শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে নন-এমপিও শিক্ষকদের আন্দোলন স্থগিত
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির আশ্বাসে আন্দোলন একমাস স্থগিত করেছে নন-এমপিও শিক্ষকরা। এমপিওভুক্তির বিষয়ে সরকারের প্রতি আস্থা রেখে আন্দোলনকারী নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানালে তারা তাতে রাজি হন। একইসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের আশ্বাস পেয়ে আন্দোলন কর্মসূচি একমাসের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের নেতারা।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নেওয়া অবস্থান থেকে আজ রোববার বিকেলে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। এর আগে অবস্থান কর্মসূচিস্থলে শিক্ষক-কর্মচারীদের দেখতে যান শিক্ষামন্ত্রী। আগামীকাল সোমবার সার্বিক বিষয় নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন শিক্ষক নেতারা।
---------------------------------------
আরো পড়ুন: গুলশান ক্লাবে বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার
---------------------------------------
গত বুধবার থেকে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের ব্যানারে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান করেন সারা দেশ থেকে আসা কয়েকশ শিক্ষক-কর্মচারী। রাজপথে টানা অবস্থান করতে গিয়ে ১০ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের মধ্যে একজনকে জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়।
আন্দোলরত নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকার শিক্ষাবান্ধব সরকার। আপনারা সরকারের প্রতি আস্থা রাখুন, ঘরে ফিরে যান। আগামী অর্থবছরের শুরুতে যোগ্যতার ভিত্তিতে এমপিওকরণ শুরু হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘শুধু এমপিওভুক্ত করলেই হবে না। এর সঙ্গে সম্পৃক্ত আর্থিক সঙ্গতির বিষয়। সেটাও আমাদের ভাবতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি এমপিওভুক্তির বিষয়ে আন্তরিক।’
মন্ত্রীর এই আশ্বাসের পরও শিক্ষক নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দাবিদাওয়া জানানোর সুযোগ চান। এর জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষক নেতারা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে দেয়া হবে।
নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এখন নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত কার্যক্রম বাস্তবায়ন শুরু হবে। আমরা ইতোমধ্যে আবেদন গ্রহণ কার্যক্রম শেষ করেছি। যেহেতু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিও কার্যক্রম অর্থসংশ্লিষ্ট বিষয়, তাই এটি বাস্তবায়নে নানা প্রক্রিয়া প্রয়োজন রয়েছে। এ কারণে কিছুটা সময় নেয়া হচ্ছে।’
এ সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সোহরাব হোসাইনসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
পি
মন্তব্য করুন