত শব্দ কেন জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
কোমল পানীয় কোকা-কোলার বোতলের লেবেলে জটিল, চরম, মাথা নষ্ট, এমন বিকৃত শব্দ কেন ব্যবহার করা হচ্ছে তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এমন বিজ্ঞাপন প্রচার করায় কোকো-কোলার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি এস আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেন।
তথ্যসচিব, শিল্পসচিব, সংস্কৃতিসচিব, আইনসচিব, শিক্ষাসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও ইন্টারন্যাশনাল বেভারেজেস প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ১০ বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান। আর কোকা-কোলার পক্ষে ছিলেন তানজীব উল আলম। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এরশাদুল আলম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম সাইফুল আলম।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি কোমল পানীয় কোকা-কোলার বোতলের লেবেলে জটিল, চরম, মাথা নষ্ট, বাবু, ঢিলা, ফাঁপর, জান, গুটি, গাব, আগুন, কড়া, অস্থির, পার্ট, প্যারা, ব্যাপক, যা-তা—এমন শব্দের ব্যবহার নিয়ে আপত্তি জানিয়ে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান। যার ওপর শুনানি নিয়ে আজ আদালত রুল দেন।
রিট আবেদনকারী আইনজীবী মনিরুজ্জামানের বলেন, কোকা-কোলার বোতলের লেবেল জটিল, চরম, মাথা নষ্টসহ নানা শব্দ ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এটি আপত্তিজনক। কেননা, একটি শিশু দোকানে গিয়ে বলছে ‘আমাকে একটা প্যারা দেন’, কেউ বলছে ‘একটা মাথা নষ্ট দেন’। এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
এমকে
মন্তব্য করুন