বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা লকডাউন হচ্ছে আজ থেকে
রাজধানীর ভাটারা থানাধীন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা লকডাউন করা হবে বলে জানা গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর থেকে লকডাউন করা হবে। এলাকায় মাইকিংও করা হয়েছে।
সিটি করপোরেশন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসন, স্থানীয় থানাসহ সমন্বিতভাবে এই লকডাউন কার্যকর করা হবে বলে জানা গেছে।
ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুকতারুজ্জামান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রাজধানীজুড়ে এলাকাভিত্তিক লকডাউনের অংশ হিসেবে এই লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সরকারের সিদ্ধান্ত মতে যেসব এলাকায় করোনা শনাক্তের হার বেশি সেসব এলাকাকে রেডজোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এসএস
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে বিতর্কিত পোস্ট, ওএসডি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
ফেসবুকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম উর্মি। এ ঘটনায় তাকে ওএসডি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বদলি করেছে সরকার।
রোববার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এখনও নির্দেশনা হাতে আসেনি। রোববার সন্ধ্যায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব নিলুফা ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে শনিবার তাপসী তাবাসসুম উর্মি নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সাংবিধানিক ভিত্তিহীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, রিসেট বাটনে পুশ করা হয়েছে। অতীত মুছে গেছে। রিসেট বাটনে ক্লিক করে দেশের সব অতীত ইতিহাস মুছে ফেলেছেন তিনি। এতই সহজ। কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে আপনার, মহাশয়।’
পরে স্ট্যাটাসের বিষয়ে জানতে চাইলে উর্মি গণমাধ্যমকে জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এক বক্তব্যের জের ধরে তার এই প্রতিক্রিয়া।
এদিকে তাপসী তাবাসসুম উর্মির ফেসবুক আইডিতে গিয়ে দেখা গেছে, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বেশ কিছু স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের পক্ষেও শক্ত অবস্থান নিয়ে বেশ কিছু স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সাবেক পরিচালক ড. এ কে এম এনামুল হক বলেন, সরকারি চাকরিজীবীদেরকে ৭৯–এর কন্ডাক্ট রুল অনুযায়ী আচরণ করতে হয়। সেখানে সরকারের এমন সমালোচনা করা যাবে না যেখানে জনগণের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ককে ইফেক্ট করতে পারে, এটা ২৩ এর এ তে আছে।
আরটিভি/আইএম
ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মিকে এবার বরখাস্ত
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) তাপসী তাবাসসুম ঊর্মিকে ওএসডির পর এবার সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
তাপসী তাবাসসুম অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিতর্কিত মন্তব্য করে আসছিলেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মানসুর হোসাইন জানান, সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম ঊর্মিকে ওএসডি করার পর, সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সাংবিধানিক ভিত্তিহীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, রিসেট বাটনে পুশ করা হয়েছে। অতীত মুছে গেছে। রিসেট বাটনে ক্লিক করে দেশের সব অতীত ইতিহাস মুছে ফেলেছেন তিনি। এতই সহজ। কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে আপনার, মহাশয়।’
পরে স্ট্যাটাসের বিষয়ে জানতে চাইলে ঊর্মি গণমাধ্যমকে জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এক বক্তব্যের জের ধরে তার এই প্রতিক্রিয়া।
প্রশাসনিক ব্যবস্থার বিষয়ে তিনি বলেন, এখনও নির্দেশনা হাতে আসেনি।
এদিকে তাপসী তাবাসসুম ঊর্মির ফেসবুক আইডিতে গিয়ে দেখা গেছে, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বেশ কিছু স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। তার ফেসবুক আইডিজুড়ে আওয়ামী লীগের পক্ষেও শক্ত অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্ট্যাটাস দেখা গেছে।
অবশ্য সোমবার দুপুরে তার আইডিতে ঢুকে কোনো কিছুই পাওয়া যায়নি। এর আগেই তিনি সব কিছু সরিয়ে ফেলেছেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সাবেক পরিচালক ড. এ কে এম এনামুল হক বলেন, সরকারি চাকরিজীবীদেরকে ৭৯-এর কন্ডাক্ট রুল অনুযায়ী আচরণ করতে হয়। সেখানে সরকারের এমন সমালোচনা করা যাবে না যেখানে জনগণের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ককে ইফেক্ট করতে পারে, এটা ২৩ এর এ তে আছে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
অপরদিকে, ঊর্মিকে স্থায়ী বরখাস্ত করতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রথম শহীদ আবু সাঈদকে ‘সন্ত্রাসী’ বলে আখ্যা এবং ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানকে কটূক্তি করেছে ঊর্মি।
তাদের এ দাবি না মানা হলে ‘উত্তরবঙ্গ ব্লকেড’র হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, স্বৈরাচারীর দোসররা ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানকে মেনে নিতে পারেনি। তারা এ দেশ নিয়ে নানান ষড়যন্ত্র করছে। গণ-অভ্যুত্থান ও শহীদদের নিয়ে কুৎসা রটাচ্ছে। লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি শহীদ আবু সাঈদ ও গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে প্রমাণ করেছেন, তিনি স্বৈরাচারের দোসর। তাকে শুধু বদলি বা ওএসডি করলেই হবে না, স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করতে হবে।
আবু সাঈদের বড় ভাই আবু হোসেন বলেন, অনলাইনে জানতে পারি একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, যিনি আওয়ামী লীগের দোসর, তিনি সরকারি কর্মকর্তা হয়ে আবু সাঈদকে সন্ত্রাসী বলেছেন। সুশীল সমাজকে মায়া কান্না করতে বলেছেন। একজন সরকারি কর্মকর্তা কীভাবে এত সাহস পান? আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জোর দাবি, এই কর্মকর্তাকে স্থায়ীভাবে তার পদ থেকে বরখাস্ত করা হোক এবং তাকে আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তি প্রদান করা হোক।
শিক্ষার্থী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, আমরা তীব্রভাবে নিন্দা জানাচ্ছি, আবু সাঈদকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যাচার করা হয়েছে। আবু সাঈদ একজন গণ-অভ্যুত্থানের নায়ক এবং তাকে নিয়ে ভিত্তিহীন মন্তব্য আমরা কোনোভাবেই সহ্য করব না। যারা আবু সাঈদ সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা পোষণ করেন, তাদের আহ্বান জানাচ্ছি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে আবু সাঈদের প্রকৃত চরিত্র ও অবদান সম্পর্কে জানুন। আগে তাকে চিনুন, তারপর মন্তব্য করুন। এরপরেও যদি কেউ এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করেন, তাহলে ছাত্র-জনতা আপনাদেরকে ছাড় দিয়ে কথা বলবে না।
আরটিভি/এএইচ-টি
কে এই বরখাস্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মি
ফেসবুকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বরখাস্ত হয়েছেন লালমনিরহাটের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম উর্মি।
এ ঘটনায় উর্মিকে প্রথমে ওএসডি করে বদলির পর সোমবার (৭ অক্টোবর) তাকে বরখাস্ত করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা সদর ইউনিয়নের নসিবপুর গ্রামের বাসিন্দা তাপসী ঊর্মি। তার বাবা মো. ইসমাইল হোসেন একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। দুই বোন এবং এক ভাইয়ের মধ্যে তিনি বড়। তাদের বাড়ি নেত্রকোনায় হলেও তারা এখন ময়মনসিংহে বসবাস করেন। তবে মাঝে মাঝে তিনি নেত্রকোণায় যান। ঊর্মির ছোট ভাই বর্তমানে জার্মানির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন।
তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। তিনি ২০২২ সালে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন।
আরেকটি সূত্রে জানা গেছে, বিসিএস ৪০ ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা তাপসী তাবাসসুম উর্মি এই চাকরি না করার সিদ্ধান্ত অনেক আগেই নিয়েছেন। তিনি দেশের বাইরে ক্যারিয়ার গড়তে চান। গত ১ সেপ্টেম্বর তাকে পাসপোর্ট গ্রহণের জন্য এনওসি দেওয়া হয়। তিনি পাসপোর্টের আবেদন আরও আগেই করেছিলেন। স্কলারশিপ নিয়ে উচ্চতর শিক্ষার ভাল যোগ্যতা থাকা তাপসীর NLP (Natural Language Processing) এর ওপর গবেষণাপত্রগুলো Google Scholar এ সার্চ করলে পাওয়া যাবে।
এর আগে, গত শনিবার তাপসী একটি ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘সাংবিধানিক ভিত্তিহীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, রিসেট বাটনে পুশ করা হয়েছে। অতীত মুছে গেছে। এভাবে দেশের ইতিহাস মুছে ফেলা সম্ভব নয়।’
এই পোস্টের পর তাকে সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয় এবং রোববার তাকে ওএসডি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়। তবে, বদলির আদেশে কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি। এরপর সোমবার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এ বিষয়ে ঊর্মি বলেন, ‘আমি ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছি এটাই তো যথেষ্ট। বদলি বিভিন্ন কারণে হতে পারে। যদি আমার চাকরি চলে যায়, সমস্যা নেই। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, এটা মীমাংসিত সত্য। রিসেট বাটন মুছে ফেলে অতীত মুছে ফেলা, এর মানে কী? এখন পর্যন্ত প্রমাণিত হয়নি যে, জুলাইয়ে গণহত্যা হয়েছে।’
আরটিভি/এসএপি-টি
শেখ হাসিনা কোথায়, এবার জানালেন ভারতীয় কর্মকর্তারা
ক্ষমতা ছেড়ে দেশ ত্যাগ করা শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান করা নিয়ে গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ দাবি তুলছেন, তিনি ভারত ছেড়ে গেছেন। শেখ হাসিনার ভারত ছাড়ার ইস্যুতে এবার মুখ খুলেছেন ভারতীয় কর্মকর্তারা।
অনেকেই বলছেন তিনি দিল্লি ছেড়ে মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশে চলে গেছেন, এ জাতীয় সব খবরকে ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন ভারতের শীর্ষস্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারা।
দিল্লির সাংবাদিক শুভজ্যোতি ঘোষ জানান, তিনি গত ৪৮ ঘণ্টায় বিষয়টি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একাধিক সূত্রের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তারা প্রত্যেকে নিশ্চিত করেছেন ‘শেখ হাসিনা এখানে গত সপ্তাহে যেভাবে ছিলেন, এই সপ্তাহেও ঠিক একইভাবেই আছেন!
শেখ হাসিনা দিল্লিতে ঠিক কোথায় অবস্থান করছেন তা ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও জানায়নি। তবে আগের স্থান যে গত কয়েক দিনের ভেতরে মোটেও পাল্টায়নি, সে কথাও নিশ্চিত করেছে।
দেশটির একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এ-ও বলেছেন, যে পরিস্থিতিতেই আসুন না কেন, শেখ হাসিনা এই মুহূর্তে ভারতের সম্মানিত অতিথি। তিনি যদি পরে তৃতীয় কোনো দেশে যানও, সেটা নিয়ে আমাদের লুকোচুরি করার তো কোনো কারণ নেই!
তাই শেখ হাসিনা গোপনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো কোনো দেশে পাড়ি দিয়েছেন, এসব ‘খবর’কে উপেক্ষা করতেই পরামর্শ দিচ্ছেন কর্মকর্তারা।
শেখ হাসিনার অবস্থান নিয়ে গত কয়েক দিনে নানান আলোচনা চলছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে নানা বক্তব্যের বিষয়ে মঙ্গলবার সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে।
জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ওনার অবস্থান সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। আমরা দিল্লিতে খোঁজ করেছি, আমিরাতেও খোঁজ করেছি, কনফারমেশন অফিসিয়ালি কেউ দিতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, আপনারাও যেমন দেখেছেন, আমরাও দেখেছি উনি আজমানে সম্ভবত গেছেন। কিন্তু এটা রিকনফার্ম করার চেষ্টা করেও আমরা সফল হইনি। খবর: বিবিসি
আরটিভি/এএইচ
আমাকে মোয়া বানানো হচ্ছে: সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশ থেকে পালাতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। ৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতির নিকট পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। এরপর বঙ্গভবন থেকেই হেলিকপ্টারে দেশ ছাড়েন। কোটা সংস্কার আন্দোলন দমন করতে গত জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশিদের কার্যালয়ে নেওয়া হয়। পরে সমন্বয়কদের সঙ্গে এক টেবিলে বসে খাবার ছবি এবং তাদের দিয়ে আন্দোলন প্রত্যাহারের বিবৃতি দেওয়ার ভিডিও প্রকাশ করেন তিনি।
তার এই কর্মকাণ্ডকে জাতির সঙ্গে মশকরা বলেও মন্তব্য করেন উচ্চ আদালত। হাইকোর্টের এমন মন্তব্যের পরও ওই ছয় সমন্বয়কারীকে বেআইনিভাবে আটকে রাখা হয় প্রায় এক সপ্তাহ। এর মাঝে তার একটি আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
পরে ১ আগস্ট তাকে গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) দায়িত্ব থেকে সরিয়ে ডিএমপির ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস শাখায় পদায়ন করা হয়। নতুন অফিসে সবশেষ ২ আগস্ট দায়িত্ব পালন করেছিলেন হারুন। এরপর থেকেই তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন বলে শোনা যাচ্ছে। তবে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। তার অবস্থান নিয়ে এক রকমের ধোঁয়াশ রয়েছে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) অজ্ঞাত স্থান থেকেই ইউটিউব চ্যানেল নাগরিক টিভিতে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন হারুন অর রশিদ। সেখানে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান, আন্দোলন দমনে তার ভূমিকাসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন। দাবি করেছেন- তাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তাকে মোয়া বানানো হচ্ছে।
হারুন-অর-রশীদ বলেন, আমাকে ঘিরে নানা ধরনের গুজব ছড়ানো হচ্ছিল। তখনো আমি চুপ ছিলাম। সরকার যখন বলল, সবাইকে কাজে যোগ দিতে। তখন আমি গত ৮ আগস্ট ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি আমাকে তখনই যোগ দিতে নিষেধ করেন। আমাকে নিরাপদ স্থানে থাকতে বলেন। আমি যোগদান করতে গেছি। কিন্তু আমি যোগ দিতে পারিনি। দুই দিন পর দেখি আমার নামে মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। যেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি, কমিশনার ও আমাকে হুকুমের আসামি করা হয়। তখন আমি অবাক হলাম।
আমি তো ডিবিতে কাজ করি। ডিবির কাজ হলো মামলা তদন্ত করা। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নির্দেশ দিলে আমরা গ্রেপ্তার করি। মোহাম্মদপুরে তো আমি গিয়ে মারামারি করিনি, এটা তো আমার কাজ না। অতিরিক্ত কমিশনার কি মারামারি করতে যায়? আর ডিএমপিতে কমিশনারের পরে ৬ জন অতিরিক্ত কমিশনার। আমি হলাম ৬ নম্বর কমিশনার। সেখানে আমার নামে যখন মামলা হলো তখন তো একটু…। আবার বলা হলো মামলা হলেও সমস্যা নেই। ঘটনার সঙ্গে জড়িত না থাকলে গ্রেপ্তার করা হবে না।
আমি মনে করলাম ভালো কথা। ভাবলাম জয়েন করব। পরের দিন দেখলাম একজন উপদেষ্টা বললেন, যেসব পুলিশ কর্মকর্তা জয়েন করেননি আপনারা তাদের ধরে নিয়ে আসেন। আমি তখন আরও অবাক হলাম। আমি যদি চাকরিতে জয়েন না করি তাহলে প্রসিডিং করবে। আর যোগ দিলে আমাকে দিয়ে জোর করে চাকরি করাবেন। এটা শোনার পরে আমার মনে হলো রিস্ক। মানে আমার লাইফ ঝুঁকির মধ্যে। এখন মানুষকে ধরে যেভাবে পেটানো, ডিম মারা হচ্ছে। যদি আমাকে…। আগে তো বাঁচতে হবে। আমি ইচ্ছাকৃতভাবে একটু চুপ আছি।
পুলিশ সদর দপ্তরের দেয়াল টপকে পালাতে গিয়ে ব্যথা পাওয়ার বিষয়ে সাবেক ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, আমি পুলিশ সদর দপ্তরে যাইনি।
সরকারপ্রধান (শেখ হাসিনা) সবাইকে বিপদে ফেলে চলে গেছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ বলেন, এ নিয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। আমি ছোট মানুষ। আমি ডিএমপির প্রধানও না, পুলিশের প্রধান না। আমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমাকে মোয়া বানানো হচ্ছে। আমি কেন আলোচিত-এর একটাই কারণ যেখানে অপরাধ হয়েছে সেখানে আমি মানুষকে সেবা দিয়েছি। মানুষ যখন যে সমস্যায় পড়েছে তারা থানায় না গিয়ে ডিবিতে আসত। ডিবিতে আমার চাকরিজীবনে মানুষের উপকার করেছি। কারো ক্ষতি করিনি।
দেশবাসী কেন আপনাকে ঘৃণা করে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি ১২ বছর চাকরি করেছি। আমার কোনো অন্যায় থাকলে আপনি আমাকে ছাড়তেন? তখন আপনারা কোথায় ছিলেন? এখন আমি একটু অড পজিশনে পড়ে গিয়েছি, এখন যদি বলে হারুন খুব খারাপ... তাহলে আমি কী খারাপটা করেছি বলেন। আমি কার ক্ষতি করেছি? আমার কাছে যারা-যেসকল আসামিরা ছিল... এমনও বড় বড় বিএনপি নেতারা আমার কাছে গিয়েছিল.. তারা আমাকে বলতো আমার ফ্যামিলি প্রবলেম আছে, আমার ফ্যামিলি প্রবলেম সলভ করে দিও। এসব বিষয়ে আমি আরেকদিন কথা বলবো।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে জাতীয় সংসদের সামনে এক মিছিলে তৎকালীন বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নাল আবেদীন ফারুককে মারধরের ঘটনায় প্রথম আলোচনায় আসেন হারুন। এরপর থেকে বিভিন্ন নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে তার নাম আসে। ডিবিতে মানুষকে তুলে নেওয়া, বিরোধী দলের আন্দোলনে ‘বোমা উদ্ধারের’ প্রহসন, হেফাজতে নির্যাতন, আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়—ইত্যাদি অভিযোগে তিনি ব্যাপক সমালোচিত হন।
আরটিভি/এএএ
নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে যা জানাল তিতাস
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ কিছু গণমাধ্যমে নতুন গ্যাস সংযোগ দেয়ার যে খবর ছড়িয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক আবাসিক বা বাসাবাড়িতে নতুন গ্যাস সংযোগ বা লোড বৃদ্ধির সংযোগ বন্ধ রয়েছে। কিছু গণমাধ্যম বা সোস্যাল মিডিয়ায় আবাসিকে, বাসা বাড়িতে নতুন বা লোড বৃদ্ধির সংযোগ দেওয়ার প্রকাশিত সংবাদ সম্পূর্ণ গুজব ও ভিত্তিহীন।
কিছু প্রতারক চক্র জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। তাই সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। প্রয়োজনে গ্যাস বিতরণ কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করেছে তিতাস।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর আবাসিক গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দেয়। এরপর ২০১৩ সালের শেষের দিকে আবারও সংযোগ চালু করা হয়। তবে ২০১৪ সালের পর আবার জ্বালানি বিভাগ থেকে বিতরণ কোম্পানিকে আবাসিকের নতুন আবেদন নিতে নিষেধ করা হয়। সবশেষ ২০১৯ সালে লিখিতভাবে আবাসিক সংযোগ স্থগিত রাখার আদেশ জারি করা হয়।
আরটিভি/এফএ/এআর
৬৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাস করেননি কেউ
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ১১টি শিক্ষাবোর্ডে গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন শিক্ষার্থী।
তবে ৬৫টি প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া কেউ পাস করতে পারেননি।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ওয়েবসাইটে একযোগে এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়। সেখানে থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি সব বোর্ডের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, ১১টি শিক্ষা বোর্ডে পাস করেছে ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৩০৯ জন। গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন শিক্ষার্থী।
গত বছর শূন্যপাস করা কলেজের সংখ্যা ছিল ৪২টি। সেই হিসাবে এবার শূন্য পাস কলেজের সংখ্যা ২৩টি বেড়েছে।
এদিকে, চলতি বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে পাসের হার কিছুটা কমলেও শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে। প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, এ বছর দেশের ১ হাজার ৩৮৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস করেছেন।
যদিও গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে ৯৫৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস করেছিলেন। সেই হিসাবে এবার শতভাগ পাস করা কলেজের সংখ্যা বেড়েছে ৪৩৫টি।
আরটিভি/এআর-টি