শরিয়ত বয়াতি কেন জামিন পাবেন না: হাইকোর্ট
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের শরিয়ত বয়াতিকে কেন জামিন দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
আজ বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. এমদাদুল হক ও বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ দুই সপ্তাহের রুল জারি করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনিরা হক মনি। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল গিয়াস উদ্দিন আহমেদ।
মনিরা হক বলেন, গেল রোববার তারা জামিন আবেদন উপস্থাপনের পর রাষ্ট্রপক্ষ সময় নিয়েছিল। বুধবার সেই শুনানি শেষে আদালত রুল দিয়েছে। শরিয়ত বয়াতির যে ভিডিওকে কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে, ৫১ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের সেই ভিডিওর অনুলিখন আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। আমরা বলেছি, শরিয়ত বয়াতির ভিডিওটি বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে মামলা করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, সেখানে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার মতো কিছু নাই। তাছাড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৮/২ ধারা তার জন্য প্রযোজ্য নয়। ফলে তার বিরুদ্ধে এ মামলাই চলে না। এসব যুক্তি উপস্থাপন করে আমরা জামিন চেয়েছিলাম। আদালত রুল জারি করেছে।
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার আগধল্লা গ্রামের বাউল শরিয়ত বয়াতি (৩৫) গত ২৪ ডিসেম্বর ঢাকার ধামরাই উপজেলার একটি বাউল গানের আসরে যান। সেখানে পালা গানে ইসলাম ও কোরআন হাদিস নিয়ে কিছু কথা বলেন। ইউটিউবে তার এ বক্তব্য নিজগ্রামের কিছু মানুষ দেখে। এরপর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছে বলে লোকজন অভিযোগ এনে শরিয়ত বয়াতির বিচারের দাবিতে এলাকায় সমাবেশ ও বিক্ষোভ করেন।
ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত ৯ জানুয়ারি আগধল্লা গ্রামের মাওলানা মো. ফরিদুল ইসলাম বাদী হয়ে শরিয়তের বিরুদ্ধে মির্জাপুর থানায় একটি মামলা করেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় শরিয়তের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতি বা মূল্যবোধের উপর আঘাতের অপরাধ করার অভিযোগ আনা হয়। এ মামলায় পর তাকে ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে গ্রেপ্তার করেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
ওইদিনই তাকে টাঙ্গাইল জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এসএস
মন্তব্য করুন