‘ক্যাসিনো খালেদের’ বিচার শুরু
যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
আজ বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মাদকের মামলায় এই অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে তার বিচার শুরু হলো। মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ১ এপ্রিল দিন ধার্য করেন আদালত। অভিযোগ গঠনের সময় খালেদকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন তিনি।
এর আগে ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তারর বিরুদ্ধে দেয়া মাদক মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে মামলার বদলির আদেশ দেন। একই সঙ্গে ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলাটির বদলির আদেশ দেন। ২৬ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। ১৭ নভেম্বর খালেদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে র্যাব।
এসএস
মন্তব্য করুন
হেনরীর দেশত্যাগে এবার স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা
সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) জান্নাত আরা হেনরীর দেশত্যাগে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই আদেশে তার স্বামী সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শামীম তালুকদার লাবু ও মেয়ে মুনতাহা রিদায়ী লামকেও দেশত্যাগে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।
এর আগে, তাদের ৬০ দিনের জন্য দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন আদালত। এরই মধ্যে মামলার অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আসিফ আল মাহমুদ তাদের দেশত্যাগে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
প্রসঙ্গত, তিনটি হত্যা ও একটি অস্ত্র মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরী ও তার স্বামী শামীম তালুকদার লাবুকে মৌলভীবাজার থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর গত ২ অক্টোবর বিকেলে সদর থানা পুলিশ তাদেরকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ হওয়া জেলা যুবদলের সহসভাপতি সোহানুর রহমান রঞ্জু হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরটিভি/এএইচ-টি
চিন্ময় কৃষ্ণের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে দায়েরকৃত এক মামলায় বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুণ্ডরীক ধামের সাবেক অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর (৩৮) জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন-৬ এর কাজী শরিফুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন।
জানা গেছে, বেলা সাড়ে ১১টায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে কঠোর নিরাপত্তায় আদালতে তোলা হয়। শুনানি শেষে কাজী শরিফুল ইসলামের আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে, সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়।
গ্রেপ্তারের পর ডিবি সূত্র জানায়, চিন্ময় কৃষ্ণের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম ও রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ৮ দফা দাবি নিয়ে বেশ কয়েকটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জানা যায়, গত ৩১ অক্টোবর বিএনপি নেতা ফিরোজ খান (পরবর্তীতে বহিষ্কৃত) বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনকে আসামি করা হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হওয়ার পর নগরের নিউমার্কেট মোড়ের জিরো পয়েন্টে স্তম্ভের ওপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা একটি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে, যা এখনো সেখানে রয়েছে। ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের উদ্যোগে লালদীঘির মাঠে একটি মহাসমাবেশ হয়। চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজারো মানুষ ওই সমাবেশে যোগ দেন। ওইদিন চন্দন কুমার ধরসহ ৯ জন আসামির ইন্ধনে বাকি আসামিরা নিউমার্কেট মোড়ের জিরো পয়েন্ট স্তম্ভ ও আশপাশে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ওপর ধর্মীয় গোষ্ঠী ইসকনের গেরুয়া রঙের ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন করে সেখানে স্থাপন করে দেয়। এ নিয়ে সাধারণ নাগরিকদের ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এই মামলার পর ইসকন প্রবর্তক ধাম অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও বার্তায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা প্রসঙ্গে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের একটি বিবৃতি প্রকাশিত হয়। সেখানে তিনি মামলাটি সনাতনীদের আট দফা দাবি আদায়ের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা হিসেবে আখ্যা দেন। ওই বিবৃতিতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস বলেন, ‘৫ আগস্টের পর সনাতনীদের ওপর চালানো হামলা-নির্যাতনের প্রতিবাদে আমাদের আন্দোলন। এই আন্দোলন বর্তমান সরকার কিংবা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নয়।’
আরটিভি/এসএইচএম-টি
স্ত্রী হত্যা মামলায় সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের জামিন
স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শিশির মনির
গত ১৪ আগস্ট চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে জামিন আবেদন করেছিলেন এসপি বাবুল আক্তার। পরে ১৮ আগস্ট বিচারক জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দিয়েছিলেন।
এর আগে, ২০২৩ সালের ২৩ মার্চ মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
বাবুল আক্তারের সঙ্গে অন্য ছয় আসামি হলেন কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুসা, এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা, মো. মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম ওরফে কালু ও শাহজাহান মিয়া। তাদের মধ্যে বাবুল, ওয়াসিম, শাহজাহান ও আনোয়ার কারাগারে আছেন। এহতেশামুল জামিনে, কামরুল শিকদার মুসা ও খাইরুল ইসলাম কালু শুরু থেকে পলাতক।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় পথে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি এলাকায় স্ত্রী মাহমুদা খানম ওরফে মিতুকে কুপিয়ে এবং গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনার পরেরদিন নগরের পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন স্বামী বাবুল আক্তার। এরপর ২০২১ সালের ১২ মে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে বাবুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০১৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থাকাকালে বাবুলের সঙ্গে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নারী কর্মকর্তার সম্পর্ক হয়। ওই সম্পর্কের জেরে বাবুলের পরিকল্পনায় মিতুকে হত্যা করা হয়।
আরটিভি নিউজ/টিআই
ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে লিগ্যাল নোটিশ
উগ্রপন্থী সংগঠন হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেসকে (ইসকন) নিষিদ্ধ এবং চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার বিচার চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) ১০ আইনজীবীর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আল মামুন রাসেল এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।
নোটিশ পাঠানো ১০ আইনজীবী হলেন মফিজুর রহমান মোস্তাফিজ, নিজাম উদ্দিন, আব্দুল হান্নান ভূঞাঁ হৃদয়, তৌহিদুল ইসলাম শান্ত, আতিকুল ইসলাম, মো. মাসুম বিল্লাহ, মো. রাসেল মাহমুদ, মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, মাহফুজুর রহমান ও আল মোমেন।
নোটিশটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন ও বিচার মন্ত্রণালয় ও পুলিশের মহাপরিদর্শক বরাবর ডাকযোগে পাঠানো হয়েছে।
লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়েছে, ইসকন একটি উগ্রপন্থী সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এই সংগঠনের প্রধান কাজ হচ্ছে উসকানিমূলক ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করা, যার উদ্দেশ্য সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি। সংগঠনটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অধিকাংশ মৌলিক বিষয় স্বীকার করে না। তারা হিন্দুদের ওপর সম্পূর্ণ নিজস্ব কনসেপ্ট চাপিয়ে দেয়। নিম্নবর্ণের হিন্দুদের দলে ভিড়িয়ে দল ভারী করে।
‘সনাতন মন্দিরগুলো দখল করা এবং সনাতন সম্প্রদায়কে মেরে তাড়িয়ে দেয়। মসজিদে সাম্প্রদায়িক হামলা করে। কিছুদিন আগে ঢাকায় স্বামীবাগে মসজিদের তারাবির নামাজ বন্ধ করে দিয়েছিল ইসকন। নামাজের সময় গান-বাজনা বন্ধ রাখতে বলায় তারা পুলিশ ডেকে তারাবির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। পরে বিষয়টি নিয়ে সংঘর্ষ হয়। তারা বাংলাদেশে বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক সংগঠন তৈরি করে উগ্র হিন্দুত্ববাদের বিস্তৃতি ঘটায়।’
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, বিগত সরকারের পতনের পর দেশে বিভিন্নভাবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির পেছনেও সংগঠনটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তারা বাংলাদেশে এর আগে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী গ্রেপ্তার হলে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) তাকে আদালতে উপস্থাপনের পর ইসকনের নেতাকর্মীরা সম্মিলিত ও পরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। এ থেকে সহজেই অনুমান করা যায় যে সংগঠনটি দেশের আইনকানুন তোয়াক্কা করে না, নিজেদের আইনের ঊর্ধ্বে মনে করে, আইন-আদালত ও সরকারের প্রতি ন্যূনতম শ্রদ্ধাবোধ নেই। দেশে সম্প্রীতি বিনষ্ট করার পরিকল্পনা নিয়েই চিন্ময় কৃষ্ণ কাজ করছিলেন এবং এ ধরনের সন্ত্রাসী সমর্থকগোষ্ঠী তৈরি করে আসছেন।
‘মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরবসহ আরও বেশ কিছু রাষ্ট্রে ইসকন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নে সত্তর ও আশির দশকে ইসকন নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, কাজাখস্তান এবং তুর্কমেনিস্তানে ইসকনের কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারি জারি রয়েছে। বাংলাদেশে সাম্প্রতিককালে তাদের কার্যক্রমের ভিত্তিতে তাদের নেওয়া বিভিন্ন ধরনের ধর্মীয় উসকানিমূলক কার্যক্রম এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে ভারতীয় গনমাধ্যমের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের আঁতাত করাসহ তাদের সব জঙ্গি কার্যক্রম বন্ধ করা এখন সময়ে দাবি।’
নোটিশে বলা হয়, ইসকনের এসব ঔদ্ধত্বপূর্ণ কার্যক্রম এখনই বন্ধ করা না গেলে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাসহ দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়তে পারে। এ অবস্থায় সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ এর ১৮ ধারার বিধান মতে, কোনো ব্যক্তি বা স্বত্বা কোনো সন্ত্রাসী কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকলে সরকার গেজেট প্রজ্ঞাপন জারি করে ওই সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পারে। ইসকন নামে উগ্রপন্থী সংগঠনের বিগত ও বর্তমান সময়ের কার্যক্রমগুলোকে অত্র আইনের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে বিধায় অত্র আইনের বিধান মোতাবেক অত্র সংঘঠনটি নিষিদ্ধ ঘোষণা হওয়া একান্ত আবশ্যক বটে।
আরটিভি/আরএ/এস
সমন পেয়ে আদালতে সেই ম্যাজিস্ট্রেটের আত্মসমর্পণ
মানহানির অভিযোগে করা মামলায় সমন পেয়ে সাময়িক বরখাস্ত সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইমরান আহম্মেদের আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সাড়ে ১০টার দিকে আদালতে হাজির হন তিনি। এ সময় তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দাখিল করেন।
এর আগে, গত ৮ অক্টোবর শহীদ আবু সাঈদসহ অন্য শহীদদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মানহানির মামলার আবেদন করেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ।
এরপর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেনের আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড এবং পর্যালোচনা শেষে ২৮ নভেম্বর তাকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৫ অক্টোবর আসামি ঊর্মি শুধু শহীদ আবু সাঈদ নয়, সরকারের দায়িত্বশীল পদে থাকা সত্ত্বেও ছাত্র-গণআন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত সরকার ও সরকারপ্রধান নোবেল বিজয়ী প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধেও অবমাননাকর বক্তব্য ফেসবুক লেখেন। যার মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেফারেন্সের ভিত্তিতে সংবিধানসম্মতভাবে গঠিত একটি সরকারপ্রধান সম্পর্কে বিষোদগার করা হয়েছে এবং সরকার উৎখাতের হুমকি দিয়ে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করা হয়েছে।
গত ৬ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়।
পরে ৭ অক্টোবর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে চাকরিবিধি অনুযায়ী প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তার পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জানা যায়, তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের নসিবপুর গ্রামের মো. ইসমাইল হোসেনের মেয়ে। তার বাবা ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা শহীদ স্মৃতি কলেজের সাবেক ভাইস প্রিন্সিপাল হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ ছাড়াও তিনি ময়মনসিংহ নগরীর ঐতিহ্যবাহী আনন্দমোহন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজসহ বিভিন্ন সরকারি কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। তবে বর্তমানে তিনি অবসর জীবনযাপন করছেন। তার মা নাসরিন জাহান বতর্মানে হাজী কাশেম আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ মুক্তাগাছায় গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। বতর্মানে তারা ময়মনসিংহ নগরীর কাশর জেল রোড এলাকায় নিজ বাসায় বসবাস করেন।
আরটিভি/এআর-টি
সুপ্রিম কোর্টে নজিরবিহীন ঘটনায় প্রধান বিচারপতির উদ্বেগ
ডিম ছুড়ে মেরে বিচারপতিকে এজলাস থেকে নামানো ও জেলা আদালতে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এ-সংক্রান্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
এতে বলা হয়, বুধবার (২৭ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে যে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে, তা অনভিপ্রেত। একইসঙ্গে দেশের জেলা আদালতগুলোতেও যে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থতির সৃষ্টি হয়েছে, সে বিষয়েও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি।
সব প্রতিকূলতা ও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সত্ত্বেও দেশের আদালতসমূহে বিচারসেবা প্রদান অব্যাহত রয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেন প্রধান বিচারপতি। ভবিষ্যতে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
এজলাস কক্ষে হাইকোর্টের বিচারপতি আশরাফুল কামালের দিকে ডিম ছুড়ে মেরেছেন আইনজীবীরা। বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি কাজী ওয়ালিউল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবীরা জানান, ওই বেঞ্চে বিচারকাজ চলাকালে একদল আইনজীবী এজলাস কক্ষে প্রবেশ করেন। তারা বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনি একজন বিচারপতি হয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। এখনও ওই চিন্তাভাবনা পোষণ করলে আপনার বিচারকাজ পরিচালনার অধিকার নাই।’
একপর্যায়ে আইনজীবীদের মধ্য থেকে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালকে লক্ষ্য করে ডিম ছুড়ে মারা হয়। তবে ছুড়ে মারা ডিম বিচারপতির আসনের সামনে থাকা ডেস্কে লাগে। এরপর বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি কাজী ওয়ালিউল ইসলাম এজলাস ছেড়ে নেমে খাস কামরায় চলে যান।
জানা গেছে, ২০১৬ সালে ষোড়শ সংশোধনী মামলার রায়ে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল তার পর্যবেক্ষণে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে নিয়ে বেশ কিছু মন্তব্য করেন। যা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
আরটিভি/এআর-টি
ইসকন ইস্যুতে কঠোর অবস্থানে সরকার: হাইকোর্টকে রাষ্ট্রপক্ষ
ইসকনের এক নেতার গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির যেকোনো অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। রাষ্ট্রপক্ষ আরও জানিয়েছে, বিষয়টি সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। এ ঘটনায় এরইমধ্যে তিনটি মামলা হয়েছে। ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৬ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চে এ তথ্য জানানো হয়। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন এ তথ্য জানান।
এ সময় সরকারের নেওয়া এমন পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করে হাইকোর্ট বলেন, তারা এমন তড়িৎ পদক্ষেপে সন্তুষ্ট। তবে এ তৎপরতা জারি রাখতে হবে। কোনোভাবেই যাতে জানমালের ক্ষতি না হয় সে জন্যে সবোর্চ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকতে হবে।
এর আগে ইসকন নিষিদ্ধ চেয়ে হাইকোর্টে মৌখিক আবেদন করেন আইনজীবী মো. মনির উদ্দিন। যার পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপক্ষের মতামত জানতে জরুরি ভিত্তিতে অ্যাটর্নি জেনারেলকে আদালতে ডেকে পাঠানো হয়। পরে ইসকন সম্পর্কে পূর্নাঙ্গ রিপোর্ট দাখিল করতে বলেন হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় এক আইনজীবী নিহতের ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ইসকনের অনুসারীরা চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা শুরু করলে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ তাদের বাধা দেন। এরপর তাকে তুলে নিয়ে আদালতের প্রধান ফটকের বিপরীতে রঙ্গম টাওয়ারের সামনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সাইফুলকে কুপিয়ে আহত করে ইসকন সদস্যরা। গুরুতর আহত অবস্থায় সাইফুলকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের জানাজা ও কবর জেয়ারত করে ফেরার পথে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চুনতি ইউনিয়নের হাজী রাস্তার মোড়ে হাসনাত ও সারজিসের গাড়িবহরের একটি প্রাইভেটকারকে চাপা দেয় একটি ট্রাক। এতে প্রাইভেটকারটির সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চাপা দেওয়া ট্রাকটি জব্দ করে থানায় রাখা হয়েছে। আটক করা হয়েছে চালককেও। আটক ট্রাকচালকের নাম মুজিবর রহমান (৪০)। তার বাড়ি ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বইলর গ্রামে।
আরটিভি/এআর