• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১
logo

২৬ সেপ্টেম্বরকে ঘৃণা দিবস পালনের দাবি (ভিডিও)

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৯:৪১

দেশের রাজনৈতিক ইতিহাস ও স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার জন্য কলঙ্কিত এক দিন ২৬ সেপ্টেম্বর। বাংলাদেশের স্থপতি-জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের দায়মুক্তি দিতে ১৯৭৫ সালের এই দিনে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়। কলঙ্কিত এই অধ্যাদেশ জারির ফলে একদিকে জাতির পিতা হত্যার বিচার চাওয়ার পথ বন্ধ হয়, অন্যদিকে খুনিদের দেশে-বিদেশে পুনর্বাসিত করা হয়। নতুন প্রজন্মকে ষড়যন্ত্রকারীদের সম্পর্কে সতর্ক করতে দিনটিকে ঘৃণা দিবস হিসেবে পালনের দাবি জানান বিশিষ্টজনরা।

যে মহান নেতার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম, সে দেশের মাটিতেই একদল নরপিশাচ ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির জনককে সপরিবারে হত্যা করে।

সংবিধান অনুযায়ী যেকোনো হত্যার বিচার চাওয়ার অধিকার প্রতিটি নাগরিকের থাকলেও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বাঁচাতে ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর জারি করা হয় ইনডেমনিটি অর্থাৎ দায়মুক্তি অধ্যাদেশ।

অধ্যাদেশের প্রথম অংশে বলা হয়, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ভোরে বলবত আইনের পরিপন্থি যা কিছুই ঘটুক না কেন এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টসহ কোনও আদালতে মামলা, অভিযোগ দায়ের বা কোনও আইনি প্রক্রিয়ায় যাওয়া যাবে না। দ্বিতীয় অংশে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি উল্লিখিত ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে যাদের প্রত্যয়ন করবেন তাদের দায়মুক্তি দেওয়া হলো। অর্থাৎ তাদের বিরুদ্ধে কোনও আদালতে মামলা, অভিযোগ দায়ের বা কোনও আইনি প্রক্রিয়ায় যাওয়া যাবে না।

১৯৭৯ সালের ৯ জুলাই সংসদে পাশের মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অধ্যাদেশটিকে আইনে পরিণত করেন জিয়াউর রহমান।

শাস্তির পরিবর্তে পুনর্বাসিত হয় খুনির দল। সংসদে প্রতিনিধিত্ব ও দূতাবাসে চাকরির সুযোগ পায় বঙ্গবন্ধুর খুনিরা। নতুন প্রজন্মের সামনে বিচারহীনতার সংস্কৃতি শুরুর কলঙ্কিত এই ইতিহাস তুলে ধরার দাবি জানান বিশিষ্টজনরা।

১৯৯৬ সালের ১২ই নভেম্বর কুখ্যাত ইনডেমনিটি আইনটি বাতিল করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। জাতীর পিতা হত্যার দীর্ঘ ২১ বছর পর হত্যাকারীদের বিচারের পথ খুলে যায়। কিছুটা হলেও কলঙ্কমুক্ত হয় জাতি।

জিএ/এমকে

মন্তব্য করুন

rtv Drama
Radhuni
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
চব্বিশের আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ একই সূত্রে গাঁথা: সোহেল তাজ
জেল হত্যা দিবস আজ
আ.লীগ কখনও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি ছিল না: ফারুক
মুক্তিযুদ্ধ ও জাতীয় সংগীতকে নিয়ে কটাক্ষ, ৪৮ নাগরিকের নিন্দা