ঢাকাশুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

চতুর্থ বাঙালি হিসেবে অভিজিৎ ব্যানার্জির নোবেল জয়

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০১৯ , ০৮:৩৩ পিএম


loading/img
অভিজিৎ ব্যানার্জি

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, অমর্ত্য সেন ও ড. মুহাম্মদ ইউনুসের পর এবার আরেক বাঙালি অভিজিৎ ব্যানার্জি নোবেল পুরস্কার পেলেন। শুধু তিনি একাই নন, তার  ফরাসি বংশোদ্ভূত স্ত্রী মার্কিন অর্থনীতিবিদ এস্তার দুফলোও এবার নোবেল পেয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

অভিজিতের জন্ম কলকাতায় ১৯৬১ সালে। এমআইটির শিক্ষকতার পাশাপাশি একাধিক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত অভিজিৎ। তিন আব্দুল লতিফ জামিল পোভার্টি অ্যাকশন ল্যাবের সহ প্রতিষ্ঠাতা। ইনোভেশন ফর পোভার্টি অ্যাকশনের গবেষক। তিনি কনসোর্টিয়াম অন ফাইন্যান্সিয়াল সিস্টেমস অ্যান্ড পোভার্টির সদস্য।

উন্নয়ন অর্থনীতি-বিশেষ করে দারিদ্র্য দূরীকরণ বিষয়ে গবেষণায় অবদান রাখার জন্য তারা অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

১৯৯৮ সালে প্রথম বাঙালি হিসেবে অর্থনীতিতে নোবেল পান প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। দুর্ভিক্ষ, মানব উন্নয়ন তত্ত্ব, উন্নয়ন অর্থনীতি ও গণদারিদ্র্যের অন্তর্নিহিত কারণ বিষয়ে গবেষণার স্বীকৃতি হিসেবে তাকে এ সম্মান দেয় দ্য রয়েল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস। এর  ২১ বছর পর, দ্বিতীয় বাঙালি হিসেবে এই বিষয়ে নোবেল পেলেন অমর্ত্য সেনের-ই ছাত্র অভিজিৎ। তবে এর মাঝে ২০০৬ সালে ড. মুহাম্মদ ইউনূস শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান।

অভিজিতের মা নির্মলা ব্যানার্জি ও বাবা দীপক ব্যানার্জি। তার মা নির্মলা কলকাতার সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোশ্যাল সায়েন্সেসের অর্থনীতির অধ্যাপক। বাবা দীপক ব্যানার্জি কলকাতার বিখ্যাত প্রেসিডেন্সি কলেজের অর্থনীতির অধ্যাপক ছিলেন।

অভিজিতের শৈশব-কৈশোর কেটেছে কলকাতাতেই। কলকাতার সাউথ পয়েন্ট স্কুলে লেখাপড়া করেছেন। পরে পড়েছেন প্রেসিডেন্সি কলেজে। দিল্লির জওহরলাল নেহরু ইউনিভার্সিটিতেও কেটেছে শিক্ষাজীবনের একটি অংশ। এরপর ১৯৮৮ সালে তিনি হাভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি করেছেন।

বিজ্ঞাপন

অভিজিৎ ব্যানার্জি জীবনে দুইবার বিয়ে করেন। প্রথম স্ত্রী অরুন্ধতী তুলি ব্যানার্জি এমআইটির প্রভাষক। তিনিও কলকাতাতেই বেড়ে ওঠেন। এই দম্পতির একটি ছেলে ছিল। তাদের বিচ্ছেদের পর ২০১৬ সালে মারা যান কবির নামে সেই ছেলে। এর পর ২০১৫ সালে গবেষণার সঙ্গী এস্তার দুফলো জীবনসঙ্গী করে নেন।

এমকে

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |