যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে নোভেল করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সহায়তা দিচ্ছে
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সরকার তাদের যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি) এর সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে জরুরী সংরক্ষিত তহবিল থেকে নোভেল করোনা ভাইরাস কোভিড-19-এ আক্রান্ত অথবা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকি সম্পন্ন ২৫টি দেশে ৩৭ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার এই তহবিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, এবং অন্যান্য বহু পাক্ষিক প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন দেশে ইউএসএআইডি –এর প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থাসমূহের নেতৃত্বে পরিচালিত কার্যক্রমকে প্রদান করছে। এটি যুক্তরাষ্ট সরকারের প্রথম তহবিল যা তাদের ১০০ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত সাম্প্রতিক একটি প্রতিশ্রুতির অংশ হিসাবে দেয়া হচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত মিলার ১১ই মার্চ এই অর্থ সহায়তা এবং এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কর্মপরিকল্পনা জানাতে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার সাথে সাক্ষাৎ করেন। বাংলাদেশে কোভিড-19 মোকাবেলায় কিভাবে উভয় দেশের কার্যক্রম সমন্বয় করা যায় এবং কোন কোন খাতে ভবিষ্যতে অর্থ বরাদ্দ করা যায় সে বিষয়ে তারা আলোচনা করেন।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশে কোভিড-19 মোকাবেলার প্রস্তুতি ও সাড়াপ্রদানেইউএসএআইডি –এর মাধ্যমে দ্রুত সময়ে ২৫ লাখ ডলার সংস্থান করেছে। ইউএসএআইডি –এর এই অর্থায়ন তিনটি অগ্রাধিকার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হবে: (১) স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রগুলোতে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ (আইপিসি ) পদ্ধতি জোরদার করা; (২) নমুনা পরিবহন এবং যথাস্থানে প্রেরণ (রেফারেল) ব্যবস্থা উন্নয়ন; এবং (৩) ঝুঁকি বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে তথ্য যোগাযোগ ও প্রচার। এটি স্বাস্থ্য খাতে ইউএসএআইডি এবং যুক্তরাষ্ট্র সরকারের চলমান অন্যান্য বিনিয়োগকে আরো শক্তিশালী করবে।
ইউএসএআইডি সুনির্দিষ্টভাবে কোভিড-19 মোকাবেলায় দ্রুত রোগ নির্ণয়, আক্রান্তের ব্যবস্থাপনা, আইপিসি এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের সাথে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে ৭ লাখ ডলার প্রদান করছে। তাছাড়া, ইউএসএআইডি FHI360 কর্তৃক বাস্তবায়িত ইনফেকশাস ডিজিস ডিটেকশন অ্যান্ড সার্ভেইল্যান্স (আইডিডিএস ) এবং ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস ফর হেলথ (এমএসএইচ ) কর্তৃক বাস্তবায়িত মেডিসিন, টেকনোলজিস, অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যাল সার্ভিসেস (এমটিএপিএস ) কার্যক্রমের প্রতিটিকে ৬ লাখ ৫০ হাজার ডলার করে প্রদান করছে। এসব কার্যক্রম যথাক্রমে আইপিসি, নমুনা পরিবহন এবং যথাস্থানে প্রেরণ (রেফারেল) বিষয়ে কাজ করবে।
ইউএসএ আইডি জন্সহপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়কেও ৫ লাখ ডলার প্রদান করছে যার আওতায় বৃহত্তর পর্যায়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে উপকরণ প্রণয়ন ও বিতরণ করা হবে যা বর্তমান সময়ে জরুরী। সম্মুখ ভাগে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য এটি বিশেষভাবে সত্য।
কোভিড-19 –এর প্রাদুর্ভাব ভৌগোলিকভাবে বিস্তৃত হচ্ছে বিধায় এ বিষয়ক বৈশ্বিক কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে ইউএসএ আইডি তাদের সহায়তা অব্যাহত রাখবে।
সি/এসজে
মন্তব্য করুন