• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo

ড. ওয়াজেদ মিয়ার ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আরটিভি অনলাইন

  ০৯ মে ২০২০, ০৯:১৬
ড. ওয়াজেদ মিয়ার ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
ড. ওয়াজেদ মিয়া

দেশবরেণ্য পরমাণু বিজ্ঞানী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (৯ মে)। প্রতিবছর দিনটি পালনে পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের সব সহযোগী সংগঠন, মহাজোটের শরীক দল এবং ড. এম এ ওয়াজেদ ফাউন্ডেশন বিজ্ঞানীর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি, ফাতেহা পাঠ ও জিয়ারত, স্মৃতিচারণ, মিলাদ মাহফিল ও গরিবদের মাঝে খাবার বিতরণসহ নানাবিধ কর্মসূচি পালন করে থাকে।

এ বছর করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় সব আনুষ্ঠানিকতা স্থগিত করা হয়েছে। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রদ্ধাঞ্জলিসহ ফাতেহা পাঠ ও জিয়ারতে বাধা দেয়া হবে না বলে জানান প্রয়াত বিজ্ঞানীর ভাতিজা, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ড. এম এ ওয়াজেদ ফাউন্ডেশন পীরগঞ্জের চেয়ারম্যান এ কে এম ছায়াদত হোসেন বকুল। তিনি জানান, মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিভিন্ন এতিমখানায় ইফতারসামগ্রী প্রদান করা হবে।

ওয়াজেদ মিয়া ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রংপুরের পীরগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। ‘সুধা মিয়া’ হিসেবে পরিচিত অসাধারণ মেধার অধিকারী এ বরেণ্য ব্যক্তি শৈশব থেকেই শিক্ষানুরাগী ছিলেন। এ কর্মবীর বিজ্ঞানী ২০০৯ সালের ৯ মে পরলোকগমন করেন।

তিনি ছিলেন দেশে আণবিক গবেষণার পথিকৃৎ। তিনি পরমাণু গবেষণায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে গেছেন।

ওয়াজেদ মিয়া বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন পদে দক্ষতা ও সাফল্যের সাথে দায়িত্ব পালন করেন।

তার গবেষণা কর্মের পরিধি ছিল বিস্তৃত। তিনি ফান্ডামেন্টাল ইন্টারেকশন অ্যান্ড পার্টিক্যাল ফিজিক্স, নিউকিয়ার অ্যান্ড রেক্টর ফিজিক্স, সলিড স্টেট ফিজিক্স, ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিজম, হেল্থ অ্যান্ড রেডিয়েশন ফিজিক্স, রিনিউবল এনার্জি ইত্যাদি ক্ষেত্রে গবেষণা করেন।

ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি বিজ্ঞানী সংঘের দু’বার সাধারণ সম্পাদক ও পাঁচবার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশ পদার্থবিজ্ঞানী সমিতি, বাংলাদেশ বিজ্ঞান উন্নয়ন সমিতি, বাংলাদেশ বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞানজীবী সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন। ১৯৯৭ সালে তারই পরামর্শ ও পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় সমন্বিত উন্নয়ন ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়।

ড. ওয়াজেদ বিজ্ঞান গবেষণার পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতিতে নীরবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে গেছেন। ষাটের দশকে তিনি ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ত হন। ১৯৬২ সালে আইয়ুব খানের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি গ্রেপ্তার হন এবং কিছু দিন জেল খাটেন।

১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনার সাথে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে তিনি বঙ্গবন্ধুর পরিবারের পাশে থেকে তাদের সাহস ও শক্তি যুগিয়েছিলেন।

ওয়াজেদ মিয়া ঢাকার রংপুর জেলা সমিতির আজীবন সদস্য এবং ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত দুবছর মেয়াদকালের জন্য এই সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা এবং ঢাকাস্থ বৃহত্তম রংপুর কল্যাণ সমিতি, উত্তরবঙ্গ জনকল্যাণ সমিতি, রাজশাহী বিভাগীয় উন্নয়ন ফোরাম, বেগম রোকেয়া স্মৃতি সংসদ এবং রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার মির্জাপুর বছির উদ্দিন মহাবিদ্যালয়ের প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন।

মৃত্যুর পর তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী পীরগঞ্জ উপজেলার ফতেপুর গ্রামে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।

এসএস

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার ৮২তম জন্মবার্ষিকী আজ