‘ফ্রি ভিসায়’ বিদেশ গিয়ে প্রতারিত হচ্ছেন কর্মীরা (ভিডিও)
তথাকথিত ‘ফ্রি ভিসায়’ বিদেশ গিয়ে প্রতারিত হচ্ছেন অনেকে কর্মী। দেশে-বিদেশে দালাল চক্র ও মধ্যস্বত্বভোগীদের মাধ্যমে হচ্ছে এসব প্রতারণা। ‘ফ্রি ভিসা’য় জনশক্তি রপ্তানিকে ‘অপরিকল্পিত’ ও ‘বিচ্ছিন্ন’ মন্তব্য করে এ ধরনের ভিসা বন্ধের তাগিদ দিলেন অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা।
এক সন্তান নিয়ে শরিয়তপুরে বেশ ভালোই ছিলেন মোহাম্মদ শাহজাহান। গ্রামের বাড়িতে স্টিলের ভালো ব্যবসা ছিলো। বছরখানেক আগে পরিচিত একজনের মাধ্যমে পাশের গ্রামের আরেকজনের সঙ্গে পরিচয় হয়। তিনি সৌদি আরবের ভিসা দেয়ার কথা বললে ভালো রোজগারের আশায় প্রস্তাব লুফে নেন শাহজাহান। চার লাখ টাকায় কেনেন ভিসা। কথা ছিলো ড্রাইভিং ভিসার। কিন্তু হাতে পেয়ে দেখেন ‘হাউস কিপিংয়’ ভিসা। ততদিনে স্টিলের দোকান বিক্রি করে দিয়েছেন। এখন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে এসে ধর্ণা দিচ্ছেন ভিসা বদলানো যায় কী-না? অন্যথায় টাকা ফেরত পাওয়ার উপায় কী?
এতো গেল দেশের দালালদের প্রতারণার কথা। নিয়োগকারী দেশ থেকেও এমন প্রতারণা হচ্ছে। ভালো কোম্পানির নামে বেশি দামে ভিসা কিনে পরে চেক করতে গিয়ে বুঝতে পারছেন প্রতারণার শিকার হয়েছেন। আর জাল ভিসায় টাকা খুইয়েছেন এমন উদাহরণ তো ভুরি ভুরি।
গত বছরের অক্টোম্বরে ‘সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কো আপারেশন’ ও রামরু’র যৌথ গবেষণায় দেখা গেছে এদেশের কেবল ১৮ দশমিক আট চার শতাংশ কর্মী এজেন্সির মাধ্যমে ৫২ শতাংশ দালালের মাধ্যমে আর ২১ শতাংশ আত্মীয় স্বজনের মাধ্যমে বিদেশ যাচ্ছেন।
সরকার নির্ধারিত প্রতিষ্ঠানের বাইরে অপ্রাতিষ্ঠানিক ভিসা বেচা-কেনা শ্রমবাজারকে নাজুক করছে বলে জানালেন এই অভিবাসন বিশেষজ্ঞ।
দেশ ও দেশের বাইরের দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেন পররাষ্ট্র এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী।
এমকে
মন্তব্য করুন