জাতীয় পুরস্কারের অর্থের পরিমাণ বাড়ল
রাষ্ট্রীয় বা জাতীয় পুরস্কারের অর্থের পরিমাণ বাড়িয়ে প্রায় দ্বিগুণ করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সংশোধিত ‘জাতীয় পুরস্কার/পদক-সংক্রান্ত নির্দেশাবলি’ প্রকাশ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক, বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার, বেগম রোকেয়া পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার- জাতীয় পুরস্কার হিসেবে বিবেচিত। এর আগে ২০১৭ সালের ১৫ মে জাতীয় পুরস্কার/পদক-সংক্রান্ত নির্দেশাবলি সংশোধন করে অর্থের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছিল।
স্বাধীনতা পদক হচ্ছে বেসামরিক সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। এ ক্ষেত্রে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে আগে স্বর্ণের পদকের সঙ্গে তিন লাখ টাকা দেয়া হতো। আগামী বছর থেকে দেয়া হবে পাঁচ লাখ টাকা। মন্ত্রিপরিষদের দেয়া এ বিভাগে বরাবরের মতো থাকছে আঠারো ক্যারেট মানের ৫০ গ্রাম স্বর্ণের পদক, একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার হিসেবে একুশে পদকের ক্ষেত্রে আঠারো ক্যারেট মানের ৫০ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্রের সঙ্গে দুই লাখ টাকা দেয়া হতো। এবার তা বাড়িয়ে চার লাখ করা হয়েছে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দেয়া এ পদকের স্বর্ণের পরিমাণ কমিয়ে এবার ৩৫ গ্রাম করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ‘বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার ট্রাস্ট আইন’ অনুযায়ী নির্ধারিত হবে বলে নির্দেশনায় বলা হয়েছে। এ পুরস্কার কৃষি মন্ত্রণালয় দিয়ে থাকে।
বেগম রোকেয়া পদকের ক্ষেত্রে অর্থ দুই লাখ থেকে বাড়িয়ে চার লাখ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া আগের মতোই আঠারো ক্যারেট মানের ২৫ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র থাকছে। আর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ পুরস্কার দিয়ে থাকে।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দেয় তথ্য মন্ত্রণালয়। এ ক্ষেত্রে আঠারো ক্যারেট মানের ১৫ গ্রাম স্বর্ণের একটি পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা, একটি সম্মাননাপত্র দেয়া হয়। একই সঙ্গে থাকে অর্থ। এখন থেকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ক্ষেত্রে আজীবন সম্মাননাপ্রাপ্তকে তিন লাখ টাকা। শ্রেষ্ঠ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রযোজক, শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রযোজক, শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রযোজক, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালককে দুই লাখ টাকা করে দেয়া হবে। অন্য ক্ষেত্রে এক লাখ টাকা করে দেয়া হবে।
আগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ক্ষেত্রে আজীবন সম্মাননাপ্রাপ্তকে দেড় লাখ টাকা দেয়া হতো। এছাড়া শ্রেষ্ঠ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রযোজক ও শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রযোজক, শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রযোজক, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালককে এক লাখ টাকা করে দেয়া হতো। অন্যান্য ক্ষেত্রে দেয়া হতো ৫০ হাজার টাকা।
জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের ক্ষেত্রে আগে ৫০ হাজার টাকা দেয়া হতো। এখন দেয়া হবে এক লাখ টাকা করে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দেয়া এ পুরস্কারে অর্থ ছাড়াও আগের মতো আঠারো ক্যারেট মানের ২৫ গ্রাম স্বর্ণের পদক, একটি সম্মাননাপত্র থাকছে।
এম
মন্তব্য করুন