করোনার কারণে অনলাইনে কোরবানির পশু বিক্রির অর্ডার বেড়েছে (ভিডিও)
মাত্র সপ্তাহ দুয়েক পর কোরবানি ঈদ, অথচ পশুর হাটের তোড়জোড় সেভাবে শুরু হয়নি। কেবল রাজধানীর স্থায়ী হাট গাবতলিতে সারাদেশ থেকে পশু আসা শুরু হয়েছে।
দুশ্চিন্তায় রয়েছেন খামারীরা। ঈদের দিন ঘনিয়ে এলেও পশু কিনতে ক্রেতার দেখা নেই। হাট নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকায় গ্রাম থেকে খামারগুলোতে পশু আসতে শুরু করেছে। করোনা মহামারির কারণে অনলাইনে এবার ভালো অর্ডার পাওয়া যাচ্ছে।
পশু বিক্রেতারা বলেন, কোরবানির অবস্থা তেমন ভালো মনে হচ্ছে না। করোনার কারণে, আমরা একটা গরুও বিক্রি করতে পারছি না।
হাট না বসলেও রাজধানীর আশপাশের খামারগুলোকে পশু এসেছে। এখানেও ক্রেতাদের তেমন আগ্রহ নেই। যে দু একজন ক্রেতার দেখা মিলছে তারাও শুধু দেখেই ফিরে যাচ্ছেন।
ক্রেতারা বলছেন, এবার আমাদের পক্ষে হাটে যেয়ে গরু কেনা সম্ভব নয়। তাই আমরা খামারের দিকেই আসছি। অনলাইনে আগে দেখে রেখেছি, এখন এগ্রোতে আসছি। পছন্দ ও দামে হলে নিয়েও যাব।
খামারে সরাসরি বিক্রি না জমলেও গত কয়েক বছরের তুলনায় অনলাইনে ভালো অর্ডার এসেছে। খামারি তাই ভার্চুয়াল হাট নিয়ে বেশী আশাবাদী।
বেশ কিছু খামারি বলছেন, এবার অনলাইনে খুব ভালো সারা পেয়েছি। বেশির ভাগ মানুষ এখানে এসে দেখে কিনে নিয়ে যাচ্ছে।
অন্য এক খামারি বলেন, কিছু মানুষ ঈদ এর আমেজ নষ্ট বা সেখান থেকে বঞ্চিত হতে চাচ্ছে না। হাট যেয়ে অনেক গরু দেখে, গরু কেনার আনন্দ অনেক। তাই কিছু মানুষ হাটের জন্য অপেক্ষা করছে। দিন যত যাবে, পরিস্থিতি যদি একই রকম থাকে তবে অনেকেই অনলাইনে ঢুকে যাবে।
ঢাকার হাটে কুষ্টিয়া-চুয়াডাঙ্গার পশুর কদর সবসময়। তবে রাজধানীর হাটে আসা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় সেখানের খামারিরা। তারা বলছেন, ঢাকায় আসা যাওয়ার একটা খরচ আছে, তাই আমরা এই রিক্স নিতে চাচ্ছি না। ঢাকায় যেয়ে যদি দাম না পাই। আবার যদি গরু ফেরত আনতে হয়, তখন আমরা কীভাবে বাঁচব, কীভাবে খামার চালাবো!
তবে পশুর চাহিদা বাড়লে রাজধানীর হাটে আসতে সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে বিভিন্ন জেলার খামারীরা।
এসএ/ জিএ
মন্তব্য করুন