৫ সিন্দুকভর্তি টাকা এনামুল-রূপনের বাড়িতে (ভিডিও)
রাজধানীর পুরান ঢাকার লালমোহন সাহা স্ট্রিটে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে পাঁচটি সিন্দুকভর্তি টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, এফডিআর ও ক্যাসিনো সামগ্রী জব্দ করেছে র্যাব।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলমের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।
ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এনামুল হক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুপন ভূঁইয়ার বাড়ি থেকে এসব জব্দ করা হয়। এসময় পাঁচ কোটি টাকার এফডিআর ও বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কার জব্দ করা হয়।
আজ মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১১টা পর্যন্ত বাড়িটি ঘিরে রাখতে দেখা যায় র্যাব সদস্যদের।
পি
মন্তব্য করুন
লিয়াকত আলী লাকীসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক মোহাম্মদ লিয়াকত আলী লাকী ও পরিচালক (প্রশাসন) জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরীসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার (৬ অক্টোবর) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপপরিচালক সুমিত্রা সেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
অন্য আসামিরা হলেন- কালচারাল অফিসার আল মামুন, মো. হামিদুর রহমান, বেগম সুদীপ্তা চক্রবর্তী, হাসান মাহমুদ, বেগম বুনা লায়লা মাহমুদ, সহকারী পরিচালক (বাজেট ও প্ল্যানিং) বেগম সামিরা আহমেদ, স্টেজ ম্যানেজার বেগম রহিমা খাতুন, গাইড লেকচারার মো. মাহাবুবুর রহমান, ইন্সট্রাকটর (সংগীত ও যন্ত্র) বেগম মীন আরা পারভীন, ইন্সট্রাকটর (নৃত্য) বেগম প্রিয়াংকা সাহা, যন্ত্রশিল্পী (গ্রেড-৩) নারায়ণ দেব লিটন ও মোহাম্মদ জিয়াউল আবেদীন, নৃত্যশিল্পী (গ্রেড-৩) বেগম লায়লা ইয়াসমিন, বেগম মিফতাহুল বিনতে মাসুক, বেগম আলকা দাশ প্রাপ্তি ও বেগম সুমাইতাহ তাবাসসুম খানম, কণ্ঠশিল্পী বেগম রোকসানা আক্তার রূপসা, আবদুল্লাহেল রাফি তালুকদার, মো. সোহানুর রহমান, বেগম আবিদা রহমান সেতু ও বেগম মোহনা দাস এবং ক্যামেরাম্যান (জনসংযোগ) মো. রুবেল মিয়া।
এ বিষয়ে দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন গঠিত অনুসন্ধান টিমের দাখিল করা প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী এবং পরিচালক (প্রশাসন) জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী তাদের কাছে সংগৃহীত এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার নম্বরপত্রে পরস্পর যোগসাজশে জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার আশ্রয় নেন। আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে লিখিত পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের নম্বরপত্রে নম্বর বাড়িয়ে অবৈধভাবে ১০টি পদে ২৩ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আসামিরা লিখিত পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের উত্তীর্ণ করে ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেন এবং তাদের বেতন-ভাতা বাবদ সরকারি তহবিল থেকে নেওয়া ৮ কোটি ২৮ লাখ ৪৯৫ টাকা উত্তোলন করেন, যা দুদকের তফসিলভূক্ত দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০, ৪৬৮, ৪৭১, ১০৯ ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
আরটিভি/আইএম
বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার ৫ বছর
বুয়েটের তড়িৎ প্রকৌশলী বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার ৫ বছর পূর্ণ হলো। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতবিরোধী স্ট্যাটাস দেওয়ায় ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর দিবাগত রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। রাত ৩টার দিকে হলের দ্বিতীয় তলা থেকে আবরারের লাশ উদ্ধার করে কর্তৃপক্ষ।
আবরার বুয়েটের ১৭তম ব্যাচের ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র ছিলেন।
২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের পানি ও গ্যাস চুক্তির বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন আবরার।
ওই দিনই শেরেবাংলা হলের গেস্টরুমে আসামিরা সভা করে বুয়েটের ১৭তম ব্যাচের ছাত্র আবরারকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়।
স্ট্যাটাসটি দেওয়ার সময় তিনি কুষ্টিয়ায় গ্রামের বাড়িতে ছিলেন। পর দিন (৬ অক্টোবর) বিকালে তিনি বাড়ি থেকে বুয়েটের হলে ফেরেন।
হলে ফেরার কয়েক ঘণ্টার মাথায় রাত ৮টার দিকে আবরারসহ দ্বিতীয় বর্ষের সাত-আটজন ছাত্রকে শেরেবাংলা হলের দোতলার ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে পাঠান তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাত-আটজন নেতা।
তারা আবরার ফাহাদের মোবাইল নিয়ে ফেসবুক ও মেসেঞ্জার ঘেঁটে দেখেন। এ সময় আবরার শিবিরের সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ আনা হয়। আবরার এসব অস্বীকার করলে স্টাম্প দিয়ে আবরারকে পেটাতে শুরু করেন। কিছুক্ষণ পর চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আরও কয়েকজন নেতাকর্মী আসেন। তারা আরেক দফা পেটান আবরারকে।
মার খেয়ে একপর্যায়ে আবরার অচেতন হয়ে পড়লে কোলে করে মুন্নার কক্ষে (২০০৫ নং) নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার আরও অবনতি হলে দোতলা ও নিচতলার সিঁড়ির মধ্যবর্তী জায়গায় অচেতন আবরারকে নিয়ে যান তারা। অচেতন আবরারের চিকিৎসার জন্য হল প্রভোস্ট ও চিকিৎসককে খবর দেয় ছাত্রলীগের সেসব কর্মী। কিন্তু এরই মধ্যে প্রাণ হারান আবরার। চিকিৎসক এসে আবরারকে মৃত ঘোষণা করেন। তখন কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দেয়।
আবরার হত্যার ঘটনায় তার বাবা মো. বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর রাজধানীর চকবাজার থানায় মামলা করেন।
২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে ২০ জনের ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। এছাড়া এ মামলার অপর পাঁচ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। সব আসামির দ্রুত ফাঁসি কার্যকরের জোর দাবি জানিয়েছেন আবরার ফাহাদের মা রোকেয়া খাতুন। আবরার হত্যার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকের ফাঁসি চেয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে আবরারের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ বলেন, তিনজন আসামি এখনো পলাতক। তারা সবাই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। এই আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও যেসব আসামি কারাগারে রয়েছেন, তাদের রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানান তিনি।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো, বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল (সিই বিভাগ, ১৩তম ব্যাচ), সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৫তম ব্যাচ), তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার (মেকানিক্যাল ইঞ্জনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির (ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), উপসমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশারফ সকাল (বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য মুনতাসির আল জেমি (এমআই বিভাগ), সদস্য মুজাহিদুর রহমান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য হোসেন মোহাম্মদ তোহা (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), সদস্য এহতেশামুল রাব্বি তানিম (সিই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), শামীম বিল্লাহ (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মাজেদুল ইসলাম (এমএমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর (মেকানিক্যাল, ১৭তম ব্যাচ), মাহমুদুল জিসান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), এ এস এম নাজমুস সাদাত (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মিজানুর রহমান (ওয়াটার রিসোসের্স, ১৬ ব্যাচ), শামসুল আরেফিন রাফাত (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং), উপ-দপ্তর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ (কেমিকৌশল), মাহামুদ সেতু (কেমিকৌশল), এহতেশামুল রাব্বি তানিম (সিই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মাহমুদুল জিসান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ) এবং মুজতবা রাফিদ (কেমিকৌশল)। এর মধ্যে শেষের তিনজন পলাতক রয়েছে।
যাবজ্জীবনের ৫ আসামি হলো- বুয়েট ছাত্রলীগের সহসভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ (১৪তম ব্যাচ, সিই বিভাগ), গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না (মেকানিক্যাল, তৃতীয় বর্ষ), আইনবিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহা (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং), সদস্য আকাশ হোসেন (সিই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ) ও মোয়াজ আবু হোরায়রা (সিএসই, ১৭ ব্যাচ)।
আরটিভি/এআর
এক চটপটির দোকান আর দুই রেস্তোরাঁ চালাতেই ১৫১ কোটি টাকা ঋণ!
একটি চটপটির দোকান ও দুটি রেস্তোরাঁ দেখিয়েই ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের তিনটি শাখা থেকে ১৫১ কোটি টাকা ঋণ পেয়েছে নওরোজ এন্টারপ্রাইজ নামে চট্টগ্রামের এক প্রতিষ্ঠান। শুধু তাই নয়, বছরের পর বছর ঋণ শোধ না করায় ব্যাংকের পাওনা গিয়ে ঠেকেছে ২৩৪ কোটি টাকায়। এরপরও প্রতিষ্ঠানের মালিক নাজমি নওরোজের নাম ওঠেনি ব্যাংকের ঋণ খেলাপির তালিকায়।
জানা গেছে, সামান্য ব্যবসার বিপরীতে এত বিশাল অঙ্কের ঋণ নেওয়া সম্ভব হয়েছে স্বয়ং ব্যাংক মালিকেরই বিশেষ আগ্রহে। ঋণ পরিশোধ না করার সুবিধাটি অব্যাহত রাখতে তা খেলাপি না দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অশ্রেণিবদ্ধ (আনক্লাসিফায়েড) করে রাখে ব্যাংকের মালিকপক্ষ। সেই সুবাদেই ঋণ শোধ না করে দিব্যি বিলাসী জীবনযাপন চালিয়ে যাচ্ছেন নাজমি নওরোজ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইট অ্যান্ড ট্রিট নামের চটপটির দোকানটি চট্টগ্রামের আসকার দিঘির পাড়ে। এর পাশেই ফিউশন ইটস নামের রেস্তোরাঁটি। আর লা এরিস্টোক্রেসি নামের অপর রেস্তোরাঁটি তিনবার জায়গা বদল করে এখন নগরীর আগ্রাবাদে।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, লা এরিস্টোক্রেসি রেস্তোরাঁটির নামে সর্বোচ্চ ২ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ নেওয়ার সুযোগ থাকলেও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের আসকার দিঘির পাড়ের মহিলা শাখা থেকে ৭০ কোটি টাকা নিয়েছেন নাজমি নওরোজ। এই ঋণ বাবদ সুদ-আসলে বর্তমানে ১১৭ কোটি টাকা পাওনা হয়েছে ব্যাংকের। একই প্রতিষ্ঠানের নামে নগরীর প্রবর্তক মোড়ে অবস্থিত ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক শাখা থেকে তিনি ঋণ নেন ৫৪ কোটি টাকা, যা সুদে-আসলে এরই মধ্যে ৯০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা হয়েছে। এর বাইরে ব্যাংকটির চকবাজার শাখা থেকে তিনি ঋণ নিয়েছেন ২৭ কোটি টাকা। তবে চকবাজার শাখা থেকে তোলা পুরো টাকাটা এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যাংকটির মালিক সাইফুল আলম মাসুদ নিয়ে নিয়েছেন বলে দাবি করছেন নাজমি নওরোজ।
আসকার দিঘির পাড়ের মহিলা শাখার মাধ্যমে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে ২০১১ সাল থেকে লেনদেন শুরু হয় নাজমি নওরোজের। বর্তমানে এই ঋণ সুদে-আসলে ১১৭ কোটি টাকা হয়েছে। ব্যাংকের চাপাচাপিতে ২০২২ সাল থেকে এ পর্যন্ত কেবল ১ কোটি ১০ লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন তিনি। তবে, এই ঋণের টাকা অশ্রেণিবদ্ধ (আনক্লাসিফায়েড) তালিকায় দেখানো হচ্ছে।
ব্যাংক সূত্র জানায়, মালিকপক্ষ চায়নি বলে নাজমি নওরোজকে ঋণ খেলাপি হিসেবে দেখানো হয়নি। তাই ঋণটিকে অশ্রেণিবদ্ধ করে রাখা হয়। অবশেষে গত আগস্ট মাসে তাকে ঋণ খেলাপি হিসেবে দেখানো হয় এবং পাওনা আদায়ে মামলা করা হয়।
ব্যাংক সূত্র জানায়, নাজমি নওরোজ ব্যাংক থেকে যে টাকা উত্তোলন করেন, বছর শেষে তা পরিশোধ না করলেও তার ব্যাপারে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। বরং ব্যাংকের টাকা ফেরত না পাওয়ায় শাস্তি হিসেবে আটকে দেওয়া হয় একাধিক কর্মকর্তার পদোন্নতি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ব্যাংকটির এক কর্মকর্তা বলেন, নাজমি নওরোজ ব্যাংকের কিস্তি জমা দিতেন না। কিন্তু মাঝেমধ্যে উপহার নিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাদের কাছে আসতেন। কর্মকর্তারা এসব উপহার গ্রহণ করতে না চাইলে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দিয়ে প্রচণ্ডভাবে ধমকাতেন।
এ ব্যাপারে নাজমি নওরোজের বক্তব্য, আমি যে পরিমাণ সম্পদ ব্যাংকে জামানত দিয়েছি তাতে ৪০ কোটি টাকাও পাওয়ার কথা না। যা কিছু হয়েছে, সবই মাসুদ সাহেবের ইচ্ছায় হয়েছে। আমি যে আকিজ উদ্দিনকে টাকা দিয়েছি, সেই প্রমাণ আমার কাছে আছে। ব্যাংকের নতুন পর্ষদ গত রোববার (৬ অক্টোবর) আমার সঙ্গে বসেছে। আমি তাদেরকে এসব জানিয়েছি।
তাহলে ব্যাংকের এত টাকার দেনা কে পরিশোধ করবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে নাজমি নওরোজ বলেন, কেন? মাসুদ সাহেব শোধ করবেন!
ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ ও তার ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) আকিজ উদ্দিনের বিশেষ আগ্রহে সামান্য এক চটপটির দোকান ও দুই রেস্তোরাঁর নামে নাজমি নওরোজ এত বিশাল পরিমাণ অর্থ ব্যাংক থেকে তোলার সুযোগটি পান।
ওই চটপটির দোকান এবং রেস্তোরাঁ দুটি থেকে বছরে কত আয় হয়, জানতে চাইলে এড়িয়ে যান নাজমি নওরোজ। এছাড়া ব্যক্তিগত চলাফেরার গাড়ির দাম ও বিদেশে সন্তানদের লেখাপড়া সংক্রান্ত আরও কয়েকটি প্রশ্নের জবাবও একইভাবে এড়িয়ে যান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রামের আঞ্চলিক প্রধান (উত্তর) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, নাজমি নওরোজের বিরুদ্ধে আমরা আদালতে মামলা করেছি। ঋণের টাকা আদায়ের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত আছে।
আরটিভি/এসএইচএম
দেশ টিভির অনৈতিক কর্মকাণ্ডে তীব্র প্রতিবাদ আরটিভির
দেশের জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভির বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও কল্পনাপ্রসূত সংবাদ প্রচার করার প্রতিবাদ জানিয়েছে আরটিভি কর্তৃপক্ষ। সরাসরি পাঠানো প্রতিবাদ লিপিতে দেশ টিভিকে অসৎ সাংবাদিকতা পরিহারের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
গত কয়েক বছর ধরেই দেশের বড় শিল্প গ্রুপ ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগ উঠেছে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনুমোদন পাওয়া টেলিভিশন চ্যানেল দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ হাসানের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি আদালতে আরিফ হাসানের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছে দেশের একটি পরিচিত শিল্প গ্রুপ।
নাম ও পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক দেশের শীর্ষস্থানীয় একাধিক শিল্পোদ্যোক্তা আরটিভিকে জানিয়েছেন, দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ হাসান নেতিবাচক সংবাদ প্রচারের হুমকি দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করে সরাসরি নির্দিষ্ট অংকের টাকা দাবি করেছেন।
বিপুল পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার করার অভিযোগে দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ হাসানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের মামলা চলমান রয়েছে। কানাডার টরন্টোতে নগদ ৩ দশমিক ৭ মিলিয়ন কানাডিয়ান ডলারে (প্রায় ৩২ কোটি ১৫ লাখ টাকা) বাড়ি কেনার অভিযোগ রয়েছে আরিফের বিরুদ্ধে। দেশ টিভির এই ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে ৩৩৫ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতিসহ ১২৮ কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পতন হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে উত্থান হওয়া আরিফ হাসানের বিরুদ্ধে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক বিদুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর সঙ্গে অর্থপাচারের সিন্ডিকেট গড়ে তোলার অভিযোগ রয়েছে।
ছাত্র হত্যার দায়ে আটক সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বান্ধবী আদালত পাড়ার মাফিয়া হিসেবে আলোচিত তৌফিকা করিমকে জুলাই বিপ্লবের আগে দেশ টিভির চেয়ারম্যান বানান আরিফ। অভিযোগ রয়েছে, দুদকের মামলা স্থগিত এবং আদালতের নির্দেশে ফ্রিজ থাকা ১৫ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সচল করার শর্তে তৌফিকা করিমকে চেয়ারম্যান পদ দেওয়া হয়। এতে মধ্যস্থতা করেছেন গণহত্যার অভিযোগ ওঠা সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বিশেষ স্নেহভাজন দেশ টিভির বিশেষ প্রতিনিধি শামীমা আক্তার। আরটিভির চিফ রিপোর্টার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোয় শামীমা আক্তারকে একাধিকবার সতর্ক করা হয়েছিল।
২০১১ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৬ বার পাসপোর্ট পরিবর্তন করা আরিফ হাসানের জাল-জালিয়াতির আরও অনেক তথ্য দুদকের কাছে আছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন সূত্র।
তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আরিফ হাসানের মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অসমর্থিত সূত্র বলছে, আরিফ হাসানের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারে আঁচ করে দেশ ছেড়ে কানাডায় পালিয়েছেন তিনি।
আরটিভি/এআর
১৬ বছরে সম্পদের পাহাড় গড়া শাহরিয়ার এবার ভারত ছেড়ে রাশিয়ায়
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারত পালিয়ে যাওয়ার পর তার দোসররাও ভারত পালিয়ে যায়। তারা সে দেশে এখনও আছেন। ভারতে পালিয়ে যাওয়া মন্ত্রী-এমপিদের মধ্যে রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সাবেক সংসদ-সদস্য ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও রয়েছেন। জানা গেছে, তিনি এখন আর সে দেশে নেই।
শাহরিয়ারের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে বাঘা-চারঘাটের বাসিন্দারা বলছেন, ৫ আগস্ট খুব ভোরে তিনি নিজ বাড়ি ছেড়ে সড়কপথে গেদে সীমান্তে পৌঁছান। এরপর তিনি ভারতে প্রবেশ করেন। ভারত থেকে থাইল্যান্ড হয়ে বর্তমানে তিনি রাশিয়ায় অবস্থান করছেন।
শাহরিয়ার ২০০৮ সালে প্রথম নির্বাচন করেন। তখন তিনি ছিলেন ব্যবসায়ী। হলফনামায় ঋণগ্রস্ত ছিলেন বলে উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তী ১৬ বছরে অভাবনীয় উত্থান ঘটে। রীতিমতো কয়েক হাজার কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির মালিক বনে যান শাহরিয়ার ও তার পরিবারের সদস্যরা। তার এই অস্বাভাবিক উত্থান দেখে বিস্মিত এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্টরা।
নাটোরের লালপুর উপজেলার আওয়ামী লীগের এক নেতার কন্যা সিলভিয়া পারভীন লেনিকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন শাহরিয়ার। প্রভাব খাটিয়ে লেনির মা রোকসানা মর্ত্তুজাকে ২০২১ সালে মেয়র বানান শাহরিয়ার। ঢাকার গুলশানে লেনিকে ৩ হাজার ৬০০ স্কয়ার ফুটের রাজকীয় একটি ফ্ল্যাট উপহার দেন। লালপুরে কোটি টাকা মূল্যের বাড়ি করে দেন। এ ছাড়া গুলশানে নিজের নামে দুটি এবং ছেলের নামে একটি ফ্ল্যাট কেনেন শাহরিয়ার।
জানা গেছে, রাশিয়া, ব্রাজিল ও চীনে গড়ে তুলেছেন ৮টি পোশাক কারখানা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। নিজের রেনেসাঁ গ্রুপের নামে প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘দুরন্ত’ টেলিভিশন ।
আরটিভি/এআর
ওবায়দুল কাদেরের দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে দুদকে আবেদন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ তিনজনের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের অনুসন্ধান চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করা হয়েছে।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুদক চেয়ারম্যান বরাবর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুলতান মাহমুদ এ আবেদন করেছেন। দুপুরে সুপ্রিম কোর্টে এক সংবাদ সম্মেলনে এই আইনজীবী নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেন ।
আবেদনে ওবায়দুল কাদের ছাড়াও তার দুই ভাই আব্দুল কাদের মির্জা ও শাহাদাত কাদের মির্জার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অনুসন্ধান করার কথা মামলার আরজি জানানো হয়েছে।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে যান শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরপরই দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ সরকারদলীয় সাবেক এমপি-মন্ত্রী ও নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে যান।
গত বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ‘সড়ক ও মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলে সড়ক-মহাসড়কের ব্যাপক উন্নয়ন দাবি করা হলেও সড়ক খাতে ২৯ হাজার ২৩০ থেকে ৫০ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলে ১২ বছরই সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী হিসেবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) দায়িত্বে ছিলেন ওবায়দুল কাদের।
আরটিভি/এআর
ফেসবুকে বেকারদের ফাঁদে ফেলত তারা
ফেসবুকে চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়ে ফাঁদে ফেলে বেকার যুবকদের জিম্মি করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে সাত জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত ৯ অক্টোবর থেকে সোমবার (১৪ অক্টোবর) পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় এ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন, নাসির উদ্দিন ওরফে পিটার নাসির, আনোয়ার ওরফে তন্ময় ওরফে আকতারুজ্জামান, রোকসানা রহমান ওরফে রোকসানা, সীমা ওরফে রোকসানা আক্তার, জেসমিন ওরফে জেসমিন বেগম, মোছা. লিজা ও শাহানাজ আক্তার।
খিলগাঁও থানার মামলা সূত্রে জানা যায়, বেকার যুবক ঢাকার নবাবগঞ্জের নাসির উদ্দীন। তিনি ফেসবুকে নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগের বিজ্ঞাপন দেখে ৬ অক্টোবর দুপুরে সীমা ওরফে রোকসানা আক্তারের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করেন। ওই দিন সন্ধ্যায় সীমার কথা মতো তিনি খিলগাঁও টেম্পোস্ট্যান্ড এলাকার ১৩৬ নম্বর দক্ষিণ গোড়ানের বাসায় যান। কিছুক্ষণ পর সীমা, আনোয়ারসহ কয়েকজন ওই বাসায় আসে। তারা মুহূর্তে নাসিরকে বিবস্ত্র করে মারধর এবং মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। সীমা নিজেকে ডিবি পুলিশের পরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ভুক্তভোগীর মায়ের কাছে মোবাইল ফোনে ১ লাখ টাকা চায়। বাদীর মা তখনই তাদের দেওয়া বিকাশ নম্বরে ৫ হাজার টাকা পাঠান। এর পর তারা ভুক্তভোগীর সঙ্গে থাকা দুটি স্বর্ণের আংটি, একটি মোবাইল ফোনসেট ও নগদ সাড়ে ৩২ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। শেষে রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাঁকে চোখ বেঁধে মোটরসাইকেলে খিলগাঁও ফ্লাইওভারের ওপর ফেলে যায় আনোয়ার। এ ঘটনায় ৯ অক্টোবর মামলা দায়েরের পরপরই খিলগাঁও থেকে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার শাহানাজ আক্তার নামে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার নাসির উদ্দিন ওরফে পিটার নাসিরের নামে হত্যা-চাঁদাবাজিসহ আটটি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে ফেসবুকে চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়ে, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে মানুষকে প্রলুদ্ধ করতো। কেউ তাদের ফাঁদে পা দিলে তাকে জিম্মি করে অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী হাতিয়ে নিতো তারা।
আরটিভি/এসএপি