ফাহাদ হত্যাকাণ্ড : ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ হত্যাকাণ্ডে যে বা যারা সম্পৃক্ত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে দলের নেতাদের সঙ্গে এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে তিনি এ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন৷ বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বৈঠকে উপস্থিত কয়েকজন নেতারা জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না, শাস্তি পেতেই হবে। জড়িত সবার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছি। তিনি বলেন, ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দেয়াকে কেন্দ্র করে, একটি ছেলেকে এভাবে পিটিয়ে মেরে ফেলা হবে, সেটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে বুয়েটে চলমান আন্দোলন নিয়ে ব্রিফ করেন।
ছাত্রলীগকে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বুধবার ১১টায় মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
শেখ হাসিনা বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যেই গ্রেপ্তার করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। যারা জড়িত ছিল তাদেরকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ রকম তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা কোনও সরকারের সময় নেয়া হয়নি।
তিনি বলেন, শিক্ষার জন্য আমরা যা করেছি পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ের কোনও সরকার তা করেনি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিল। আমরা অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ করেছি। এখন ক্যাম্পাসে কোনও অস্ত্রবাজী নেই।
এছাড়া ফাহাদের মৃত্যুর ঘটনার একদিন পর বুয়েটের উপাচার্যের ক্যাম্পাসে উপস্থিতি নিয়েও তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলন, উনি কেমন ভিসি? একটা ছাত্র মারা গেল, আর এতোটা সময় তিনি ক্যাম্পাসের বাইরে ছিলেন!
বুয়েটের এই হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কেউ যাতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসএস
মন্তব্য করুন