রাজধানীর কলাবাগানে ধর্ষণের পর হত্যা স্কুলের ‘ও’লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমিনের (১৭)ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি ফারদিন ইফতেখার দিহানের পরিবার আইনজীবী নিয়োগ করেনি। তারা আইন অনুযায়ী অপরাধীর শাস্তি চান। বিচারে দিহানের অপরাধী প্রমাণ হলে যা সাজা হবে তা মেনে নেবেন দিহানের পরিবার।
আজ শনিবার (০৯ জানুয়ারি) দিহানের পরিবার এসব কথা বলেন। দিহানের বাবা সদ্য অবসরপ্রাপ্ত জেলা রেজিস্ট্রার আবদুর রউফ সরকার। তিন সন্তানের মধ্যে দিহান সবার ছোট।
দিহানের মা সানজিদা সরকার বলেন, পুলিশ দিহানকে গ্রেপ্তার করেছে। আনুশকা নূর আমিনের হত্যার বিষয়ে ফরেনসিক রিপোর্ট আছে। আইন অনুযায়ী দিহানের যে সাজা হবে তা মেনে নেবে পরিবার।
দিহানের মেঝো ভাই নিলয় সরকার বলেন, ঘটনার দিন বাসা ফাঁকা ছিল। এই সুযোগে দিহান তার বান্ধবীকে বাসায় নিয়ে এসেছিল। তবে আনুশকা নামে মেয়ের সঙ্গে প্রেম করতো গত দুদিনে আমরা তার বন্ধু-বান্ধবীদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি।
এরআগে কুষ্টিয়ায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন শেষে হত্যার বিচারের দাবিতে আনুশকারের বাবা আল আমিন আহম্মেদসহ স্থানীয় লোকজন মানববন্ধন করেছেন। ওই মানববন্ধনে আনুশকারের বাবা দাবি তুলেছেন, এই হত্যার পেছনে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা বের করে দ্রুত বিচার সম্পন্ন করতে হবে। আমি বারবার বলেছি মেয়ের জন্ম ২০০৩ সালে। পাসপোর্ট দেখিয়ে বলেছি মেয়ের বয়স ১৭। কেন তাকে ১৯ বানানো হলো?
অন্যদিকে আনুশকারের মা বলেন, থানায় মামলা দিতে গেলে দিহানসহ চারজনকে আসামি করার কথা বলা হয়। কিন্তু পুলিশ কেন একজনকে আসামি করল, সেই প্রশ্ন কিশোরীর মায়ের।
এফএ