বাংলাদেশে ৬ মাসে ২৮ হাজার শিশুর মৃত্যুর আশঙ্কা ইউনিসেফের
জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছে যে, আগামী ছয় মাসে বাংলাদেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী ২৮ হাজারেরও বেশি শিশুর মৃত্যু হতে পারে। জন হপকিন্স ইউনিভারসিটি ব্লুমবার্গ স্কুল অফ পাবলিক হেলথ কর্তৃক মে মাসে প্রকাশিত একটি স্টাডিতে এ তথ্য উঠে এসেছে।
ইউনিসেফ জানিয়েছে, বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচিতে দৃঢ়ভাবে সমর্থন তারা কিন্তু লকডাউনের সময় পরিসেবা প্রাপ্তির সীমিত সুযোগ এবং অভিভাবকদের সংক্রমণের আশঙ্কার কারণে এপ্রিল মাসে কেবল অর্ধেক শিশু তাদের নিয়মিত টিকা নিতে পেরেছে। ইউনিসেফ সারাদেশে স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে অপুষ্টির চিকিৎসায় ব্যবহৃত থেরাপিউটিক দুধের নতুন চালান সরবরাহ করেছে, যদিও তীব্র অপুষ্টিজনিত সমস্যায় আক্রান্ত শিশুদের সেবা গ্রহণের হার জানুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যবর্তী সময়ে ৭৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
সংস্থাটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোয় চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত প্রায় ৪ লাখ ৫৯ হাজার মা ও শিশুর জীবন হুমকির মুখে রয়েছে। এ অঞ্চলে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ। ‘লাইভস আপএনডেড’ শিরোনামে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
দক্ষিণ এশিয়ায় ইউনিসেফের আঞ্চলিক পরিচালক জ্যাঁ গফ বলেন, লকডাউন এবং অন্যান্য পদক্ষেপসহ দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে মহামারির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নানাভাবে শিশুদের জন্য ক্ষতির কারণ হচ্ছে। তবে শিশুদের ওপর অর্থনৈতিক সংকটের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব হবে সম্পূর্ণভাবে ভিন্ন মাত্রায়। এখনই জরুরি পদক্ষেপ না নিলে করোনা পুরো একটি প্রজন্মের আশা ও ভবিষ্যৎকে ধ্বংস করে দিতে পারে।
এছাড়া করোনার কারণে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা বাড়ছে। শ্রীলঙ্কায় ইউনিসেফের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৩০ শতাংশ পরিবারের খাদ্য গ্রহণের মাত্রা কমে গেছে। তাছাড়া বাংলাদেশে দরিদ্রতম কিছু কিছু পরিবার প্রতিদিনের তিন বেলার খাবার যোগাড় করতেও ব্যর্থ হচ্ছে।
এগুলো ছাড়াও বাড়ছে গৃহে আবদ্ধ থাকা অবস্থায় সহিংসতা ও নিগ্রহের ঘটনা। অনেক শিশুর কাছ থেকে ফোনের হেল্পলাইনগুলোতে আসা অভিযোগের সংখ্যা বাড়ছে। কিছু সংখ্যক শিশু হতাশায় ভুগছে, যার ফলে আত্মহত্যার চেষ্টাও করছে অনেকে। বাংলাদেশে শিশুদের জন্য চালু করা একটি হেল্পলাইন কেবল এক সপ্তাহে সম্ভাব্য ছয়টি আত্মহত্যার ঘটনায় হস্তক্ষেপ করেছে।
এ
মন্তব্য করুন