অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে উত্তরায় ডিএনসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালত
অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে রাজধানীর উত্তরার বিভিন্ন সেক্টরে সোমবার বেলা ১১টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নাইন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।
আজ উত্তরার ১, ৩ , ৫, ৬, ৭, ৯, ১৩, ও ১৫ নম্বর সেক্টরে ইতোপূর্বে উচ্ছেদকৃত স্থান পরিদর্শন শেষে নতুন করে স্থাপিত অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা হয়।
অভিযানকালে প্রায় তিন শতাধিক অস্থায়ী দোকান, ভ্যান, শেড ইত্যাদি উচ্ছেদ করা হয়। এ সময় ফুটপাত ও সড়কে নির্মাণসামগ্রী রাখার অপরাধে ৭ নম্বর সেক্টরের আরএমসি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ডিএনসিসির অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত অব্যাহত থাকবে।
পি
মন্তব্য করুন
বোনকে হত্যার অভিযোগে ভাইকে থানায় সোপর্দ করল পরিবার
রাজধানীর খিলগাঁওয়ে ভাইয়ের বিরুদ্ধে ছোট বোনকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই ভাই আবদুস সালামকে থানায় সোপর্দ করেছেন পরিবারের সদস্যরা।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নারীর নাম রুমি আক্তার। তিনি ভাইদের সঙ্গে খিলগাঁওয়ে পৈতৃক বাড়িতে থাকতেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এ ঘটনায় বোনকে বাঁচাতে গিয়ে বড় ভাই মো. বাবুল আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে তার স্বজনরা। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাবুল বলেন, তাদের ছোট ভাই আবদুস সালাম মাদকাসক্ত। তিনি ঠিকমতো কাজকর্ম করেন না। স্ত্রীকে মারধর করেন। বিকেলে এ নিয়ে তাকে বকা দিলে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে কাঁচি নিয়ে বাবুলের পিঠে ও ঘাড়ে আঘাত করেন। এ সময় ছোট বোন রুমি বাবুলকে রক্ষা করতে গেলে তাকেও কাঁচি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করেন সালাম।
রুমিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দাউদ হোসেন বলেন, পৈতৃক জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে সালাম তার ভাই ও বোনের ওপর হামলা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
আরটিভি/এআর
দর্শনায় যুবদল নেতা মিল্টন গ্রেপ্তার
চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় অভিযান চালিয়ে সেলিম মেহফুজ মিল্টন (৪৫) নামে এক যুবদল নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। গ্রেপ্তারের পর তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার সেলিম মেহফুজ মিল্টন দর্শনা পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক বলে জানা গেছে। তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা সেনাবাহিনী ক্যাম্পের লেফটেন্যান্ট আশহাব আল রাফিদ।
তিনি জানান, মিল্টনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় স্বর্ণ, মাদক চোরাকারবারী, অবৈধ অস্ত্র, অগ্নিসংযোগসহ একাধিক মামলা রয়েছে। গত বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দর্শনা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনী চুয়াডাঙ্গা ক্যাম্পের একটি টহল দল। পরে তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে চাইনিজ কুড়াল, রামদা, চাপাতিসহ বিভিন্ন ধরনেরর দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার মিল্টনকে দর্শনা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর এ কর্মকর্তা।
আরটিভি/কেএইচ
শাহজালালে সাড়ে ৭ কোটি টাকার স্বর্ণসহ ৫ যাত্রী আটক
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মালয়েশিয়া থেকে আসা ৫ যাত্রীর কাছ থেকে সাত কেজি স্বর্ণ জব্দ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাতে যাত্রীদের লাগেজ স্ক্যানিং করে স্বর্ণগুলো জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষের যুগ্ম কমিশনার আল আমিন।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানে তাদের আটক করা হয়। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
বিমানবন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অভিনব কায়দায় ওয়েল্ডিং মেশিনের কয়েলের ভেতরে লুকিয়ে ৫টি স্বর্ণের চাকতি, ২টি স্বর্ণের টুকরা এবং ১০০ গ্রাম স্বর্ণালঙ্কারসহ তাদের আটক করা হয়েছে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন—রুবেল হোসেন (২২), দুলাল আহম্মেদ (৩৫), সামিউল ইসলাম (৩৩), সবুজ আলি (২৪) ও সাগর মিয়া (২৭)। জব্দকৃত স্বর্ণের বাজার মূল্য ৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা বলে জানানো হয়েছে।
আরটিভি/এআর
রিউমর স্ক্যানারের প্রতিবেদন / বাংলাদেশে দুর্ঘটনার শিকার শ্যামলী বাস নিয়ে ভারতে অপপ্রচার
বাংলাদেশে ঢাকা-আগরতলা-ঢাকা রুটের শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসের সড়ক দুর্ঘটনায় পড়া নিয়ে ভারতে অপপ্রচার চলছে। এমনটি বলছে ফ্যাক্ট চেক বা তথ্য যাচাই প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রিউমর স্ক্যানারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় কয়েকটি গণমাধ্যমে বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঢাকা-আগরতলা-ঢাকা রুটের শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসের সাথে বাংলাদেশি একটি ট্রাক ইচ্ছাকৃতভাবে সংঘর্ষ ঘটায় দাবিতে একটি তথ্য প্রচার করা হচ্ছে।
এ ছাড়া দাবি করা হচ্ছে, পরে শ্যামলী পরিবহনের বাসটিতে থাকা ভারতীয় যাত্রীদের স্থানীয় লোকজন প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পাশাপাশি তাদের সামনে ভারত বিরোধী নানা স্লোগানও দেন।
একই দাবিতে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীও তার ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করেন। তথ্যটি ভারতীয় ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মধ্যে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলাদেশি ট্রাকের সংঘর্ষের দাবিটি সঠিক নয়। ভারতীয় যাত্রীদের হয়রানি করার তথ্যটিও মিথ্যা। প্রকৃতপক্ষে, ‘ওভারটেকিং’ (পেছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা) জনিত কারণে ঘটা দুর্ঘটনার বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
রিউমর স্ক্যানার যে প্রতিবেদনের বরাত দেয়, তা থেকে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভারতীয় বাসে হামলার দাবিতে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত তথ্যগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে ১ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ। সেখানে বাসের চালক মো. আসাদুল হকও উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, শনিবার দুপুরে শ্যামলী পরিবহনের বাসটি ভারতের আগরতলা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হয়ে ঢাকায় যাচ্ছিল। বাসটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার সুহিলপুরের চান্দিয়ারা এলাকা অতিক্রম করার সময় একটি ট্রাক বাসটিকে ওভারটেক করতে গিয়ে চাপ দেয়। এ সময় বাসটি বাঁ দিকে সরে গেলে একটি তিন চাকার যানের (ভ্যানগাড়ি) সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
এতে ভ্যানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ভ্যানচালক আহত হন। এ নিয়ে শ্যামলী পরিবহনের বাসচালক আসাদুল হক ও ভ্যানচালক ইব্রাহিমের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাস কর্তৃপক্ষ এবং ভ্যান মালিকের সঙ্গে বিষয়টি আলোচনা করে মীমাংসা করে।
পরে বাসটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। সেখানে কোনো রকম হামলা কিংবা কোনো দেশ বা সম্প্রদায়কে কটাক্ষ করে কোনো বক্তব্য দেওয়া হয়নি। ঘটনার সময় বাসে ১৭ জন ভারতীয় এবং ৯ জন বাংলাদেশি যাত্রী ছিলেন। তবে দুর্ঘটনায় তাদের কারও কোনো ক্ষতি হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে শ্যামলী পরিবহনের বাসচালক মো. আসাদুল হক বলেন, বাসে থাকা ভারতীয় যাত্রীদের সঙ্গে স্থানীয় সাধারণ মানুষের কোনো বাগবিতণ্ডা বা কোনোরকম ঝামেলা হয়নি। ভারতীয় গণমাধ্যমে বাসে হামলার খবর দেখে তিনি অবাক হন।
জেলা পুলিশ সুপার মো. জাবেদুর রহমান ঘটনাটি নিয়ে বলেন, একটি সাধারণ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিথ্যাচার করা হচ্ছে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে। বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করতেই চালকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সংবাদ সম্মেলনে আনা হয়েছে সত্যটা জানার জন্য।
ওই সংবাদ সম্মেলন নিয়ে প্রকাশিত ভিডিও প্রতিবেদনটিও রয়েছে। এদিকে চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ইউটিউব চ্যানেলে একই দিন ‘ভারত থেকে আসা বাসে হামলা নাকি দুর্ঘটনা; প্রকৃত ঘটনা জানাল ড্রাইভার’ শিরোনামে প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ওই প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য পাওয়া যায়।
রিউমর স্ক্যানার পরবর্তী সময়ে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে ভারতীয় গণমাধ্যম ‘উইওন নিউজ’–এর সহসম্পাদক সিধান্ত সিবালের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে প্রচারিত একটি ভিডিও পোস্ট খুঁজে পায়।
পোস্টটির ক্যাপশনে ভারতীয় এ সাংবাদিক জানান, দুর্ঘটনাকবলিত বাসটির যাত্রীরা কোনো ধরনের হেনস্তার শিকার হননি। পোস্টটিতে সংযুক্ত ভিডিওতেও একাধিক বাসযাত্রীকে একই কথা বলতে শোনা যায়।
রিউমর স্ক্যানার বলছে, ভারতের আগরতলা থেকে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাগামী ভারতীয় যাত্রী বহনকারী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করা হয় দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
আরটিভি/একে
থাইল্যান্ড-কানাডা থেকে মাদক এনে গুলশান-বনানীতে বিক্রি
থাইল্যান্ড ও কানাডা থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য এনে গুলশান-বনানী এলাকায় উচ্চবিত্ত শ্রেণির সন্তানদের কাছে বিক্রি করতেন ৩ তরুণ। হাতিয়ে নিতেন মোটা অংকের টাকা। অবশেষে তাদেরকে মাদকসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) গুলশান ও পল্টন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ঢাকা মেট্রো (উত্তর) কার্যালয়ের রমনা সার্কেলের সহকারী পরিচালক রাহুল সেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা উত্তর মেট্রোর উপপরিচালক শামীম আহম্মেদ।
গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ট্রেট্রাহাইড্রো ক্যানাবিনলযুক্ত কুশ ১ কেজি ৪০ গ্রাম, ক্যানাবিনলযুক্ত কান্ডি ৬০ গ্রাম, তরল ক্যানাবিনয়েড ৩৮ গ্রাম, ম্যাজিক মাশরুম ১৮ গ্রাম, মাদক বিক্রির নগদ ১ লাখ ৫ হাজার টাকা ও বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পরিদর্শক লোকমান হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, থাইল্যান্ড ও কানাডা থেকে এসব মাদকদ্রব্য আনতেন। অত্যাধুনিক অ্যাপসভিত্তিক বিভিন্ন গ্রুপের সদস্যদের কাছে কৌশলে মাদক পৌঁছে দিতেন তারা। গুলশান ও বনানীসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকার ধনাঢ্য তরুণ-তরুণী উচ্চমূল্যে এসব মাদক কিনে সেবন করেন।
আরটিভি/এআর-টি
শেখ হাসিনাসহ ১৮৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার আবেদন
রাজধানীর উত্তরায় গুলিতে আলী হুসেন নামে এক আন্দোলনকারী নিহত হওয়ার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৮৬ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে। একইসঙ্গে মামলায় আরও ৭০০ থেকে ৮০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাগীব নুরের আদালতে মফিজুল ইসলাম সানা নামে এক ব্যক্তি এই মামলার আবেদন করেন। তিনি আলী হুসেনের আত্মীয় বলে দাবি করেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের আইনজীবী জাকির হোসেন জানিয়েছেন, বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আলী হুসেনের ঘটনায় কোনো মামলা হয়েছে কি না বা কোনো তদন্ত চলছে কি না তা ২০ কর্মদিবসের মধ্যে উত্তরা-পূর্ব থানা পুলিশকে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার আবেদনে অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য খসরু চৌধুরী, হাবিব হাসান, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ ও বিপ্লব কুমার সরকার প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর উত্তরা-পূর্ব থানার আজমপুর-হাউজবিল্ডিং এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ছাত্র-জনতার মিছিলে অংশগ্রহণ করেন আলী হুসেন। সেখানে তিনি গুলিবিদ্ধ হলে তাকে উদ্ধার করে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরটিভি/কেএইচ
র্যাব পরিচয়ে ডাকাতি, মাইক্রোবাসসহ গ্রেপ্তার ৫
রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে র্যাব পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তির সহায়তায় ডাকাত দলের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস ও আটটি মোবাইল ফোনসেট জব্দ করা হয়।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. সাজ্জাদ হোসেন (৩৫), মো. কবির হোসেন (৫০), মো. শরিফ (২৫), মো. মনির হোসেন (৪০) ও মো. হাবিবুর খন্দকার (৩৮)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, গত ৪ ডিসেম্বর দুপুরের পর রাজধানীর ডেমরার মাতুয়াইলের ট্রাসমি কোম্পানি লি. এর ডিএমডি সাইফুল ইসলাম (৩৮) তাঁতিবাজারের রামের গদি নামের একটি স্বর্ণালংকারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে নগদ ২৬ লাখ ১২ হাজার টাকা স্কুল ব্যাগের ভেতরে নিয়ে বাড্ডার বাসায় যাওয়ার জন্য বংশাল চৌরাস্তা থেকে প্রচেষ্টা বাসে ওঠেন। বিকেল আনুমানিক ৪টা ২৫ মিনিটে বাসটি রমনার কাকরাইল মোড়ে ট্রাফিক সিগন্যালে পড়লে হঠাৎ র্যাবের সদস্য পরিচয় দিয়ে ১০/১২ জন লোক ওই বাসে উঠেন।
তাদের মধ্যে ‘র্যাব’ লেখা জ্যাকেট পরিহিত একজনের কাছে হ্যান্ডকাফ ও ওয়্যারলেস সেটও ছিল। তারা যাত্রীদের বলেন, এই গাড়িতে মামলার আসামি রয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন সাইফুল ইসলামকে দেখিয়ে দিলে অন্যরা তাকে ধরে জোরপূর্বক টানা হেঁচড়া করে বাস থেকে নামিয়ে তাদের একটি সাদা রঙের মাইক্রোবাসে উঠান।
তিনি আরও বলেন, মাইক্রোবাসের মধ্যে তারা সাইফুল ইসলামের দু’হাত পেছনে নিয়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন এবং ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাতের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে তাকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে তার সঙ্গে থাকা ২৬ লাখ ১২ হাজার টাকা, তার মোবাইল ফোন, মানিব্যাগসহ ১০ হাজার টাকা, হাত ঘড়ি, প্যান্টে পরিহিত বেল্ট ছিনিয়ে নিয়ে দুই হাত ও চোখ বেঁধে ডেমরা এলাকার রাস্তায় ফেলে দেয়।
ডিএমপির এই উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, এ ঘটনায় গত ১১ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী মো. সাইফুল ইসলামের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিএমপির রমনা মডেল থানায় একটি ডাকাতির মামলা দায়ের করা হয়। পরে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানার ইসিবি চত্বর এলাকা থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়। এ সময় চালক মো. কবির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে তার দেওয়া তথ্য মতে ওই দিন দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে বংশালের আল রাজ্জাক হোটেলের সামনে অভিযান পরিচালনা করে সাজ্জাদ, শরিফ, মনির, হাবিবুর নামে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে আটটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা একটি সংঘবদ্ধ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তারা রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে ডাকাতি করে থাকে। এক্ষেত্রে তারা বাহিনীর সদস্যের মত চেইন অব কমান্ড মেনে নেতৃত্বস্থানীয় সদস্যদের ‘স্যার’ বলে সম্বোধন করেন এবং সে অনুযায়ী ডাকাতির পর ভাগের টাকা নির্ধারণ করেন। তাদের এই দলের মোট সদস্য সংখ্যা প্রায় ১০-১২ জন। যারা একেকটি ডাকাতির ঘটনায় বিভিন্ন ধাপে কাজ করে থাকেন।
আরটিভি/কেএইচ